পঞ্চাশের দশক থেকে সিনেমা বিষয়ে সুগভীর ভাবনায় দীক্ষিত হয়ে, বহু স্মরণীয় সিনেমার আলোকচিত্রী হিসাবে শুধু রাজ্যেই নয়, সারা ভারতবর্ষ ও বিশ্বে তাঁর অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে সকলের শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন সিনেমাটোগ্রাফার সুব্রত মিত্র।
রাজনৈতিক মেরুকরণের ভিত্তিতে তৈরি অতি উগ্রতা আর উন্মাদনায় দুষ্ট বাংলার এই অশান্ত, হিংস্র, বীভৎস রূপ আগামী দিনের জন্য যে বার্তা দিতে চলেছে তা স্বরূপে থাকা চিরন্তন, চিরায়ত বাংলার সৃষ্টি ও সংস্কৃতির অন্তরায়।
ঐতিহ্যবাহী সাবর্ণ পরিবারের রয়েছে নিজস্ব সংগ্রহশালা। বড়িশার ‘বড়বাড়ি’তে অবস্থিত সেই সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠা দিবসে বড়িশার কালীকিঙ্কর ঠাকুর দালানে বসেছিল রাগসঙ্গীতের বৈঠক ‘মূর্চ্ছনা’।
সর্জন আবৃত্তি অ্যাকাডেমির ‘মোহনিয়া সন্ধ্যা’ হয়ে গেল বাংলা অ্যাকাডেমিতে। সংস্থার কর্ণধার ছন্দা রায়ের পরিচালনায় উদ্বোধনী সমবেত কবিতা পাঠের আসরের পরে শিশুশিল্পী জয়মাল্য দে’র কবিতা ‘প্রশ্ন’ বেশ ভালো লাগে।
সম্প্রতি ঋদ্ধিত কালচার সেন্টারের ২৬তম বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শিশির মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল। উদ্বোধনী নৃত্যে কৌশানী, সর্বা ও কল্যাণী নিখুঁত নৃত্য ভঙ্গিমায় ও পরিচ্ছন্ন উপস্থাপনায় নজর কাড়েন। কোরিওগ্রাফি ছিল চমৎকার।
সম্প্রতি বি কে পালের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হল ‘কবিতায়, গানে, ছবিতে রবীন্দ্রনাথ’। অনুষ্ঠানে অংশ নেন ক্যাকটাসের গায়ক সিধু আর বাচিকশিল্পী শৌভিক।
জনপ্রিয় গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক তমোঘ্ন সম্প্রতি চারটে নতুন গান রেকর্ড করেছেন। একটি গানেরই চারটে ভার্সান তৈরি হয়েছে। বাংলা, হিন্দি ভার্সান এবং অন্যদুটি গান আনপ্লাগড। বাংলা গানটি ‘ভালোবাসা’ এবং হিন্দিতে ‘দিল তরসে’। এর মধ্যে বাংলা ও হিন্দি গানের মিউজিক ভিডিওর শ্যুটিংও সবেমাত্র শেষ হয়েছে।
ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
রবীন্দ্রসঙ্গীত, রবীন্দ্রসাহিত্য, রবীন্দ্র শিল্পচর্চা যে মানুষটিকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে তিনি রবীন্দ্রনাথের পরম আদরের নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবী। প্রায় সমবয়সি হওয়ার সুবাদে দু’জনের মধ্যে গড়ে ওঠে এক নিবিড় স্নেহের সম্পর্ক। কিন্তু সেই নিবিড় স্নেহের সম্পর্ককে কলুষিত করে বিভিন্ন পুস্তক, রচনা ও কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ। আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন কাদম্বরী দেবী। কিন্তু কাদম্বরীদেবীকে তো আজ বাঙালি আর ফিরে পাবে না! তার কালিমার পর্দা উন্মোচন করে তাই তাঁকে বাঙালির স্মৃতিপটে ধরে রাখতে নতুন বৌঠানের জন্মদিনে ও বিবাহবার্ষিকীতে স্মরণ করা হল ভাষ্য-পাঠ-গানে ‘শ্রীমতী হে’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। ‘শ্রীমতী হে’ প্রযোজনাটি চৈতালী দাশগুপ্তের গবেষণা ও ভাষ্য বিন্যাসের একটি পরিপূর্ণ রূপ। ‘শ্রাবস্তী’ ও পি সি চন্দ্র গার্ডেনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানটি হল। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অলকানন্দা রায়, তপতী সেনগুপ্ত, অভিজিৎ লাহা, সোহাগ সেন, এ কে চন্দ্র সহ অন্যান্য। আসল সত্যকে দর্শকের সামনে তুলে ধরে নতুন এক জনমত গড়ে তোলার কৃতিত্ব যাঁদের দিতেই হয় তাঁরা হলেন চৈতালী দাশগুপ্ত ও সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে কাদম্বরী দেবী সম্পর্কে বলেন তপতী সেনগুপ্ত ও সোহাগ সেন। ভাষ্যপাঠে ছিলেন চৈতালী ও সুজয়প্রসাদ। গানে ছিলেন রঞ্জিনী মুখোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, রোহিণী রায়চৌধুরী ও দুর্নিবার সাহা। এদিনের ভাষ্যপাঠে, রবীন্দ্রনাথ ও কাদম্বরী দেবীর স্নেহের সম্পর্ককে টুকরো টুকরো ঘটনার মাধ্যমে যে তুলে ধরা হয় তা সত্যই প্রশংসনীয়। মিথ্যের মোড়কে ঢাকা মধুর এই সম্পর্ককে আজ উন্মোচন করার সাহস দেখালেন চৈতালী ও সুজয়প্রসাদ। এই বাংলার মাটি থেকেই আসল সত্যটা সারা বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে পড়ুক আমরা বাঙালিরা অন্তত সেই আশাই রাখব।
দেবলীনা সমাজপতি
দেবলীনা সমাজপতি
