রাজকীয় আয়োজনে মা সর্বমঙ্গলার ঘটোত্তলন

নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: প্রতিপদেই রাঢ়বঙ্গের দুর্গাপুজো শুরু হল। সেই রাজ আমলের প্রথা এখনও অটুট রয়েছে বর্ধমানে। সর্বমঙ্গলা রাঢ়বঙ্গের মা হিসেবেই পরিচিত। তাই প্রাচীন মন্দিরে ঘট প্রতিস্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই উৎসব শুরু হল। মহালয়ার পরেরদিন বৃহস্পতিবার রাজকীয়ভাবে কৃষ্ণসায়র থেকে সর্বমঙ্গলা মায়ের ঘট উত্তোলন করা হয়। ঘোড়ার গাড়ি চড়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মন্দিরে ঘট আনা হয়। ঢাকের আওয়াজ, বিভিন্ন ধরনের বাজনা আর মঙ্গলধ্বনিতে মুখরিত হয় বর্ধমানের আকাশ। বিশেষ এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য রাস্তার দু’পাশে ভিড় উপচে পড়ে। অন্য জায়গায় বোধনের দিন ঘট ভরা হয়। কিন্তু সর্বমঙ্গলা মন্দিরে প্রতিপদ থেকেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যায়। দেবীকে রাজবেশে সাজানো হয়েছে। 
প্রতিপদের সকাল থেকে ঢাকের আওয়াজ আর মন্ত্রোচ্চারণ কানে আসতেই বর্ধমানে পুজোর আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। ন’দিন ধরে বিশেষ পুজো চলবে। প্রথা মেনে হবে হোমযজ্ঞ। মন্দিরের পুরোহিত অরুণ ভট্টাচার্য বলেন, প্রাচীন রীতি মেনেই প্রতিপদে ঘট স্থাপন করা হয়েছে। শোভাযাত্রা করে ঘট আনা হয়েছে। দেবী দুর্গা এখানে সর্বমঙ্গলা রূপে পূজিত হন।
এদিন ঘট উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার সহ অন্যান্যরা। বিধায়ক বলেন, সর্বমঙ্গলা রাঢ়বঙ্গের জননী। প্রতিপদে ঘট প্রতিষ্ঠা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দুর্গোৎসব শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বর্ধমান শহরে থিম পুজোর ছড়াছড়ি। 
কলকাতার পর দক্ষিণবঙ্গের এই শহরের পুজোই চমক দেয়। তৃতীয়ার সন্ধ্যা থেকে মণ্ডপে দর্শকদের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। থিম আর আলোর রোশনাইয়ে চারদিক ভরে উঠলেও সর্বমঙ্গলা মায়ের প্রতি জেলার বাসিন্দাদের ভক্তি, শ্রদ্ধা এবং আবেগ একই রয়েছে। সারা বছর মন্দিরে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। বিশেষ দিনগুলিতে লাইনে দাঁড়িয়ে মায়ের পুজো দিতে হয়। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে প্রাচীন এই মন্দিরে ব্যাপক ভিড় হয়।  পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, মন্দিরের চারপাশে সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে। ভক্তদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেকথা মাথায় রেখেই চারদিক সাজানো হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সহযোগিতা করেছেন। পুজোর দিনগুলিতে মন্দিরে ভক্তদের ভিড় আছড়ে পড়ে। তাঁরা এখানে এসে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি ভালোভাবে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটাতে পারবেন। সর্বমঙ্গলা ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বেলবরণ অনুষ্ঠান হয়। নবমীতে ন’জন কুমারী পুজো হয়। দশমীর বিকেলে ঘট বিসর্জন হবে। যেখান থেকে ঘট ভরা হয় সেখানেই বিসর্জন দেওয়া হয়। প্রতিপদের সকাল থেকেই মন্দিরে ভিড় জমতে শুরু করেছে। যে যার মতো মনের বাসনা নিয়ে মন্দিরে হাজির হচ্ছেন। যাঁদের ইচ্ছে পূরণ হয়েছে তাঁরাও অর্ঘ্য নিয়ে হাজির। সকাল থেকে বিশেষ পুজো, সন্ধ্যারতি দেখে ভক্তরা বাড়ি ফিরেছেন।  ঘটোত্তলনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। বৃহস্পতিবার মণিমোহন গোস্বামীর তোলা ছবি। 
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায়...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.১৩ টাকা৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২৭ টাকা১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো৮৬.৪২ টাকা৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা