কলকাতা

‘রেইড করবেন!’ সাট্টার রমরমা হাওড়া বাসস্ট্যান্ডে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও হাওড়া: স্টেশন সংলগ্ন ফুটপাত। ত্রিপলের ছাউনির নীচে চলছে তেলেভাজা, কচুরি, চায়ের দোকান। একটি দোকানে পিচবোর্ডের উপর সাদা কাগজ সাঁটিয়ে কিছু নম্বর লেখা রয়েছে। পাশে বসে রয়েছে বছর তিরিশের এক যুবক। তাকে ঘিরে অনেকগুলি কালো মাথা। দূর থেকে এক ঝলক দেখলে মনে হতে পারে, ট্রেনের টাইম টেবল দেখতে হামলে পড়েছেন যাত্রীরা। কাছে যেতেই ভুল ভাঙল। ঘর কেটে ১  থেকে ৯ পর্যন্ত নম্বর লেখা। উপরে লেখা রয়েছে তারিখ ও সময়। কেউ বলছেন, এক নম্বর দিন। কেউ জেনে নিচ্ছেন, এক ঘণ্টা আগে কত নম্বর লেগেছে। সেই মতো হিসেব করে নম্বর ধরছেন। লুকিয়ে চুরিয়ে নয়, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী গুমটি বানিয়ে প্রকাশ্যেই চলছে সাট্টা। এরকম একটি জনবহুল এলাকায় দিনের আলোয় সাট্টার কারবার চললেও তা কীভাবে পুলিসের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। 
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটের জন্য কিছুদিন বন্ধ ছিল এই কারবার। ফের নতুন করে শুরু হয়েছে। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন চত্বরে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা ৫০টির বেশি কাউন্টারে নিয়মিত সাট্টা চলছে। প্যাড লেখার জন্য দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে লোক রাখা হয়েছে। বাসের কন্ডাক্টর, চালক থেকে শুরু করে ধোপধুরস্ত পোশাকের লোকজনকেও সাগ্রহে সাট্টার বোর্ডে চোখ বুলিয়ে নিতে দেখা যাচ্ছে। পকেট থেকে চিরকুট বের করে তাঁরা দেখে নিচ্ছেন,  ‘ভাগ্য’ ফিরল কি না! ২১৫এ বাসস্ট্যান্ডের কাছে সাট্টা চালানো এক ‘পেন্সিলার’-এর কথায়, ‘ঘণ্টায় ঘণ্টায় খেলা হয়। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। মোবাইলে চলে যায় খেলার ফলাফল।’ কথায় কথায় জানা গেল, ‘পেন্সিলার’-এর থেকে নম্বর লেখা প্যাড নিয়ে যাওয়ার জন্য আছে ‘রানার’। যে নম্বর বেশি খেলা হয়, সেই প্যাড বাদ দিয়ে বাকিগুলি রাখা হয়। এরপর তাস দিয়ে নম্বর টানে ডন বা বুকি। ওই ‘পেন্সিলার’-এর বক্তব্য, এখানে  কারবার চালাচ্ছে হাওড়া ও কলকাতার চার সাট্টা ডন। কলকাতায় বসে খেলা চালাচ্ছে ডায়মন্ড, বাকু এবং পরমানন্দ। বটতলা থানা এলাকার বাসিন্দা তারা। অন্যজনের নাম সুন্দর। সে হাওড়ার বাসিন্দা। 
৫৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের পিছনের সাট্টার কাউন্টার চালায় মুন্না। কারবার নিয়ে প্রশ্ন করায় ভয়ডরহীনভাবেই সে বলেই দিল, ‘পারলে রেইড করে দিন। কেউ কিছু করতে পারবে না। সব ম্যানেজ আছে।’ আরেক ‘ডন’ সুন্দর (যদিও এটি তার আসল নাম নয়)-এর কথায়, ‘অনেকদিন বসেছিলাম। দিন দশেক হলো, আবার শুরু করেছি। চারটা কাউন্টার চলছে আমার।’ তার থেকেই জানা গেল, কলকাতার ডায়মন্ড, বাকু ও পরমানন্দর এক-একজনের আট থেকে দশটি কাউন্টার চলছে এই চত্বরে। সাট্টার সঙ্গে জড়িত লোকজনের কথাতেই স্পষ্ট, তাদের এই বেআইনি কাজকর্মের  কথা পুলিস ও প্রশাসনের অজানা নয়। হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তার অবশ্য দাবি, এই ধরনের বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে তাঁরা লাগাতার অভিযান চালান। হাতেনাতে ধরা পড়লে তখনই বন্ধ করে দেওয়া হয়। যারা সাট্টা চালাচ্ছেন, সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও বেআইনি কাজের সঙ্গে আপস  করা হবে না।
1d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশাগত উচ্চবিদ্যার শিক্ষায় শুভ। সাহিত্যচর্চায় মানসিক আনন্দ। কর্মোন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। ...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৯ টাকা৮৪.৪৩ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৪ টাকা১০৭.৩০ টাকা
ইউরো৮৮.১২ টাকা৯১.২৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা