প্রচ্ছদ নিবন্ধ

চন্দননগরের উমা
রজত চক্রবর্তী

কোমরে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দু’হাত জোর করে কপালে ঠেকালেন আশি বছরের সুখলতা। বিড় বিড় করে বললেন, ‘জয় সর্বগতে দুর্গে জগদ্ধাত্রী নমহস্তুতে।’ চারিদিকে অযুত ঢাক বেজে উঠল। কাঁসর, ঘণ্টা, ধুপ-ধুনো মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে গঙ্গার পশ্চিমকূলে ছোট্ট মফস্‌সল শহর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হল মণ্ডপে মণ্ডপে। সুখলতা মাথা উঁচু করে একবার দেখে নিলেন মায়ের রাঙামুখ। ২৫-৩০ ফুট ঠাকুরের পায়েও হাত পায় না মেয়ে-বউরা। কিন্তু মায়ের মুখের দিকে তাকালেই মনে হয়, এই তো থুতনিতে আঙুল ছোঁয়া যাবে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, তারপর দশমী। এই তো চারদিনের পুজো এই ‘চন্নগরে’। ভিড় কাটিয়ে সকালে একবারটি মায়ের মুখ দেখা চাই সুখলতা ঠাম্মার। নাতি-নাতনির হাত ধরে টুক টুক করে আসেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভিড়। সন্ধ্যা হলেই জনস্রোত। আলোয় আলোয় তখন ছোট্ট শহর চন্দননগর হয়ে উঠে রূপকথার দেশ। অতিকথন, কিংবদন্তি, প্রচলিত লোককথা সবকিছু জড়িয়ে যুগের পর যুগ ধরে চলা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো আজ বিশ্ববিখ্যাত একটি উৎসব। 
মহিষাসুর বধ হয়ে গিয়েছে। ধন-সম্পত্তির দেবীর পুজো শেষ। সমস্ত রকম হত্যালীলা সম্পন্ন হয়েছে মহাকালীর আরাধনায়। এখন সুরক্ষা দরকার। জগৎকে ধারণ করবেন যিনি, তাঁর আরাধনাই জগদ্ধাত্রী পুজো। জগতাং ধাত্রী। কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ তাঁর ‘তন্ত্রসার’ পুঁথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর রূপ বর্ণনা করেছেন—
‘সিংহস্কন্দাধিরূঢ়াহ নানালংকারভূষিতাম
চতুর্ভুজাংমহাদেবীং নাগযজ্ঞোপস্বীতিনীম।।
শঙ্খর্শাঙ্গ সমাযুক্ত বামপানিদ্বয়ান্বিতাম
চক্রঞ্চ পঞ্চবানাংশ্চ
ধারয়ন্তীষ্ণ দক্ষিণে
রক্তবস্ত্রপরিধানাং বালার্কসদৃশীতম্।’
সিংহবাহিনী, নানা অলংকারে ভূষিতা। নাগ-উপবীত কণ্ঠে। চতুর্ভুজা। দুই বাঁ-হাতে শঙ্খ ও ধনু। দুই ডান হাতে চক্র ও পঞ্চবান। রক্তবর্ণা শাড়ি পরে প্রভাতের সূর্যের রক্তাভ লালিত্য নিয়ে জগদ্ধাত্রীর আবির্ভাব। কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ ছিলেন সপ্তদশ শতকের তান্ত্রিক সাধক। তারও আগে চৈতন্যদেবের সমসাময়িক বাঙালি স্মার্ত রঘুনন্দনের লেখা ‘দুর্গোৎসবতত্ত্ব’ পুঁথিতে আছে জগদ্ধাত্রী পূজাবিধি। তারও প্রায় দু’শো বছর আগে মহামহোপাধ্যায় শূলপাণি তাঁর ‘ব্রতকালবিবেক’ পুঁথিতে জগদ্ধাত্রী দেবী সম্পর্কে লিখেছেন। বাঙালি পণ্ডিত শরণদেব ১১৭২ বঙ্গাব্দে চণ্ডির টিকা লিখেছেন, তাতেও জগদ্ধাত্রী পূজার কথা বলে গিয়েছেন। পণ্ডিত পঞ্চানন তর্করত্ন মনে করেন, দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা পদ্ধতি শূলপাণিরও আগের। তিনি কাত্যায়নী তন্ত্রের কথা বলেছেন। এসব কথা হংসনারায়ণ ভট্টাচার্য তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘হিন্দুদের দেবদেবী’তে উল্লেখ করেছেন। এই বিষয়টি উত্থাপনের উদ্দেশ্য একটাই—কোনও মানুষ এমন কিছু স্বপ্ন দেখতে পারে না, যা তাঁর অভিজ্ঞতায় নেই। সুতরাং স্বপ্নাদেশ বা স্বপ্নে পাওয়া দেবীর রূপ ইত্যাদি কথাগুলি আসলে ভাসিয়ে তোলা এক উপকথা। আর জগদ্ধাত্রী দেবীর রূপকল্প তো রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আগে থেকেই মন্দিরের গায়ে উৎকীর্ণ করে রেখেছেন শিল্পীরা। এমনকী নদীয়া জেলার জলেশ্বর শিবমন্দিরের টেরাকোটা জগদ্ধাত্রী মূর্তি তৈরি হয়েছে ১৬৫৫ সালে। দিগনগরে রাঘবেশ্বর মন্দিরের গায়ে জগদ্ধাত্রী মূর্তি ১৬৬৯ সালে তৈরি। সুতরাং রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময়ের আগে থেকেই এই দেবী সম্পর্কে সম্যক ধ্যান-ধারণা বঙ্গের পণ্ডিতমহলে চর্চার বিষয় ছিল। 
রাজবংশের দেওয়ান কার্তিকেয়চন্দ্র রায়ের ‘ক্ষিতীশ বংশাবলী চরিত’ বই অনুযায়ী, জগদ্ধাত্রী ও অন্নপূর্ণা দু’টো পুজোই শুরু করেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। কিন্তু সমস্যাটা হল, কবে শুরু করেছিলেন? তার উপর নির্ভর করছে বঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন।
লোকমুখে প্রচলিত আখ্যান বলছে, খাজনা বাকি পড়ায় মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রকে কারাগারে বন্দি করেছিলেন বাংলার নবাব আলীবর্দী খাঁ। আশ্বিন মাসে মুচলেকা দিয়ে তিনি যেদিন মুক্তি পান, সেটা দুর্গাপূজার দশমী। সে বছর মহারাজের বন্দিদশার কারণে কৃষ্ণনগরে দুর্গাপূজা হয়নি। নিষ্প্রদীপ কৃষ্ণনগর। মহারাজ স্বপ্নাদেশ পান মা জগদ্ধাত্রীর— দুর্গাপূজার এক মাস পর শুক্লা নবমী তিথিতে আমার পূজার প্রচলন কর। তারপর থেকে কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের বিশিষ্ট বন্ধু ছিলেন হুগলির প্রভাবশালী চাল ব্যবসাদার ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। তাঁর হাত ধরে দেবী জগদ্ধাত্রী এলেন চন্দননগরে। 
কিন্তু আলীবর্দী খাঁর সময়কালে বাংলার পরিস্থিতি কেমন ছিল? ১৭৪০-১৭৫৬, এই ১৬ বছরে বর্গী ও আফগান আক্রমণে বিপর্যস্ত নবাবকে পাওয়া যায় ইতিহাসের পাতায়। তবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার ধর্মাবলম্বী। বহু হিন্দু তাঁর রাজ দরবারে উচ্চপদস্থ চাকরি করতেন। বাংলা যখন বর্গী আক্রমণে ছিন্নভিন্ন, তখন ক্রমাগত বাংলাকে রক্ষা করার জন্য প্রাণপাত লড়াই করেছেন। শেষ পর্যন্ত মারাঠা বর্গীদের সাথে সন্ধি চুক্তি করে বাংলাকে বাঁচিয়েও ছিলেন। এইরকম পরিস্থিতিতে আলীবর্দী খাঁ খাজনা আদায়ের জন্য কৃষ্ণচন্দ্রকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি ঠিক কতোটা যুক্তিযুক্ত ভাবার দরকার আছে। 
আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনার দিকে নজর দেওয়া দরকার। ১৭৬৩ সালে বাংলায় মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতাপ চিরদিনের মতো খর্ব হয়েছিল উধুয়ানালার যুদ্ধে। মীরকাশেম বনাম ইংরেজ। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ এবং মীরজাফরের মসনদে বসার মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ শাসনের প্রতিষ্ঠা। মীরজাফর ইংরেজদের বিরাগভাজন হন খুব তাড়াতাড়ি। গভর্নর হেনরী ভ্যান্সিটার্ট জোর করে তাঁকে সরিয়ে মসনদে বসান মীরকাশেমকে। মীরকাশেম আবার ইংরেজদের খবরদারি পছন্দ করলেন না। যে সব হিন্দু রাজারা ইংরেজদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে চলছিলেন, তাদের উৎখাতের চেষ্টা শুরু করলেন। জগৎ শেঠ, মহাতাব রায়, মহারাজ স্বরূপচন্দ্র সহ অনেক রাজন্যদের গ্রেপ্তার করা হল। সেই সময় মুঙ্গের কারাগারে বন্দি হন নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। মুঙ্গের কারাগারে রাখা হয়েছিল সবাইকে। পাল্টা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে ব্রিটিশরা। মীরকাশেম পালান উধুয়ানালায়। উধুয়ানালা যুদ্ধে পরাস্তও হন। প্রাণ বাঁচাতে মুঙ্গের দুর্গে আশ্রয় নেন মীরকাশেম। ভ্যান্সিটার্ট মুঙ্গের দুর্গ আক্রমণ করেন। কারাগার ভেঙে উদ্ধার করেন কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে। আর মীরকাশেম পালানোর সময় হত্যা করেন জগৎ শেঠ, মহাতাব রায় সহ বেশ কয়েকজনকে। নিখিলনাথ রায়ের লেখা ‘মুর্শিদাবাদ কাহিনী’ তে সেকথা সবিস্তারে বলা আছে। 
কৃষ্ণচন্দ্র যখন মুক্তি পান তখন আশ্বিন মাস হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ, উধুয়ানালার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৭৬৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। তারপর তিনি কৃষ্ণনগরে ফিরে জগদ্ধাত্রী পুজোর 
প্রচলন করতে পারেন। ভয়ঙ্কর মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। তাই উৎসব অনিবার্য। আর পুজো মানেই উৎসব আর রাজস্ব বৃদ্ধি। 
ফরাসডাঙার ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী কিন্তু কোনওদিন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান ছিলেন না। তিনি ১৭৩০ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি ফরাসিদের ‘ক্যুর্তিয়ে’ বা ‘দালাল’ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন মাত্র ১৪ বছর বয়সে। ঠিক দু’বছর পর, ১৭৩২ সালে হন চন্দননগরের প্রথম ইজারাদার। বার্ষিক ১২,০০০ টাকার বিনিময়ে চন্দননগরের সমস্ত কিছুর সর্বাধিকারি হয়ে ওঠেন। খাজনা সংগ্রহ করতেন ‘কালেক্টার’ হিসেবে। সেই সময় তিনি বছরে ৮০,০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেছেন এই তথ্যও পাওয়া যায়। তবে বেশিদিন বাঁচেননি। ১৭৫৬ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। 
এই ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীই যদি চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করে থাকেন, তবে নিশ্চিতভাবে তা ১৭৫৬ সালের আগে। তাহলে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পুজোও শুরু হতে হবে ১৭৫৬ সালের আগে। অর্থাৎ আলীবর্দী খাঁর আমলে তাঁর গ্রেপ্তারি। কিন্তু এর কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। আরেকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি—১৭৫৬ সালে সিরাজদৌল্লার কলকাতা আক্রমণ এবং ১৭৫৭ সালে ক্লাইভের পলাশীর পথে চন্দননগর দখল। ১৭৫৭-১৭৬৩, ৫ বছর শহরটি ছিল ব্রিটিশদের অধীনে। সুতরাং সেই সময়ে পুজোর বিষয়টি প্রাধান্য পায় না।
বঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু ১৭৬৩ সালেই হওয়ার সম্ভাবনা ঐতিহাসিক ভাবে মান্যতা পায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে আরেকজনের নাম উঠে আসে এই মফস্সল অঞ্চলে। তিনি দাতারাম সুর। তাঁর সম্পর্কে আশ্চর্য নীরব থেকেছে ইতিহাস। কেউ বলেছে তিনি রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কর্মচারী, কারও মতে অনুচর বা দেওয়ান। এই দাতারামই চন্দননগর সংলগ্ন গৌরহাটি গ্রামে দুই বিধবা মেয়ের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। এবং সেটা রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অনুরোধে। তিনি অন্নপূর্ণা পুজোও এমনভাবে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বাড়ির পুজো হিসেবে জগদ্ধাত্রী আরাধনা শুরু হলেও আর্থিক অনটনের কারণে অচিরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তখন গ্রামের সবাই এগিয়ে এসে ১৭৯৩ সালে জিটি রোডের উপর একটি জমিতে পুজোটি শুরু করে। পাশে বিরাট তেঁতুল গাছ থাকায় লোকমুখে জায়গাটির নাম হয় তেঁতুলতলা। 
 চন্দননগরের চাউলপট্টির জগদ্ধাত্রী এই অঞ্চলের প্রথম পুজো। ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর বাড়ির বংশধরদের নামে আজও সংকল্প করা হয়। কথিত আছে, কৃষ্ণনগরের চাল ব্যবসাদারেরা একবার কেনাবেচা সেরে চন্দননগর থেকে ফিরতে পারেনি। তখন ছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়। সেই ব্যবসাদারেরা ফরাসী সরকারের অনুমতিক্রমে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চাউলপট্টিতে দেবীর আরাধনা শুরু করে। সেটা অবশ্যই হয় ১৭৬৩ সালে বা পরে। 
এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বাংলার বিভিন্ন জায়গায়। কৃষ্ণনগরের রাজবংশের সঙ্গে যোগ আছে নদীয়ার শান্তিপুরের জগদ্ধাত্রী পুজোর। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্র ১৮০২ সালে রাজা হন। তিনি শান্তিপুরের হরিপুরে পত্তন করেন ১০৮ ঘর ব্রাহ্মণের বসতির এক গ্রাম, ‘ব্রাহ্মশাসন’। লোকশ্রুতি অনুযায়ী, শান্তিপুরের এই অঞ্চলে কামরাঙা গাছের তলায় পঞ্চমুন্ডির আসনে তান্ত্রিক মতে দেবী জগদ্ধাত্রীর প্রথম পুজো শুরু করেন চন্দ্রচূড় তর্কমুনি। 
বিভিন্ন লোককথা, কিংবদন্তি নিয়েই এগিয়ে চলে এক একটি উৎসব। রাস্তায় জনস্রোতের মতো। আনন্দ উচ্ছ্বাসের ঝরনাধারায় স্নান করে মুছে যায় ছোট্ট ছোট্ট অলিগলির সমস্ত মালিন্য-গ্লানি। আলোর খেলায় ভাসতে তৈরি হচ্ছে শহর। শোভাযাত্রা চলবে সারারাত। জগৎকে ধারণ করার সংকল্প আজ। জগতাং ধাত্রী!
ছবি: আনন্দ দাস
8Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা