১২৯ বছর ধরে একই শালকাঠের কাঠামোতে প্রতিমা তৈরি করা হয় খাগড়ার সেনবাড়িতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: ১২৯ বছর ধরে একই শালকাঠের কাঠামোতে পুজো হয়ে আসছে মা দুর্গার। বহরমপুরের খাগড়া এলাকার সেনবাড়ির দুর্গাপুজো আজও ঐতিহ্য বহন করে। অপরদিকে ৩৫০ বছর পার হলেও, জৌলুসে ভাটা পড়েনি বহরমপুরের  কুঞ্জঘাটা রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয়। ১৬৬৫ সালে এই পুজো শুরু হয়। একই কাঠামোতে গত ৩৫০ বছর ধরে দেবী দশভুজা তৈরি হয়ে আসছে এখানে। বীরভূম জেলার ভদ্রপুরে মহারাজা নন্দকুমারের পিতা পদ্মনাভ রায়ের নির্দেশে এই দুর্গাপুজো শুরু হয়। পরে মুর্শিদাবাদে মহারাজা নন্দকুমার চাকরিতে যোগদান করেন। ফলে বীরভূমের ভদ্রপুর থেকে কাঠামো নিয়ে এসে বহরমপুরের কুঞ্জঘাটা রাজবাড়িতে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং পুজো শুরু হয়। এই বাড়ির দুর্গাপুজোয় রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, পরম্পরা ও সাবেকিআনার মেলবন্ধন। 
এদিকে ১৮৯৬ সালে সেনবাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন অবিভক্ত বাংলার সাব জজ রাধাকৃষ্ণ সেন। প্রাচীন রীতি মেনেই রথের দিন কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়ে সেনবাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। যদিও এই পুজোর ক্ষেত্রে সেসময় বিশেষ ভূমিকা নেন তাঁরই বাল্য বিধবা কন্যা বিন্দুবাসিনী দেবী। তখন থেকে আজ পর্যন্ত একই রীতিনীতি অনুসরণ করে সেনবাড়ি দুর্গাপুজো করে আসছেন রাধাকৃষ্ণ সেনের পরবর্তী প্রজন্ম। গিরিজা শঙ্কর চক্রবর্তী লেনে সেনবাড়ির পুজো দেখতে ভিড় জমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। দশমীতে দেবীকে দোলায় করে গঙ্গাঘাটে নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
সেনবাড়ির সদস্য সুবীর সেন বলেন, ১৮৯৬ সালে প্রথমবার পুজোতে যে শালকাঠের কাঠামোতে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল সেই কাঠামো এখনও অক্ষত। মূল কাঠামোতে এখনও আমাদের প্রতিমা তৈরি করা হয় এবং পুজো করা হয়। হয়তো কালের প্রভাবে মাঝে মধ্যে কিছুটা সংস্কার করতে হয়েছে। কিন্তু কাঠামোর বদল হয়নি। 
সেনবাড়ির পুজোর বিশেষত্ব হল, এখানে পুজোয়  অন্নভোগের বদলে থাকে ঘিয়ে ভাজা লুচি।  মায়ের নৈবেদ্যতে অন্যান্য মিষ্টির বদলে থাকে নারকেল নাড়ু। আর সেই নাড়ু বাড়িতেই তৈরি করেন পরিবারের সদস্যরা। এমনকী দশমীর দিন মাকে বরণ করার সময় সেই নাড়ু দিয়েই মিষ্টিমুখ করানো হয়। 
সুবীরবাবু আরও বলেন, আমাদের বাড়ির পুজোতে দেবীকে অন্নভোগ দেওয়া হয় না। তার পরিবর্তে দেওয়া হয় ঘিয়ে ভাজা লুচি। আর নবমীর দিন ভোগের মধ্যে থাকে টকশাক, কলার বড়া ইত্যাদি। কোনও ভোগে তেল ও হলুদ ব্যবহার হয় না। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ১৭টি করে নৈবদ্য দেওয়া হয়। সন্ধিপুজোতে ১৯টি নৈবদ্য দেওয়া হয়। এবার যেহেতু অষ্টমী ও নবমী একদিনে পড়েছে তাই ভোর পাঁচটা অষ্টমীর পুজোর অঞ্জলি হবে, তারপর সকালেই নবমীর সন্ধি পুজো শুরু হবে। 
কুঞ্জঘাটা রাজবাড়ির সদস্য রাজেশ্বরী রায় বলেন, মা ঠাকুরমাদের কাছে শুনেছি, মহারাজা নন্দকুমারের আমলে বিভিন্ন ব্রিটিশ সাহেব ও নবাবরা এই পুজোয় অতিথি হয়ে আসতেন। এমনকী সেই সময় আমাদের উঠোনে যাত্রাপালাও হতো। তবে এখন এইসব প্রথা না থাকলেও মায়ের পুজোর রীতিনীতিতে কোনও ঘাটতি থাকে না। নিষ্ঠার সঙ্গে সমস্ত নিয়ম মানা হয়। আমাদের এই পুজো যেহেতু বৈষ্ণব মতে হয়, তাই মায়ের ভোগও হয় নিরামিষ। তবে এই পুজোয় মাষকলাই বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে। একে বলা হয় মাসভক্ত বলি। সেটা প্রতিবার করা হয়। -নিজস্ব চিত্র
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.১৩ টাকা৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২৭ টাকা১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো৮৬.৪২ টাকা৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা