কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
পর্দার বেলা অর্থাৎ ঋতুপর্ণা বললেন, ‘বেলা দে তৎকালীন সময়ে সামাজিক বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। তাঁর হাত ধরে বেতার জগতে বিরাট পরিবর্তন এসেছিল। কথাতেই আছে, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে— বেলা দে তাঁর অন্যতম উদাহরণ। গৃহিণীদের নিজস্ব স্বীকৃতির জন্য বেলার লড়াই আজও নানা মহলে চর্চিত। বেলা দে’র চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে আমি ভীষণ খুশি। কারণ, আমার মায়ের কাছে বেলা দে’র রান্নার বই দেখেছি। চরিত্রটি অভিনয় করছি শুনে মা খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু, দুঃখের বিষয় মা আজ নেই। আমি জানি মা ঠিকই দেখছে।’
বইয়ের পাতা থেকে এবার রূপোলি পর্দায় রান্নার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে ‘বেলা’ ছবির মাধ্যমে। বেলা দে’র বায়োপিক বিভিন্ন রান্নার রেসিপির সঙ্গে সঙ্গে আকাশবাণী, মহিলা মহল সহ একাধিক নস্টালজিয়া নতুন করে উস্কে দেবে। ছবির পরিচালক অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মেয়েদের স্বীকৃতি, স্বাধীনতার জন্য বেলা দে’র অদম্য লড়াই ছিল। আমি কাজের সূত্রে এমন অনেক গৃহিণীদের দেখেছি যাঁরা অসাধারণ রান্না করেন। ঘরকন্না ঘিরেই তাঁদের গোটা জগৎ। তাঁরা কোনও অফিসে চাকরি করেন না বা সঙ্গীত-নৃত্যে পারদর্শী নন। কিন্তু, তাঁদের রান্নার হাত তুখোড়। এই গৃহিণীদেরও দিনের শেষে স্বীকৃতি প্রাপ্য। কিন্তু, তাঁরা প্রাপ্য প্রশংসা থেকে বঞ্চিত হন। সেই সকল গৃহিণীদের আমরা এই ছবির মাধ্যমে স্বীকৃতি দিতে চাই। যাঁরা সারাদিন বাড়িতে রান্না করে মুখের সামনে খাবার তুলে দেন, তাঁরাও শিল্পী।’ পরিচালক জানালেন, বেলা চরিত্রের জন্য ঋতুপর্ণাই প্রথম পছন্দ ছিল। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রণজয় ভট্টাচার্য। ‘বেলা’র সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিং এর নামও। এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মানসী সিনহা, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। শীঘ্রই মুক্তি পাবে সিনেমাটি।