সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
যে সকল প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে এমবিএ এবং পিজিডিএম পড়া যায় তার মধ্যে অন্যতম— ডব্লুবিজেম্যাট। ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, ফার্মাসি বা আর্কিটেকচারে স্নাতক বা যে কোনও বিষয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর করা থাকলে এই পরীক্ষায় বসা যায়। এছাড়াও যে সকল প্রবেশিকা পরীক্ষা রয়েছে সিম্যাট, ম্যাট, জ্যাট, ক্যাট, গেট, জিইম্যাট, জিম্যাট। এই পরীক্ষাগুলির ভ্যালিড স্কোর থাকলে এমবিএ কলেজে পড়ার জন্য আবেদন করা যায়। ভর্তির জন্য লিখিত পরীক্ষা, গ্রুপ ডিসকাশন এবং পার্সোনাল ইন্টারভিউ-এ বসতে হয়। তবে কয়েকটি কলেজে এইসব প্রবেশিকা পরীক্ষার ভ্যালিড স্কোর থাকলে ম্যানেজমেন্ট কোটায় সরাসরি ভর্তি হওয়া যায়।
এমবিএ কোর্সের মধ্যে রয়েছে মার্কেটিং, সেলস, ফিনান্স, হিউম্যান রিসোর্স, ইনফরমেশন টেকনোলজি সহ অনেকগুলি বিষয়।
দু’বছরের এমবিএ পড়ার সময় শিক্ষার্থীকে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে বিশদে জানাতে এবং দক্ষ পেশাদার করে তুলতে পাঠক্রমকে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। এর জন্য প্রথম বছর ম্যানেজমেন্টের পাঠক্রম থাকে এবং দ্বিতীয় বছর শিক্ষার্থীকে চয়েস করে নিতে হয় কোনও একটি বিষয়। স্পেশালাইজেশন করা যায় এমন ১০টি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে—
১) এমবিএ ইন ফিনান্স, ২) এমবিএ ইন মার্কেটিং, ৩) এমবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স, ৪) এমবিএ ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, ৫) এমবিএ ইন অপারেশন, ৬) এমবিএ ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি, ৭) এমবিএ ইন সাপ্লাই অ্যান্ড চেন ম্যানেজমেন্ট, ৮) এমবিএ ইন রুরাল ম্যানেজমেন্ট, ৯) এমবিএ ইন এগ্রি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং ১০) এমবিএ ইন হেলথ কেয়ার ম্যানেজমেন্ট। জেনারেল এমবিএ ছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি স্পেশাল এমবিএ। এর মধ্যে রয়েছে—
মাস্টার ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন– পাবলিক সিস্টেম:
এই বিষয়টি পড়ার সময় স্পেশালাইজেশন করা যায় এনার্জি ম্যানেজমেন্ট, এনভায়রনমেন্ট ম্যানেজমেন্ট, হেলথ কেয়ার অ্যান্ড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট বা ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড লজিস্টিক ম্যানেজমেন্টে। সামাজিক বিষয়গুলিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে এই ম্যানেজমেন্ট কোর্সটি গড়ে উঠেছে।
এই কোর্সে ভর্তির জন্য ম্যাট, ক্যাট, সিম্যাট, জেইম্যাট, গেট, বা জিম্যাট এর মাধ্যমে ভর্তি হতে হয়।
মাস্টার ইন হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড অর্গানাইজেশনাল ম্যানেজমেন্ট:
এই ম্যানেজমেন্ট কোর্সটিতে রয়েছে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে দু’বছরের ফুল টাইম স্পেশালাইজেশন কোর্স করার সুবিধা।
এই কোর্সে ভর্তির জন্য আর্টস, সায়েন্স বা কমার্সে তিন বছরের অনার্স পাশ হতে হবে। আবার ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, মেডিক্যাল সায়েন্স বা প্রফেশনাল কোর্সে ব্যাচেলার ডিগ্রি থাকতে হবে। ক্যাট, ম্যাট বা ন্যাশনাল লেভেলের কোনও টেস্টে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
এমবিএ ইন রিটেল ম্যানেজমেন্ট:
রিটেলের দুনিয়াতে কাজের ক্ষেত্র অনেক বড়। এই মার্কেটে কাজ করতে চাইলে, ভালো অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স থাকলে, অভিজ্ঞতা থাকলে ও লিডারশিপ করার ক্ষমতা থাকলে এই কোর্সটি করা যায়।
এই কোর্সে ভর্তির জন্য কমার্স, আর্টস বা সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট বা কোনও প্রফেশনাল কোর্সে গ্র্যাজুয়েট অথবা বিই, বিটেক, বিবিএ বা পাঁচ বছরের এলএলবি পাশ হতে হয়। ক্যাট এবং ম্যাট-এর স্কোরের উপর নির্ভর করে ভর্তি নেওয়া হয়।
এমবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট:
ছোট বা বড় প্রতিষ্ঠানে এইচআর ম্যানেজার বা হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারদের রাখা হয়। মূলত এঁদের কাজ হল প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা প্রদান করা। এর জন্য বিভিন্ন পলিসি তৈরি করা সেটা প্রয়োগ করা এবং এমপ্লয়িদের কোনও ট্রেনিং প্রয়োজন কিনা দেখা বা কোনও বেনিফিট দরকার কিনা সেটাও দেখা। আবার সংস্থায় কোনও কর্মীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ হচ্ছে কিনা সেটাও দেখা। আর এগুলিকে বাস্তবায়িত করার জন্য রিক্রুটমেন্ট, পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল তৈরি করা সবই থাকে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারদের হাতে। এইচআর ম্যানেজার হওয়ার জন্য পড়ে নেওয়া যায় এমবিএ ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট। কোর্স ওয়ার্কের মধ্যে থাকে অ্যাকাউন্টিং, বিজনেস অ্যানালিসিস, ইকনমিক্স, ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট, অর্গনাইজেশনাল ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং প্রভৃতি।
আর্টস, সায়েন্স বা কমার্সে অনার্স গ্র্যাজুয়েট হলে এবং সিম্যাট বা ম্যাট পরীক্ষা পাশ হলে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। এর পর গ্রুপ ডিসকাশন বা ভাইভা থাকে। এছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, মেডিসিন বা প্রফেশনাল কোর্স যাঁরা করেছেন তাঁরাও আবেদন করতে পারেন।
এমবিএ ইন এইচআরএম পড়ে কেবলমাত্র এইচআর ম্যানেজার হওয়া যায় এমন নয়। অ্যাফার্মেটিভ অফিসার বা পে-রোল ডিরেক্টর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানাভাবে এইচআরএম পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে থাকে।
এমবিএ ইন ট্যুরিজম:
আকর্ষণীয় এমবিএ কোর্সগুলির মধ্যে অন্যতম এমবিএ ইন ট্যুরিজম। ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে এই কোর্সটি।
আর্টস, সায়েন্স, কমার্স বা যে কোনও সোশ্যাল সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট হলে, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, ফার্মাসি, এগ্রিকালচারে ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে গ্র্যাজুয়েট হলে আবেদন করা যায়। ম্যাট স্কোর দেখে ভর্তি নেওয়া হয়।