কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
সরস্বতী পুজো মানেই আমার কাছে ব্যস্ততার দিন। সারা বছর জুড়ে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা থাকত। আমাদের বাড়িতে বড় করে সরস্বতী পুজো হত। সরস্বতী পুজোতে শাড়ি পরা মাস্ট। শাড়ি পরে স্কুলে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, একসঙ্গে বসে প্রসাদ খাওয়া— এগুলো ছাড়া আমার কাছে সরস্বতী পুজো অসম্পূর্ণ ছিল। সরস্বতী পুজোর ভোগ মানেই খিচুড়ি, বেগুন ভাজা। একদম ছোট্ট বেলায় মা হলুদ লাল শাড়ি পরিয়ে আমাকে পাড়ার মণ্ডপে নিয়ে যেত। তখন আমি স্কুলেও ভর্তি হইনি। মায়ের শাড়ি পরে সরস্বতী পুজোর সাজ শুরু হত ছোটবেলায়। সেই ধারা এখনও অব্যাহত।
আমার পড়াশোনা গার্লস স্কুলে। ছেলেরা তাদের স্কুল থেকে ওই একটা দিনই আমাদের স্কুলে আসার ছাড়পত্র পেত। আমার বেশ কিছু বন্ধুর বয়ফ্রেন্ডরাও আসত। তাদের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব থাকত আমার উপর। সরস্বতী পুজো মানেই তো বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে। প্রেমের মরশুম শুরু। তখন আমার কোনও বয়ফ্রেন্ড ছিল না, এখনও নেই। স্কুল-কলেজ জীবনে প্রচুর প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছি। চকোলেট, ফুল পাঠিয়ে অনেকেই প্রেম নিবেদন করেছে। কিন্তু, আমার কাউকেই মনে ধরেনি। ফলত কারোর প্রেমের ডাকেই সাড়া দেওয়া হয়নি, প্রেমের প্রস্তাব পত্রপাট প্রত্যাখ্যান করতে হয়েছে। বেশ কিছু প্রেমপত্র পেয়েছি। আরও একটা মজার বিষয় ছিল। অনেক সময় প্রেমের প্রস্তাবের সঙ্গে পাঠানো চকোলেট আমার অবধি এসে পৌঁছয়নি। আমার বন্ধুরাই চকোলেট সাবাড় করে দিয়েছিল।
আজ বিভিন্ন জায়গায় সরস্বতী পুজোর নিমন্ত্রণ আছে। সেসব রক্ষা করতে যাব। এবারের পুজো আমার কাছে খুব স্পেশাল। কারণ আমার আগামী ছবি ‘রঘু ডাকাত’-এর মহরত হবে আজই। ‘খাদান’-এ ‘কিশোরী’র জন্য দর্শকদের উজাড় করা ভালোবাসা পেয়েছি। আবারও দেবদার সঙ্গে কাজের সুযোগ পেলাম। এই ছবিটা আমার কাছে সত্যিই খুব স্পেশাল।