কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
ইন্ডাস্ট্রিতে কিছুদিন ধরেই কানাঘুষো চলছিল। মঙ্গলবার সকালে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে বিষয়টি জানান শ্রীজিৎ স্বয়ং। শোনা যাচ্ছে, গত বছর রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ছবির শ্যুটিং বন্ধের সময় শ্রীজিৎ টেকনিশিয়ানদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। তার জেরেই এই পরিস্থিতি। মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীজিতের অসম্পূর্ণ ধারাবাহিকের সেটে পৌঁছন টলিউডের ডিরেক্টরস গিল্ডের সদস্যরা। সেখানে পরিচালক তথা অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য বললেল, ‘আমরা সবাই সমাধান চাইছি। কেউ বিপ্লব বিদ্রোহ চাইছি না। ইন্ডাস্ট্রির সদস্য হিসেবে আমাদের মনে হয়েছে একটি সমস্যা হয়েছে। তাই গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের কথা তুলে ধরেছি। কিন্তু, সমস্যা মেটেনি, বেড়েছে। অপরদিকে এটাও সত্যি যে, এটা কথোপকথনের রাজনীতি নয়। রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ছবির শ্যুটিং বন্ধের সময় পরিচালক, টেকনিশিয়ান, প্রযোজকদের মধ্যে যে বিরোধ তার কারণ এবং যে পদ্ধতিতে কাজ হচ্ছে তা আরও একবার খতিয়ে দেখার কথা আমরা বলেছি।’
শ্রীজিৎ জানান, নতুন ধারাবাহিকের জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা লগ্নি হয়ে গিয়েছে। এই ক্ষতি গোটা ইন্ডাস্ট্রির। তাঁর দাবি, ‘গিল্ডের প্রেসিডেন্ট আমাকে জানিয়েছিলেন যে, আমি ফেডারেশন বিরোধী কথা বলার কারণে তাঁরা কাজ করতে অনিচ্ছুক। ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি এবং সম্পাদক জানিয়েছেন, বুধবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। তারপরেও যদি সমাধানসূত্র না বেরয় তাহলে ডিরেক্টরস ইসি কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে তা ধার্য হবে।’ এ বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডের সম্পাদক তথা পরিচালক সুদেষ্ণা রায় বললেন, ‘একজন পরিচালক অনেক কষ্ট করে একটা প্রজেক্ট শুরু করেন। তার সঙ্গে বহু মানুষের রুটিরুজি জড়িয়ে থাকে। শ্রীজিতকে লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। আমার প্রশ্ন হঠাৎ কাজ বন্ধের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে সেটা জানানো হোক।’
শ্রীজিৎ একা ভুক্তভোগী নন। পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের ওয়েব সিরিজ ‘অচিন্ত্য আইচ সিজন টু’-এর কাজও থেমে রয়েছে। জয়দীপের কথায়, ‘এই কাজ বন্ধের জন্য আমার একার ক্ষতি নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আরও তিনশো থেকে চারশো জনের ক্ষতি।’ কয়েকদিন আগে শোনা গিয়েছিল, পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি নিয়েও এমন অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল।
শ্যুটিংয়ে টেকনিশিয়ানদের অসহযোগিতার প্রসঙ্গে ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ফেডারেশন এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করবে। অনেক জায়গায় বলা হচ্ছে কাজ বন্ধ রয়েছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কাজ বন্ধ নেই। ফেডারেশনও কাজ বন্ধের বিরোধী।’