বারাসতে সরকারি আবাসনে চলে যৌথ রান্নাঘর

শ্যামলেন্দু গোস্বামী, বারাসত: বটের ঝুড়ি যেমন গাছের চারদিক বেয়ে নেমে আসে, ঠিক তেমনই আবাসনের চারপাশে ঝুলছে আলোর চেন। আলোর মালা ছাদ থেকে নেমে এসেছে মাটিতে। গাছের নীচে হাল্কা আওয়াজে বাজছে মাইক। সকাল হলেই আবাসিকরা নেমে আসেন ঠাকুর দালানে। চলে একপ্রস্থ আলোচনা। দশটা বাজলেই যে যাঁর ছোটেন অফিসে। আবার অফিস শেষ করে ফের এসে মিলিত হন পুজো মণ্ডপে। তাঁরা প্রত্যেকেই হয় সরকারি কর্মী, না হয় আমলা। গত এক সপ্তাহ ধরে এই রুটিন মেনেই চলছে তাঁদের জীবন। সারা বছর এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকেন তাঁরা। উমার আরাধনাকে ঘিরে চলে যৌথ রান্নাঘর। বাড়িতে রান্নাবান্নার পাট এই ক’দিন বন্ধ। চারবেলাই চলে পাত পেড়ে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া। বারাসতের সরকারি আবাসন মনামি হাউজিংয়ের এটাই হল পুজোর রোজনামচা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসিন্দারাও মেতে ওঠেন পুজোর আনন্দে। একসঙ্গেই চলে হই হুল্লোড়। এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ উদ্বোধন পর্ব। না, কোনও হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী বা সেলিব্রিটি নন, মনামির পুজোর উদ্বোধন হয় এই আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীদের হাত ধরেই। 
বারাসত পুরসভা এলাকায় মনামি ও সুবর্ণ হাউসিংয়ের দুর্গাপুজো পিঠোপিঠি। দু’টি আবাসনেই বাস করেন সরকারি অফিসার ও কর্মীরা। এবার মনামির পুজো ৩৫ বছরে পড়ল। আর সুবর্ণ হাউসিংয়ের পুজোর এবার ৩৪ বছর। মনামি তাদের পুজোয় ফিরিয়ে এনেছে পুরনো ঐতিহ্যকে। ‘ছোটবেলার স্বাদ পেতে, সুকুমারকে নাও হাতে’— এই ভাবনাকে সামনে রেখেই তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। সময় যত এগচ্ছে, ততই যেন শৈশব হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মনামি চায়, পুরনোকে সামনে রেখে ডিজিটাল সমাজ তৈরি করতে। তাই পুজো মণ্ডপের চারপাশে সুকুমার রায়ের ছড়া, কবিতা, ছবি দিয়ে সাজানো হচ্ছে। আবাসিকদের চাঁদাতেই হয় এই পুজো। এই পুজোয় রয়েছে ড্রেসকোড। মহিলারা লালপাড় সাদা শাড়ি ও পুরুষরা বাসন্তী রঙের পাঞ্জাবি পরবেন। পুজোর উদ্যোক্তা প্রবাল গোস্বামী বলেন, সম্প্রীতির ছোঁয়া মিলবে আমাদের পুজোয়। খ্রিস্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের আবাসিকরা এই পুজোয় হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন। সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে শামিল হন সকলে। পুজোর সময় আমরা সকলে একসঙ্গে আনন্দে মেতে উঠি। এবার পুজোর উদ্বোধন করবেন নিরাপত্তারক্ষী অশোক চট্টোপাধ্যায়।
বারাসতের সুবর্ণ আবাসনের পুজো সাবেকি আদলে। উদ্যোক্তারা পুজোর রীতিকে বদলের পক্ষপাতী নন। প্রতিদিনই সন্ধ্যায় বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা আছে। উদ্যোক্তা সুব্রত চৌধুরী বললেন, পুজোর আচারকেই আমরা প্রাধান্য দিই। এই এলাকায় রয়েছে একাধিক বড় বড় নারকেল গাছ। পুজোর সময় সেই গাছের নারকেলের নাড়ু তৈরি করেন মহিলারা। তা দিয়েই পুজো হয় দেবীর। শুধু নাড়ু নয়, নারকেলের বিভিন্ন সন্দেশও প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের। এই ক’দিন একসঙ্গেই চলে খাওয়া দাওয়া। 
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.১৩ টাকা৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২৭ টাকা১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো৮৬.৪২ টাকা৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা