পরিবারের সদস্যদের একসূত্রে বাঁধতেই মেদিনীপুরের মিত্রবাড়িতে শুরু হয় পুজো

রাজদীপ গোস্বামী, মেদিনীপুর: বড় পরিবার ভেঙে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে পরিণত হচ্ছে। বর্তমান সময়ে একান্নবর্তী শব্দটাই যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই কথা মাথায় রেখে পরিবারের সদস্যদের এক সূত্রে বেঁধে রাখতেই শুরু হয় মেদিনীপুর শহরের মিত্র বাড়ির পুজো। এবছর মেদিনীপুর শহরের কর্নেল গোলায় মিত্র বাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা তুঙ্গে। এবছর তাঁদের পুজো সাতে পা দিল। পুজোর সময় পারিবারিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে থাকছে ভূরিভোজের আয়োজন। মিত্র বাড়ির সদস্যরা জানাচ্ছেন, এবছরও নিষ্ঠা সহকারে পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। দুর্গা মাকে বাড়ির মেয়ে রূপে পুজো করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবছরের ন্যায় পরিবারের তরফে কুমারী পুজোর আয়োজনও করা হচ্ছে। এবছর পুজোয় রেকর্ড ভিড় হবে বলে আশাবাদী মিত্র পরিবারে সদস্যরা। মিত্র পরিবারের সদস্য সঞ্জয় মিত্র, অঞ্জন মিত্র বলেন, বর্তমান সময়ে সকলেই নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এরফলে বড় পরিবার ভেঙে ছোট ছোট পরিবার তৈরি হচ্ছে। পারিবারিক পুজোর সংখ্যা কমে আসছে অথবা জৌলুস হারাচ্ছে। তাই এই পুজোর সূচনা করা হয়। সকলকে পুজোয় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। 
প্রসঙ্গত, এক সময় মেদিনীপুর শহর ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের আঁতুড়ঘর। ইংরেজদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। সেই সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে মিত্র পরিবারের পরোক্ষ ভূমিকা ছিল। জানা যায়, মিত্র পরিবারের ইতিহাস প্রায় একশো বছরের পুরনো। মেদিনীপুর শহরের নামকরা পরিবারগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। পরিবারের সদস্যরা বহু বছর ধরেই নানা সমাজ কল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত। পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য শহর ও শহরতলিতে থাকেন। তবে পুজোর সময় তাঁরা সকলে একত্রিত হন। 
জানা গিয়েছে, প্রতিবছর ষষ্ঠী বা সপ্তমীর দিন দর্শনার্থীদের ফুচকা খাওয়ানো হয়। প্রতিবছর শতাধিক মানুষ একত্রে ফুচকা খান। একইসঙ্গে নবমীর দিন কয়েক হাজার মানুষের জন্য ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া বস্ত্রদানের আয়োজনও করেন মিত্র পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের এক সদস্য বলেন, মহালয়ার পর থেকেই পুজোর সূচনা হয়ে যায়। সেই সময় থেকেই পরিবারের সদস্যরা নিরামিষ খাবার খান। পুজোর সময়ে দুর্গা মায়ের সামনে নানা ধরনের ভোগ প্রসাদ দেওয়া হয়। কুমারী পুজো দেখতে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভিড় জমান। এবছর প্রায় দশ হাজার মানুষের সমাগম হবে। এছাড়া প্রায় ২ কুইন্টাল বোঁদে প্রসাদের ব্যবস্থাও করা হয়। যা চতুর্থী থেকে নবমী পর্যন্ত সন্ধায় বিতরণ করা হয়ে থাকে। 
পরিবারের অন্যতম সদস্য রিঙ্কু মিত্র বলেন, একতা আমাদের পরিবারের মূলমন্ত্র। সকলের সহযোগিতা ছাড়া পুজো করা সম্ভব হতো না। পরিবারের সকল সদস্য এই চারটে দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। আমরা চাই নিউ জেনারেশন বছরের পর বছর ধরে পুজোর আয়োজন করুক। 
মিত্র পরিবারের নতুন প্রজন্মের সদস্য সৌরভ মিত্র বলেন, পুজো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। সারা বছর এই ক’টা দিনের অপেক্ষায় থাকি।-নিজস্ব চিত্র
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.১৩ টাকা৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২৭ টাকা১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো৮৬.৪২ টাকা৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা