দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
যেখানে লাখে লাখে ছেলেমেয়ে সাধারণ স্নাতক অর্থাৎ বিএ, বিএসসি, বিকম এমনকী মাস্টার্স করে চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে, সেখানে সাড়ে চার বছরের ব্যাচেলর অফ ফিজিওথেরাপি অর্থাৎ বিপিটি পাশ করে রোজগারের অপার সুযোগ। বিষয়টি আরও একটু সহজ করে বোঝালেন রাজ্যের প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট অলোক রায়চৌধুরী। তিনি জানালেন, শিক্ষিত অর্থাৎ গ্র্যাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্টের চাহিদা আকাশছোঁয়া। চাকরির চেয়েও নব্য ফিজিওথেরাপিস্টরা পছন্দ করে নিজস্ব প্র্যাকটিস। দশটা-পাঁচটার বাঁধা ধরা চাকরির চেয়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায় প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে। নিজস্ব চেম্বারে নির্দিষ্ট সময় আর বাকিটা রোগীর বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া। তবে অলোকবাবুর মতে, চাহিদা এখন এতটাই যে শুধু ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীরাই নয়, কিছু হাতুড়ে ফিজিওথেরাপিস্টও মওকা বুঝে এই পেশাতে ঝুঁকছেন। লগ্নি বলতে তো এক-দুটো মেশিন। তাই হাঁটু, কোমর, গোড়ালির ব্যথাতে ভুগছেন বা যে সমস্ত বয়স্ক রোগীদের নিয়মিত ফিজিওথেরাপির সাহায্য নিতে হয়, তাঁদের যাচাই করে নেওয়া উচিত বিষয়টি।
ব্যাচেলর ডিগ্রির পর রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেশ কয়েকটি ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্সও করা যায় ফিজিওথেরাপি নিয়ে। আর, ব্যাচেলর ইন ফিজিওথেরাপি পড়ার জন্য রয়েছে অনেকগুলি প্রতিষ্ঠান। ১০+২ এরপর ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড একটি পৃথক পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী বেছে নেয়। যদিও পরীক্ষাতে বসার জন্য বিজ্ঞান বিভাগে পঞ্চাশ শতাংশ নম্বর প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ২০২০-তে যারা ১০+২ দেবে তারাও এই পরীক্ষাতে বসতে পার। অবজেকটিভ টাইপের প্রশ্ন হয় বিজ্ঞান বিভাগের উপর। ভুল উত্তর দেওয়ার জন্য নম্বর কেটে নেওয়া হয়। wbjeeb.nic.in ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য পাবে।