কাছারিবাড়ির পুজোয় অষ্টমীতে প্রতিমার পিছনে রাখা হয় পোড়া মাছ, কারণবারি

সংবাদদাতা, মানকর: পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বননবগ্রামে নতুন কাছারিবাড়ির পুজো এবারে ১৪৫ বছরে পা দিল। তৎকালীন জমিদার সারদাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় এই পুজো শুরু করেন। আজও পুরনো রীতি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হয়। স্থানীয় মানুষ ছাড়াও ভিন জেলা থেকে পুজো দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ। 
চট্টোপাধ্যায় পরিবারের বননবগ্রাম সহ আশপাশের মৌজা মিলে অগাধ সম্পত্তি ছিল। একসময় চট্টোপাধ্যায়দের একটিই পুজো হতো। কিন্তু পরে যৌথ পরিবার ভেঙে দু’টি পরিবার সৃষ্টি হয়। সেই থেকেই বননবগ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের দু’টি পুজো হয়। একটি পুরনো কাছারিবাড়ি, অন্যটি নতুন কাছারিবাড়ির পুজো নামে খ্যাত। কথিত আছে, যৌথ পরিবারে থাকাকালীন একবছর পুজোর সময় সারদাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাড়ির অন্য বধূদের কাছে দেবীমন্দিরে অসম্মানিত হন। অঞ্জলি না দিয়ে তিনি মন্দির ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। স্ত্রীর কথায় সারদাপ্রসাদ পুজো শুরু করেন। পরিবারের সদস্য প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রাচীন রীতি মেনেই পুজো হয়। একচালায় তৈরি মাটির প্রতিমা এখানে পুজো করা হয়। একসময় মোষ, মেষ ও ছাগ বলি হতো। এখন শুধু ছাগ বলি হয়। সপ্তমীর দিন একটি, অষ্টমীতে দুটি ও নবমীতে তিনটি ছাগ বলি হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, দেবীর ভোগে বিশেষত্ব রয়েছে। যেমন নয় রকমের ভাজার সাথে মাছ ও মাংসের ভোগ দিতে হয়। বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে অবশ্যই শুক্তো এবং কচুর তরকারি ভোগ দেওয়া হয়। নবমীর দিন ১৮ সের চালের পোলাও দেবীকে নিবেদন করতে হয়। 
বর্তমানে পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন গোপীমাধব মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এখানে শাক্তমতে পুজো হয়। অষ্টমীর দিন চ্যাং ও ল্যাটা মাছ পুড়িয়ে ৬৫টি আলাদা পাত্রে ভোগ দিতে হয়। তবে এই ভোগ নিবেদনের রীতি আলাদা। এটি দেবীমূর্তির সামনে নয়, পিছনে দেওয়া হয়। সাথে কারণবারিও দেওয়া বাধ্যতামূলক। দেবীকে রাতে লুচি ও মিষ্টি ভোগ দেওয়া হয়। এই সময় ছয় সের দুধ ফুটিয়ে ক্ষীর তৈরি করতে হয়। সেই ক্ষীরের ভোগ দেবীকে নিবেদন করতে হয়। পরিবারের সদস্য চূড়ামণি চট্টোপাধ্যায়, প্রবুদ্ধ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সারদাপ্রসাদ শেষজীবনে গৃহত্যাগ করার আগে ১৯০৮ সালে গুসকরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি অর্পণনামা দলিল তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দুর্গা, কালী ও লক্ষ্মীপুজোর জন্য জমি রেখে যান। জানা যায়, দেবী দুর্গার জন্য রয়েছে ৫৫ একর জমি। প্রায় ৩৫০ বস্তা ধান পাওয়া যায় জমি থেকে। তাই দিয়েই চলে পুজোর খরচের বড় অংশ।   
পরিবারের প্রায় সকলেই কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। তাই সারা বছর নতুন কাছারিবাড়ি ফাঁকাই পড়ে থাকে। কিন্তু পুজোর সময় সকলেই উপস্থিত হন। প্রতিমা দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ। বহু মানুষের উপস্থিতিতে রূপ বদলে যায় নতুন কাছারিবাড়ির। গোপীমাধববাবু জানান, প্রতি বছর সপ্তমী থেকেই প্রায় ৩০০ মানুষ প্রসাদ খান। নবমীতে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় হাজারেরও বেশি।    
স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সারদাপ্রসাদের ছয় পুত্রের মধ্যে নলিনীরঞ্জন ছিলেন ব্রিটিশ আমলে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এই বাড়ির পুজো তাই জজ বাড়ির পুজো নামেও বিখ্যাত।
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.১৩ টাকা৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২৭ টাকা১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো৮৬.৪২ টাকা৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা