সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
দি স্টারল্যান্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের কর্ণধার ইন্দ্রজিৎ দাস বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইনে পড়াশোনা চললেও ভবিষ্যতে সেই ক্লাসরুমেই ফিরে আতে হবে। ক্লাসে শিক্ষকদের সামনে পড়াশোনা করাই আসল পথ। তবে এখন ছাত্রছাত্রীদের একঘেয়েমি কাটাতে নানা ধরনের অ্যাক্টিভিটি দেওয়া হচ্ছে। তাতে ভালো সাড়া মিলেছে। একটানা অনেকটা সময় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের। তাই চোখকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ব্যায়াম দেওয়া হয়েছে। ভিডিও করে তা হোয়াটসঅ্যাপে পোস্ট করা হয়েছে।
ব্লুমিং বাডস স্কুলের কর্ণধার প্রভাসচন্দ্র ঘোষ বলেন, অনলাইনে ক্লাস ভালোই চলছে। তবে এই পদ্ধতির প্রতি নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফের ফিরে আসত হবে ক্লাসরুমেই। অনলাইন ক্লাস চলছে বলে পুরো ফি নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন স্কুলের কর্তৃপক্ষও সমস্যা মধ্যে পড়ছে। এদিকে, অনলাইনে ক্লাস করার সময় যাতে পড়ুয়াদের চোখের উপর বাড়তি চাপ না পড়ে, তার জন্য দু’টি ক্লাসের মধ্যে একটা বিরতি দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের কর্ণধার মানস ঘোষের বক্তব্য, কোভিড পরিস্থিতিতে আমাদের অনলাইনেই শিক্ষাদান চালিয়ে যেতে হবে। বিদেশে এই পদ্ধতি এখন বেশি প্রচলিত। তবে এখানে এর গ্রহণযোগ্যতা এখনও তৈরি না হলেও ভবিষ্যতে তা হবে। সমস্যার জায়গা হল, সারাদিন মোবাইল ফোনে চোখ রাখলে তার কুপ্রভাব পড়তে পারে ছাত্রছাত্রীদের উপর। এ বিষয়ে অভিভাবকদের নজর দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে ক্লাস চলায় স্কুল কর্তৃপক্ষও কিছুটা সমস্যায় পড়েছে। কারণ এই ধরনের ক্লাসের জন্য পড়ুয়াদের থেকে পুরো ফি নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে এলে সবপক্ষেরই সুবিধা হবে। পড়ুয়ারাও স্কুলে আসার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ছে।
কিংস্টন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটের কর্ণধার তীপম ভট্টাচার্যের অভিমত, প্রায় এক বছর হতে চলল অনলাইনেই পঠনপাঠন চলছে। তবে কারিগরি শিক্ষার প্র্যাকটিক্যাল অনলাইনে করানো মুশকিল। পড়ুয়ারা হাতে কলমে তা না শিখলে পরবর্তীকালে সমস্যা হবে। ফলে অনলাইনে পড়াশোনা কখনওই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হতে পারে না। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে হচ্ছে। এটাও চ্যালেঞ্জিং কাজ। অনলাইনে ছাত্রছাত্রীদের যতটা সম্ভব সুবিধা এবং পরিষেবা দেওয়া হলেও, ক্লাসে এসে পড়াশোনা করার কোনও বিকল্প হতে পারে না।
নর্থ পয়েন্ট ডে স্কুলের সেক্রেটারি সাজিথ কৃষ্ণান কুট্টির মতে, প্রথমে অনলাইনে পড়াশোনা নিয়ে সমস্যা থাকলেও, পরে তা অনেকটাই ঠিক হয়ে গিয়েছে। সমস্যা হল, হাতের লেখা অনুশীলন হচ্ছে না। কারণ, ছাত্রছাত্রীরা মোবাইলে টাইপ করে হোমওয়ার্ক পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাই অভিভাবকদের বলা হয়েছে, কোনও কাজ দেওয়া হলে, তা লিখিত আকারে করতে হবে। পরে তা স্ক্যান করে শিক্ষকদের কাছে পাঠাতে হবে। এত কিছুর পরেও প্রথাগত শিক্ষাদান ব্যবস্থা ফিরে আসুক, সেটাই আমরা চাইছি। এতে পড়ুয়াদেরই সুবিধা হবে।