কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ
কামব্যাকের জন্য এই গল্পটা বেছে নিলেন কেন? রোহনের জবাব, ‘এটা আমার কাছে আসা ১৮ নম্বর অফার। এর আগে ১৭টা প্রোজেক্ট ছেড়েছি। সকলে জানতে চাইছিলেন কবে টেলিভিশনে ফিরব। আমি দু’বছরের বিরতি নিতে চাইনি। কিন্তু অন্য অফারগুলো পছন্দ হয়নি। ভেবেই রেখেছিলাম যদি টেলিভিশনে ফিরি তাহলে এমন গল্পে কাজ করব, যা আলাদা। এখন তো টেলিভিশনে দেখি প্রায় সব একরকমের গল্প। এই গল্পটা শুনেই ভালো লেগেছিল। ফলে রাজি না হওয়ার কোনও কারণ নেই। স্বপ্নের মতো গল্পটা। অসাধারণ শ্যুটিং হচ্ছে। এভাবে সিরিয়াল হয় না। এত সুন্দর ভাবে আমার মনে হয় না বাংলায় আগে কোনও মেগা সিরিয়াল হয়েছে। এরকমই একটা গল্পের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।’ নিজের চরিত্র নিয়ে খুশি রোহন। হেসে বললেন, ‘আমার চরিত্রের নাম দেব। বাংলায় এমন চরিত্র কেউ কখনও করেনি। দেব আর পারো নাম দুটো শুনে খুব খুশি হয়েছিলাম। যদিও এটা দেবদাসের গল্প নয়। কিন্তু সিনেমায় দেবদাসের রিমেক হলে অভিনয় করতে চাইব। এটা তো ভালোবাসার নাম। তাই খুব ভালো লেগেছিল।’
দর্শকের সঙ্গে প্রতিদিনের যোগাযোগ তৈরি করতে চাইলে একমাত্র টেলিভিশন উপায় বলে মনে করেন রোহন। কিন্তু টেলিভিশন ছাড়া গত দু’বছর তাঁকে বসে থাকতে হয়নি। আর্থিক দিক থেকেও সমস্যায় পড়েননি বলে জানালেন। রোহনের কথায়, ‘আমি সব কাজ করার জন্য তৈরি। গত দু’বছর বসে থাকিনি। পরপর কাজ করেছি। দু’বছর টেলিভিশন না করেও আমার লাইফস্টাইল বদলায়নি। টেলিভিশনে অর্থ উপার্জন বেশি হয়, এটা সত্যি কথা। কিন্তু আমার ওই নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়নি। আমি খুব কম টাকায় খুশি। ফলে এটা নিয়ে আলাদা করে ভাবিনি।’
আগামী বছর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে রোহনের অভিনয় করা প্রথম হিন্দি ছবি। হইচই প্ল্যাটফর্মের জন্য ‘ব্রহ্মার্জুন’ নামের একটা ওয়েব সিরিজেরও শ্যুটিং করেছেন। তবে আপাতত টেলিভিশনেই মন দিতে চান। ‘এখন আর নতুন কিছু শুরু করতে চাইছি না। পুরোপুরি টেলিভিশনে মন দিতে চাই। কারণ এই কাজটা খুব ভালো এবং কঠিন। যেমন মেগা সিরিয়াল সচরাচর দেখি, তেমন নয় তো। এটাতে অনেক সময় দিতে হচ্ছে। ভাবতে হচ্ছে’, বললেন রোহন।
টেলিভিশনে পরীক্ষামূলক কাজ কি দর্শক পছন্দ করেন? কয়েক বছর আগে ‘গানের ওপারে’ নান্দনিকতার বিচারে প্রশংসা পেলেও টিআরপির হিসেবে পিছিয়ে পড়েছিল। সেই অতীত অভিজ্ঞতা থেকে কি কোথাও আশঙ্কা হয়? রোহনের দাবি, ‘আমি মনে করি ‘গানের ওপারে’ সময়ের আগে হয়েছিল। এখন হলে অনেক বেশি টিআরপি পেত। দেখুন, দর্শককে আমরা অবজ্ঞা করতে পারি না। শ্যুটিং শুরুর আগে তাও চিন্তা ছিল আমাদের। কিন্তু শ্যুটিং শুরুর পর যেভাবে কাজ হচ্ছে দেখলাম, তাতে বুঝলাম দর্শকের ভালো লাগবেই। আর টেলিকাস্টের পর আরও নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি। কারণ দর্শকের প্রশংসা পাচ্ছি। যাঁদের সঙ্গে কথা হচ্ছে সকলে বলছেন খুব ভালো লাগছে। আমরা এই কাজটা নিয়ে ভীষণ আশাবাদী।’