সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
এখন প্রশ্ন, যারা পছন্দমতো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে জায়গা করে নিতে পারল না বা যারা স্বেচ্ছায় ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথামেটিক্স-সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে পড়তে আগ্রহী, তাদের সামনে দ্বাদশের পর কী কী বিষয় নিয়ে এগনোর সুযোগ আছে—
(১) নিজের পছন্দমতো বিষয় অর্থাৎ ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথামেটিক্স, জিওলজি সহ একাধিক বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বা অন্যান্য আইআইটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এমনকী ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডিও করা সম্ভব। গতেবাঁধা বিজ্ঞান-এর বিষয়গুলি ছাড়া যে সমস্ত বিষয়ে স্নাতক হওয়ার পর পড়াশোনা করা যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মেডিক্যাল ফিজিক্স, নিউক্লিয়ার মেডিসিন, মলিকিউলার মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি, অ্যাস্ট্রোনমি, অ্যাপ্লায়েড জিওলজি ইত্যাদি।
(২) কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে এখন মাইক্রোবায়োলজি, বায়োটেকনোলজি, জিওলজি-র মতো চাহিদাপূর্ণ বিষয় স্নাতকস্তরে চালু রয়েছে। আর বিশেষ করে ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে নিউট্রিশন, ডায়েটেটিক্স-এর মতো চাহিদাপূর্ণ কোর্স রয়েছে অনেকগুলি কলেজে। যেগুলির ভবিষ্যৎ যথেষ্ট উজ্জ্বল।
(৩) এইবার যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব, সেটি খুবই আকর্ষণীয়। বিশেষত, যারা ১০+২-এর পর জয়েন্ট দিয়ে উপযুক্ত কলেজ না পেয়ে গ্র্যাজুয়েশনে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ম্যাথামেটিক্স নিয়ে পড়েছে, তাদের জন্য তো বটেই। গ্র্যাজুয়েশনের পর এই ছাত্রছাত্রীরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লায়েড অপটিক্স অ্যান্ড ফোটোনিক্স, অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স, পলিমার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, রেডিও ফিজিক্স অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স, কেমিক্যাল টেকনোলজিতে পোস্ট বিএসসি-বিটেক করতে পারে। একইভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজ্যের অন্যান্য কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়েও স্নাতক হওয়ার পর পোস্ট বিএসসি-বিটেক কোর্স পড়ানো হয়।
(৪) বর্তমান কর্পোরেট জগতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদের চাহিদা বাড়ছে বই কমছে না। সব পেশাদারদের উত্থান-পতন হলেও এই পেশাদারদের চাহিদা বেশ স্থিতিশীল। দ্বাদশস্তরে বিজ্ঞান, বিশেষত গণিত বিষয়টিতে যদি বিশেষভাবে জোর দেওয়া যায়, তাহলে পরবর্তীকালে সিএ করতে অনেকটাই সুবিধা। যদিও ইকো-স্ট্যাট-ম্যাথ— এই কম্বিনেশন নিয়ে সিএ পড়তে এলে বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকা যায়। এছাড়া সিএ-র পর যারা অ্যাকচ্যুরিয়াল সায়েন্সের মতো বিষয় নিয়ে ভবিষ্যতে পড়তে আগ্রহী, তাদের ক্ষেত্রেও সুবিধা ১০+২-তে গণিত বিষয়টি থাকলে।
(৫) আর কথাতেই আছে ‘শেষ ভালো যার সব ভালো’ অর্থাৎ একটা সফল কেরিয়ার। তা অ্যাকাডেমিক হোক বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ। আর এখন যে কোনও চাকরির পরীক্ষাতে অঙ্ক বা নিউমেরিক্যাল এবিলিটি একটি বিষয় হিসেবে থাকবেই। তাই দ্বাদশস্তরে বিজ্ঞান থাকলে একটু অগ্রাধিকার পাওয়া যায় বইকি। ডব্লুবিসিএস, সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস-সহ অন্যান্য পরীক্ষাতে এমন কিছু প্রশ্ন থাকে, যার উত্তর দেওয়া ১০+২-এ বিজ্ঞান নিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বেশ সুবিধাজনক।