সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
প্রথম সিজনে আশ্রমের গোলমেলে কাজের গোপনীয়তা রক্ষার যে তৎপরতা দেখা গিয়েছিল, তা এই সিজনে নেই। কাশীপুরওয়ালে বাবার অঙ্গুলিহেলনে একটার পর একটা খুন করতে দেখা গিয়েছিল ভোপা স্বামীকে (চন্দন রায় সান্যাল)। সেই নিষ্ঠুরতারও লেশমাত্র নেই এই সিজনে। এবার আশ্রম রক্ষার চেয়ে অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছে বাবাজির যৌনাচার। পার্ট ওয়ানের শেষাংশে মনে হয়েছিল পার্ট ২-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে ববিতাকে (ত্রিধা চৌধুরী)। কিন্তু সেই আশাতেও জল ঢেলে দিয়েছেন গল্পকার। এই সিজনে ববিতার তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেই। তবে, যতটুকু সুযোগ পেয়েছেন তাতে অভিনয়ে কোনও খামতি রাখেননি ত্রিধা। অভিনয় দক্ষতার জোরে যিনি দর্শকদের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছেন, তিনি পাম্মি (অদিতি সুধীর পোহানকর)। অন্যায়ের প্রতিবাদে, প্রভাবশালী নিরালা ও ভোপার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি সর্বদা প্রস্তুত। বেশ কয়েকটি দৃশ্যে মারমুখী ভূমিকাতেও তাঁর দেখা মিলল। চোখের সামনে বাবাজির ভণ্ড চেহারা সরে গিয়ে আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বাস্তবের মাটিতে ফিরে আসে পাম্মি। তার বিরুদ্ধে হওয়া সমস্ত অন্যায়ের প্রতিশোধ নিতে চায় সে। তবে হঠকারিতা নয়, বুদ্ধিমত্তার জোরে। আশ্রমে তার গতিবিধি রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার পরও ঠান্ডা মাথায় কীভাবে কাজ হাসিল করতে হয়, তা সত্যিই শিক্ষনীয়। তাকে যোগ্যসঙ্গত দিয়েছে ইন্সপেক্টর উজাগর সিং (দর্শন কুমার), সাধু (বিক্রম কোচার) এবং ডাঃ নাতাশা (অনুপ্রিয়া গোয়েঙ্কা)। প্রথম সিজনের তুলনায় দ্বিতীয় সিজন কিছুটা ফিকে হলেও এর শেষদৃশ্যে দর্শকদের সমস্ত হতাশা কেটে যায়। আর শুরু হয় তৃতীয় সিজনের জন্য দিন গোনা।