কলকাতা

সুপারিশে নিযুক্ত সিভিকদেরই দাপাদাপি, ক্ষুব্ধ লালবাজারের শীর্ষস্তর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যোগ্যতার প্রমাণ বা কোনও পরীক্ষামূলক পদ্ধতির মধ্য দিয়ে সিভিকের চাকরি পেতে হয় না। একটাই যোগ্যতা, ‘দাদা’র হাত থাকতে হবে মাথায়। তাহলেই কেল্লা ফতে! স্বাভাবিকভাবেই  নির্দিষ্ট এলাকার জন্য এক বা একাধিক নির্দিষ্ট ‘দাদা’ আছেন। তাঁদের সুপারিশ থাকলে সিভিক ভলান্টিয়ারের ইউনিফর্ম গায়ে ওঠা যে কোনও ব্যাপার নয়, কমবেশি জানে রাজ্যবাসী। আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রেক্ষিতে সুপারিশে নিযুক্ত এই সিভিকদের দাপাদাপি আরও একবার সংবাদ শিরোনামে। সূত্রের খবর, বর্তমান পরিস্থিতিতে সিভিকদের উপর মারাত্মক ক্ষুব্ধ লালবাজারের শীর্ষকর্তারা। 
সিভিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন অন্ত নেই! অনেকেই ডিউটির নাম করে অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। পুলিসের বিভিন্ন ইউনিটে গুচ্ছ গুচ্ছ সিভিক থাকলেও কাজের সময় তাঁদের দেখা মেলে না। অথচ খাতায়কলমে হাজিরা হয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ঢুকে যাচ্ছে মাসমাইনে। তাঁদের পিছনে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও আখেরে কোনও লাভ হচ্ছে না। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হল আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিভিক সঞ্জয় রায়ের গ্রেপ্তারি। এবার তাই সিভিকদের উপর রাশ কড়া করতে চাইছেন কর্তারা।
সূত্রের খবর, সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোনও সার্ভিস বুক নেই। সাসপেন্ড বা বরখাস্ত করার জন্য নির্দিষ্ট কোনও আইনও নেই। সিভিকদের একাংশ নিয়মের এই  ‘ফাঁক’ ব্যবহার করতে সিদ্ধহস্ত। পুলিসকর্তাদের বক্তব্য, ‘দাদা’র স্নেহধন্য হয়ে কাজে যোগ দেওয়ার পর তাঁরা অনেকেই ‘ডোন্ট কেয়ার’ ভাব দেখাতে শুরু করেন। কোনও সিভিকের বিরুদ্ধে আধিকারিকরা শাস্তির সুপারিশ করলেও কোনও এক অদৃশ্য অঙ্গুলিহেলনে শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না। লালবাজারের কর্তারা লক্ষ্য করেছেন, নির্ধারিত ডিউটির জায়গায় সিংহভাগ সিভিককেই দেখা যায় না। কেউ ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে ব্যস্ত। কেউ চালাচ্ছেন ‘সাইড বিজনেস’। অথচ খাতায়কলমে সিভিকের ডিউটিও করে যাচ্ছেন তাঁরা। এমনকী, নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে ডিউটির জায়গায় অন্য কাউকে ‘প্রক্সি’ দিতে লাগিয়ে দিচ্ছেন। পুলিস সূত্রে আরও খবর, চাকরিতে যোগ দিয়েই এই সিভিকরা চলে আসছেন পুলিস ওয়েলফেয়ার কমিটির ছাতার তলায়। সেখানকার একাংশ তাঁদের ‘নিরাপত্তা’ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। সূত্রের দাবি, কলকাতা  পুলিস ওয়েলফেয়ার কমিটির এক ‘কোণঠাসা’ নেতা সিভিকদের বিভিন্ন অনৈতিক কাজকর্মে মদত দিচ্ছেন। ওই নেতা নিজের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন মিলিয়ে ২৫ জনকে সিভিকের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। তাঁরা কেউই ডিউটি না করে মাইনে তোলেন। আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়কেও ওই নেতাই আগলে রেখেছিলেন বলে খবর। একাধিক অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়ে কোনও তদন্ত হতে দেননি। সঞ্জয়ের এই ‘গুরু’ও এক মহিলা পুলিসকর্মীর সঙ্গে অশালীন আচরণে অভিযুক্ত। তা নিয়েও যথারীতি তদন্তের কোনও অগ্রগতি হয়নি। ওই নেতার বেনামে থাকা একটি হোটেল ধৃত সঞ্জয়ই দেখভাল করত বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু ওয়েলফেয়ারের বড় নেতার আশীর্বাদের হাত মাথায় থাকায় কেউই কিছু করার সাহস দেখাননি বলে লালবাজার সূত্রের খবর।
1Month ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
21st     September,   2024
দিন পঞ্জিকা