অভিনন্দন দত্ত: ২৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আসর বসছে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে। তার আগেই টলিউডে ইন্দ্রপতন— প্রয়াত হয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ফলে চলচ্চিত্র উৎসবের অনেকটা অংশই তাঁর কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আসন্ন উৎসবের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করতে বৃহস্পতিবার উৎসব কর্তৃপক্ষ নন্দনে একটি দীর্ঘ বৈঠক করেন। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন ছাড়া ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ইম্পা ও আর্টিস্টস ফোরামের তরফে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে পিয়া সেনগুপ্ত ও শঙ্কর চক্রবর্তী। বৈঠকে বেশকিছু প্রস্তাব আনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। উৎসবের উদ্বোধনী ছবি নিয়ে প্রতি বছরই সিনেপ্রেমীদের মধ্যে আলাদা কৌতূহল থাকে। উদ্বোধনী ছবি হিসেবে সৌমিত্রবাবুর কেরিয়ারের শেষের দিকের ছবি ‘সাঁঝবাতি’র কথাও ভেসে এসেছিল। তবে আজ, শুক্রবার সিনেমা হলে ছবিটি রি-রিলিজ করায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। তবে, উদ্বোধনী ছবি হিসেবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবিই দেখানো হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। সূত্রের মতে, তিনটি ছবির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে যার মধ্যে ‘অপুর সংসার’ ছবিটির দিকেই পাল্লা ভারী। প্রয়াণের আগেই নিজের বায়োপিকের শ্যুটিং শেষ করেছিলেন সৌমিত্র। পরমব্রত পরিচালিত সেই ছবি (অভিযান) উৎসবে দেখানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ছবিটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ দ্রুত শেষ করতে পারলে উৎসবে দেখানো হবে ‘অভিযান’।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি রেট্রোস্পেকটিভের পরিকল্পনাও রয়েছে কর্তৃপক্ষের। চেষ্টা চলছে যাতে উৎসবে প্রতিদিন একটা করে সৌমিত্র অভিনীত ছবি দেখানো যায়। উৎসব সংলগ্ন চত্বরে আয়োজিত প্রদর্শনীও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বর্ণাঢ্য সিনেমা জীবন অবলম্বন করেই সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সৌমিত্রর জীবন ও কেরিয়ার সম্বলিত একটি স্মরণিকা পুস্তিকাও প্রকাশিত হতে পারে বলে খবর। সেখানে প্রয়াত অভিনেতার স্মৃতিচারণ করবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। বিদেশি অতিথিদের কথা মাথায় রেখে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতেও এই স্মারক গ্রন্থ পাওয়া যাবে। করোনার জন্য দীর্ঘ ছ-সাত মাস বিশ্ব জুড়ে সিনেমা শিল্প থমকে গিয়েছিল। তাই অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে ছবির সংখ্যা কমছে। ডেলিগেট কার্ডের আবেদনও অনলাইনে গ্রহণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।