সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
এই সময়ে দাঁড়িয়ে হঠাৎ কেন এই প্রযোজনা? বিপ্লবের কথায়, ‘আজকের দিনে রাজনীতি মানেই ক্ষমতায়ন। ক্ষমতা দখলের জন্যই যেন রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চারু মজুমদারের মত ও পথ—সে ভুল হোক বা ঠিক, তা নিয়ে চর্চা হওয়া, বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’ তাঁর বক্তব্য, নাটক দিনবদল ঘটাতে পারে না, রাজনৈতিক অভিমুখও তৈরি করতে পারে না। কিন্তু সমাজে একটা বিতর্কের পরিসর সৃষ্টি করতে পারে নিশ্চয়ই। সমাজ বদলের স্বপ্নে বিভোর হয়ে যে মানুষটা বা যে মানুষগুলো শহিদ হলেন, তাঁদের মত ও পথকে সমাজ পরিত্যাগ করলেও এই বন্ধ্যা সময়ে দাঁড়িয়ে
তাঁদের নিয়ে চর্চা হওয়া দরকার বলেই মনে করছেন তিনি।
নাট্যকার চন্দন সেন বললেন, চারু মজুমদারের জীবনের যে দিকগুলো বেশিরভাগ মানুষ জানে তার বাইরে ওঁর জীবনের আর একটা দিক আছে। সেই চারু রোম্যান্টিক, কবিতাপ্রেমী, নাটকপ্রেমী। এসব থাকবে নাটকে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের কবিতা ছিল তাঁর সঙ্গী, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসটিকে নাট্যরূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। হাজির থাকতেন তারাশঙ্করের ‘হাঁসুলিবাঁকের উপকথা’ নাটকের মহলায়। রাজনৈতিক মত ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর প্রাণের বন্ধু। ১৯৫২ সালে জেল থেকে বেরতেই রাজনৈতিক সঙ্গী লীলা সেনগুপ্ত চারুবাবুকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। সে প্রস্তাব গ্রহণ করেন চারু মজুমদার। এ সবই এই নাটকের বড় অংশজুড়ে থাকবে। চারু মজুমদারের বাবা ছিলেন কট্টর গান্ধীবাদী। মিথ্যে বলতে হবে এই ভয়ে আইন পাশ করেও তিনি ওকালতি করেননি। সারাজীবন ছেলের রাজনীতির বিরোধিতা করে এসেছেন। কিন্তু ছেলের প্রতি তাঁর টান, ভালোবাসা ছিল অটুট। নাটকের এক জায়গায় বাবা ছেলেকে বলছেন, তোমরা যে কৃষকের জন্য লড়াই করছ, শ্রেণীচ্যুত হওয়ার চেষ্টা করছ, তা তোমাদের দলের একজন সম্পাদকও তো কৃষক বা শ্রমিক পরিবার থেকে উঠে আসেননি! অথচ দেখ লেনিনের বাবা ছিলেন কৃষক, স্তালিনের বাবা ছিলেন মুচি, মাও সে তুঙের বাবা ছিলেন গরিব কৃষক..., এই বিতর্ক নাটক জুড়ে। সিপিআই, সিপিএম মানুষের আন্দোলনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মনে করতেন চারু মজুমদার। সেসব যুক্তিতর্ক নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে মঞ্চে আসছে ‘চারুলীলা দ্রোহকালে’।