বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বাইক, সাইকেলের মিছিলে সৃজন সওয়ার হলেন সুসজ্জিত হুডখোলা গাড়িতে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় সৃজনের প্রচার। তার আগে বর্ষীয়ান নেতাকর্মীরা সৃজনকে কাছে ডেকে দিলেন কিছু জরুরি পরামর্শ। প্রচারের পথে যে নেতাজি সুভাষের পৈতৃক ভিটে পড়বে, প্রার্থীকে সে কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন তাঁরা। এগিয়ে চলল প্রচার মিছিল। এক সময় প্রচারের গাড়ি গিয়ে থামল কোদালিয়ায় নেতাজির পৈতৃকে ভিটেতে ঢোকার গলির মুখে। সেখানে বিশিষ্ট সঙ্গীতকার ও সুরস্রষ্টা সলিল চৌধুরীর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে এক কর্মীর বাইকে সোজা চলে গেলেন নেতাজির পৈতৃক বাড়িতে। সেখানে নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান করেন সৃজন। তার উল্টোদিকেই রাজপুর সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাসের বাড়ি। কোনওরকম ইতস্তত না করেই কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে বাম প্রার্থী তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়েন। দু’জনের সৌজন্য বিনিময় হয়। পল্লববাবুর কাছ থেকে ভোট প্রার্থনা করেন সৃজন। চেয়ারম্যানের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও নেমে আসেন প্রার্থীর সঙ্গে পরিচয় করতে। সৌজন্য সেরে সৃজন বলেন, ‘ভোট চাইতে ওঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। উনি ওঁর মতো রাজনীতি করেন, আমি আমার মতো। যাঁরা আমার ভোটার, আমি তাঁদের সবার কাছেই ভোট প্রার্থনা করব। রাস্তায় যদি সায়নী ঘোষের বাড়িও পড়ে, আমি সেখানে গিয়েও ভোট চাইব।’
পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আবারও শুরু হয় সৃজনের প্রচার। কোদালিয়া হয়ে সুভাষগ্রাম রেলগেটের দিকে এগতে এগতে চলে জনসংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময়। বাম প্রার্থীকে দেখতে রাস্তায় তখন অপেক্ষা করছিলেন নানা বয়েসর মানুষজন। কেউ সৃজনকে এগিয়ে দিলেন গ্লুকোজের জল, কেউ আবার ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। একাধিক বয়স্ক সিপিএম নেতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় সারেন। রাস্তায় শ্রমিকেদের একাধিক দলের সঙ্গে দেখা হলে তাঁদের কাছেও সমর্থন প্রত্যাশা করেন লালঝাণ্ডার প্রার্থী। সুভাষগ্রাম রেলগেট পর্যন্ত প্রচার করে সোনারপুর ব্লকের কামরাবাদ অঞ্চলে চলে যান সিপিএম প্রার্থী। সৃজনের ভোটপ্রার্থনা প্রসঙ্গে পল্লববাবু বলেন, ‘পুরোটাই সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।’ সৃজনের প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের বক্তব্য, ‘আমার বাড়ির দরজা সৃজনের জন্য খোলা রয়েছে। কিন্তু
ভোটবাক্সে নয়।’