শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পরের শিল্পী সুজাত খান সেতারে স্বল্পশ্রুত রাগ জনসম্মোহিনীতে আলাপ, জোড় ও তিনতালে গৎ পরিবেশন করেন। তাঁর খাপছাড়া অগোছালো বাজনা শ্রোতাদের হতাশ করে। পরে একটি গজলের সুর গেয়ে ও বাজিয়ে শোনান। তবলায় ছিলেন সাবির খান ও তাঁর পুত্র আসিফ খান।
এরপর মঞ্চে আসেন বেগম পারভীন সুলতানা। তবলায় পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী। প্রথম নিবেদন রাগ পুরিয়া ধ্যানেশ্রী। পরে হংসধ্বনি রাগে তারানা পেশ করেন। মীরার ভজন গেয়ে তিনি অনুষ্ঠান শেষ করেন। হারমোনিয়মে ছিলেন জ্যোতি গোহো। এদিনের অনুষ্ঠান শেষ হয় মল্লিকা সারাভাই ও রেবন্ত সারাভাইয়ের দ্বৈত ভারতনাট্যম দিয়ে।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সেতার পরিবেশন করেন মঞ্জু মেহেতা। মধুবন্তী রাগে আলাপ জোড় ও গতকারীতে তাঁর গুরু পণ্ডিত রবিশঙ্করের তালিমের প্রভাব স্পস্ট। তবলায় সুন্দর সহযোগিতা উজ্জ্বল ভারতীর। পরবর্তী অনুষ্ঠান শশাঙ্ক সুব্রহ্মণিয়ম ও প্রবীণ গোরকিন্ডির দ্বৈত বংশীবাদন। কর্ণাটক ও হিন্দুস্তানি রীতি মেনে ভীমপলাসি রাগে সুর ও লয়কারীর এক জমাটি নিবেদন শ্রোতাদের মাতিয়ে দেয়। শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের তবলা ও সতীশকুমারের মৃদঙ্গর চমৎকার সঙ্গত অনুষ্ঠানটিকে অনন্যসাধারণ করে তোলে। এরপর পণ্ডিত ভেঙ্কটেশ কুমার মাড়োয়া ও হাম্বির রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন। অসামান্য সুর ও বলিষ্ঠ কণ্ঠের জাদুতে সহজেই শ্রোতাদের বশ করেন তিনি। তবলা ও হারমোনিয়মে যথাক্রমে সমর সাহা ও রূপশ্রী ভট্টাচার্য। এরপর মঞ্চে আসেন উস্তাদ আলি আকবর খানের প্রবীণতম শিষ্য পণ্ডিত রাজীব তারানাথ। অশীতিপর শিল্পী পরিবেশন করলেন রাগ মদন মঞ্জরী ও মিশ্র গারা। তবলায় সুসঙ্গত করেন যোগেশ সামশি। উৎসবের শেষ অনুষ্ঠানে তালবাদ্য পরিবেশন করেন উস্তাদ জাকির হুসেন। সঙ্গে ঢোল, মৃদঙ্গ ও সারেঙ্গিতে নবীন শর্মা, অনন্ত কৃষ্ণন ও সাবির খান। উস্তাদজির হাতে উঠান, কায়দা, রেলা, গৎ ও লয়কারীতে তবলাবাদন এমন এক উৎকর্ষ মার্গে পৌঁছয় যা উপস্থিত শ্রোতাদের হতবাক করে দেয়। সহশিল্পীরাও তাঁকে যথাযোগ্য সহযোগিতা করেন।