পরিবারের কারওর চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ততার যোগ। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হবেন। ... বিশদ
নেভার মাইন্ড
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এই মুহুর্তে ‘নেভার মাইন্ড’ ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত। চৈতি ঘোষাল পরিচালিত এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম তৃণা। বললেন, ‘খুব ইন্টারেস্টিং একটা চরিত্র। অনেকদিন পর একটা কিছুর খোঁজে সে অনেকটা দূর থেকে আসে এবং শেষ পর্যন্ত সেটা খুঁজে পায় কি না, এ নিয়েই গল্প। তৃণা একইসঙ্গে কর্পোরেট, ইমোশনাল এবং স্ট্রেট ফরোয়ার্ড একজন মহিলা।’
যোগ্য উত্তরাধিকারী
‘নেভার মাইন্ড’ চৈতি পরিচালিত প্রথম সিনেমা। সে প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘চৈতিদির কাজের অভিজ্ঞতাকে আমি খুব শ্রদ্ধা করি। চৈতিদির বাবাও একজন স্বনামধন্য মানুষ ছিলেন। তিনি নিজেও সিনেমায় অনেক কাজ করেছেন। নাটকের এত বড় একটা ঐতিহ্য। অভিনয় সম্পর্কে চৈতিদির ধারণা খুব স্পষ্ট এবং এ নিয়ে পড়াশোনাও অনেক।’ এই সময়ে দাঁড়িয়ে ঋতুপর্ণা মনে করেন, যে কাজগুলো দর্শকের মধ্যে আলাদা করে প্রভাব ফেলবে, একটু অন্যরকম সিনেমা দর্শকদের উপহার দিতে পারবেন, তেমন কাজই তিনি করবেন। তাঁর কথায়, ‘সেজন্যই চৈতিদির সঙ্গে এই কাজটা শুরু করলাম।’
খোলা মনে
ঋতুপর্ণা বরাবরই নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসেন। সেই সিদ্ধান্ত কি ঝুঁকির মনে হয়? নায়িকা বললেন, ‘এ বিষয়ে আমি একটু খোলা মনের। চিত্রনাট্য ভালো লাগলে করব, আর ভালো না লাগলে করব না। সবাই কষ্ট করে, একটা প্রত্যাশা নিয়ে আসেন। তাই মুখের ওপর না বলে কাউকে হতাশ করতে চাই না।’
প্রত্যাশা
ইদানীং আগের থেকে অনেক বেশি বেছে কাজ করেন বলে জানালেন ঋতুপর্ণা। ‘এই মুহূর্তে আমার কাছ থেকে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। ঋতুপর্ণা কী কাজ করছে? এ নিয়ে মানুষের মনে অনেক কৌতূহল থাকে। তাই সময় নিয়ে ভালো কাজ নির্বাচন করার চেষ্টা করি।’
ট্রেন্ড
ইদানীং প্রচারের রমরমা অভিনেতাদের কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে বলেই মনে করেন ঋতুপর্ণা। ‘এখনকার ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া এমনকী যে ধরনের প্রচার এই প্রজন্মের অভিনেতারা পাচ্ছেন, তাতে তাঁদের আত্মপ্রকাশের সুযোগ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। যেটা আমাদের কেরিয়ার শুরুর সময় ছিল না। আমরা অনেক সীমিত পরিসরে কাজ করেছি’, মত অভিনেত্রীর।
সহজলভ্য
এত প্রচারের পরিণাম কী? ঋতুপর্ণার স্পষ্ট উত্তর, ‘এতে অনেকের মনে হতেই পারে তাঁরা রাতারাতি স্টার হয়ে যাচ্ছেন। তবে একটা সংগ্রামের পর স্টার হওয়ার যে মূল্য সেটা আমি নিজে উপলব্ধি করি এবং মনে করি, অন্যদেরও সেই উপলব্ধির মধ্যে দিয়ে যাওয়া উচিত। কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে প্রাপ্তির আনন্দটাই আলাদা।’
সিনেমা ভার্সেস ওটিটি
বিনোদনের মাধ্যম এখন অনেক। তার ভিড়ে বড়পর্দার সিনেমা কি গুরুত্ব হারাচ্ছে? ঋতুপর্ণার কথায়, ‘মানুষ সবকিছু এখন সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তিকে আটকানো সম্ভব নয়। সে কারণে আমাদের ক্রিয়েটিভ জায়গাটাকে আরও স্ট্রং করতে হবে। যাতে বিষয়ে একঘেয়েমি না আসে।’