উত্তরবঙ্গ

ফের পানীয় জলের সমস্যা শিলিগুড়িতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: বৃষ্টি অব্যাহত। নদীও টইটম্বুর। তা সত্ত্বেও ফের পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত শিলিগুড়িতে। অভিযোগ, দু’বেলায় চার ঘণ্টা জল সরবরাহ করার নিয়ম থাকলেও শহরের বহু ওয়ার্ডে তা মিলছে না। কোথাও ৩০ মিনিটি, আবার কোথাও এক ঘণ্টা জল মিলছে। শহরবাসী এনিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। ইনটেক ওয়েলে পলি জমায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। এজন্য তারা কলকাতা থেকে দক্ষ শ্রমিকদের নিয়ে এসেছে। 
শিলিগুড়ি পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত অবশ্য বলেন, এখানকার জল প্রকল্প পাহাড়ি নদী তিস্তার উপর নির্ভরশীল। বৃষ্টিতে পাহাড় থেকে পলি, বালি, নুড়িপাথর নদীর জলের সঙ্গে নেমে আসছে। এজন্যই জল সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সমস্যা মেটানোর কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। 
শুখা মরশুমে যেমনতেমন ভাবে চললেও ভারী বর্ষায় পানীয় জলের আকাল হওয়ার কথা নয়। কারণ পাহাড় ও সমতলে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষার জলে তিস্তা নদী ও ক্যানেল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। তা হলেও শহরের ৮, ৯, ১০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৫, ৪০, ৪১, ৪২ ও ৪৩ এই ১১টি ওয়ার্ডে নিয়মিত পুরসভার পানীয় জল মিলছে না। কোথাও এক বেলা জল মিলছে। তাও দু’ ঘণ্টার পরিবর্তে এক ঘণ্টা। আবার কোথাও কোথাও দু’বেলা জল মিললেও তা নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অনেক কম। 
১০ নম্বর ওয়ার্ডের মহাকালপল্লির বাসিন্দা কমল দাস বলেন, সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পুরসভার জল আসার কথা থাকলেও তা মিলছে মাত্র ৩০ মিনিট। বিকেলেও একই রকমভাবে জল সরবরাহ হচ্ছে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জীবন সাহা বলেন, দু’বেলায় চার ঘণ্টা জল সরবরাহ করার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সকলেরই বক্তব্য, শুখা মরশুমে নদী, নালা, খাল, বিল শুকিয়ে যায়। সেই সময় জলের সঙ্কট বাড়ে। কিন্তু বর্ষাকালে জল সঙ্কট তৈরি হবে, মানা যায় না। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভা নিয়মিত নজরদারির অভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 
কয়েকদিন আগে তীব্র জল সঙ্কটের সময় বর্ষার জন্য অপেক্ষা করার কথা শুনিয়ে ছিলেন খোদ মেয়র গৌতম দেব। তিনি বলেছিলেন, বৃষ্টি নামলেই জল সমস্যা কিছুটা মিটবে। কিন্তু ভরা বর্ষার মরশুমেও সেই সমস্যা মেটেনি। কেন? পুরসভার বক্তব্য, শহরের জল প্রকল্পের প্লান্ট ফুলবাড়িতে। তিস্তা নদীর ক্যানেলের জল প্লান্টে পরিস্রুত করে শহরে সরবরাহ করা হয়। এখন জলের অভাব নেই। কিন্তু পাহাড়ের পলি, বালি, নুড়ি, গাছের গুঁড়ি নিয়মিত নদীর জলের সঙ্গে আসছে প্লান্টে। নিয়মিত প্লান্টের সামনে থেকে তোলা হয় পলি। তা সত্ত্বেও ইনটেক ওয়েলে পড়ছে পলির স্তর। যারজন্য প্লান্ট চালাতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এজন্যই কয়েকটি ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট সময়ের চাইতে কিছুটা কম সময় জল সরবরাহ হচ্ছে। 
পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য বলেন, পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে পাঠানো হয়েছে ট্যাঙ্ক। তবে ইনটেক ওয়েল থেকে পলি সরাতে কলকাতা থেকে দক্ষ শ্রমিকের একটি টিম আনা হয়েছে। ওই টিম কাজ শুরু করেছে। শীঘ্রই সমস্যা মিটবে বলেই আশা করছি।
সোমবার নবান্নের বৈঠকে শহরের জল সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরকর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, এই শহরে চাহিদার তুলনায় অনেক কম জল উৎপাদন হয়। এই সমস্যা মেটানোর জন্য নতুন মেগা জল প্রকল্প এবং বিকল্প ইনটেক ওয়েল তৈরির কাজ চলছে।    
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
28th     September,   2024
দিন পঞ্জিকা