বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
উত্তরবঙ্গ
 

জলপাইগুড়ি শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকা থেকে দেখা মিলল কাঞ্চনজঙ্ঘার। শুক্রবার দিলীপ রায়ের তোলা ছবি।

ফুড সেফটি লাইসেন্স
ছাড়াই চলছে দোকান
গঙ্গারামপুরে ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের

সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুর মহকুমা জুড়ে ফুড সেফটি লাইসেন্স ছাড়াই ব্যাঙের ছাতার মতো খাবারের দোকান গজিয়ে উঠেছে। এসব দোকানের খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গঙ্গারামপুর মহকুমায় চারটি ব্লক সদর ও দু’টি পুরসভা শহর জুড়ে নতুন নতুন খাবারের দোকান খুলে ব্যবসা চললেও অধিকাংশ দোকানে নেই ফুড সেফটি লাইসেন্স। ২০১১ সালে খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ফুড স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড সেফটি অথরিটি অব ইন্ডিয়া গোটা দেশে খাদ্য সুরক্ষা আইন কার্যকর করে স্বাস্থ্যদপ্তরের মাধ্যমে। 
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় খাদ্য সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ দায়িত্বে রয়েছেন। জেলায় খাতায় কলমে খাদ্য সুরক্ষার কাজ হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গঙ্গারামপুর মহকুমায় একজন ফুড সেফটি ইন্সপেক্টর থাকলেও সাধারণ মানুষ থেকে ছোট বড় ব্যবসায়ী কোনও দিন ফুড সেফটির নাম পর্যন্ত শোনেনি। জেলায় ওই দপ্তর কী কাজ করে, তাও জানেন না অধিকাংশ খাবারের দোকান মালিক। এদিকে স্বাস্থ্যদপ্তরের অধীনে থাকা খাদ্য সুরক্ষা বিভাগের নজরদারির অভাবে ছোট বড় ব্যবসায়ীরা নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করছে বলে অভিযোগ। মহকুমার ফুড সেফটি আধিকারিকদের কোনওদিন খাবারের গুণগত মান যাচাই করতে পুরসভা শহর ও ব্লক সদরে অভিযান করতে দেখা যায়নি। কীভাবে লাইসেন্স ছাড়াই খাবারের দোকান চলছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কর্মীর অভাবে নিয়মিত নজরদারি করা সম্ভব নয়। এদিকে ফুড সেফটি লাইসেন্স না থাকায় পুরসভা ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ দেবাশিস পাল বলেন, গঙ্গারামপুর মহকুমায় একজন মাত্র ফুড সেফটি অফিসার আছেন। তাঁর পক্ষে গোটা মহকুমায় নজরদারি করা সম্ভব নয়। আমরা ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য ফুড রেজিস্ট্রেশন করিয়ে থাকি। বড় ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স দেওয়া হয়। রেজিস্ট্রেশন মেলার মাধ্যমে এই কাজ হয়। পুর শহরগুলিতে ফুড সেফটি কমিটি আছে। খাবারের বিষয়ে অভিযোগ পেলে ফুড সেফটি আধিকারিক গিয়ে খাবারের গুণগত মান যাচাই করেন। তৈরি খাবার পরীক্ষা করার জন্য রাজ্য থেকে এখনও গাড়ি দেয়নি। আমরা পরিকাঠামো পেলে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখতে পারব।  
বুনিয়াদপুর পুরসভার প্রশাসক অখিল বর্মন বলেন, আমাদের শহরে নতুন নতুন খাবারের দোকান খুলেছে। অথচ তাদের কাছে ফুড সেফটি রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স নেই। আমার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও কোনওদিন ফুড সেফটি আধিকারিককে শহরের কোনও খাবারের দোকান পরিদর্শন করতে দেখিনি, শুনিনি। অথচ বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের অধীন। ক্রেতারা কী খাচ্ছে, সেবিষয়টি খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের দেখা দরকার। 
গঙ্গারামপুরের স্ট্রিট ফুড বিক্রেতা নিমাই হালদার বলেন, আমি চপ, রোল, চাউমিন বিক্রি করি। প্রতিদিন সব বিক্রি হয় না। ফ্রিজে রেখে পরদিন আবার বিক্রি করা হয়। ফুড সেফটি লাইসেন্স কী তা আমার জানা নেই।

2nd     June,   2023
 
 
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ