উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
আইনক্স লেজার লিমিটেডের পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা অমিতাভ গুহঠাকুরতা বললেন, ‘সামনের স্ক্রিন জুড়ে দু’চোখ ভরে ছবি দেখার পরও দৃষ্টির দু’পাশে কিছুটা অংশ ফাঁকা থেকে যায়। স্ক্রিন এক্স প্রযুক্তি সেই ফাঁকটুকুও ভরাট করে দেবে।’ সেইসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘সিনেমাহলের যেকোনও কোণ থেকেই একইরকম ছবি সব দর্শক একসঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন। অর্থাৎ কেউ হলের বাঁদিকে দেওয়ালের ধারে বসেছেন বলে তিনি তাঁর বাঁদিকের স্ক্রিনে ঘটে যাওয়া দৃশ্য উপভোগ করতে পারলেন না, এমন নয়। তিনিও সমানভাবে দৃশ্য উপভোগ করবেন, যিনি হলের শেষ আসনে মাঝখানে বসে আছেন তাঁর মতো।’ সবমিলিয়ে গোটা সিনেমার মধ্যে এমন ধরনের আঠারো থেকে একুশ মিনিটের ক্লিপিংস দর্শকদের সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে বলে জানালেন অমিতাভ।
মুম্বইয়ের মালাডের পর কলকাতাই দ্বিতীয় শহর যেখানে এই ধরনের প্রযুক্তি নির্ভর সিনেমাহল চালু করল সংস্থা। ইংরেজি ছবি বিশেষ করে হলিউড ছবির ক্ষেত্রে স্ক্রিন এক্স প্রযুক্তিতে দৃশ্যগ্রহণ এখন নিয়মিত হয়, হিন্দি সিনেমাতেও এই প্রযুক্তির ব্যবহার হতে শুরু করেছে সদ্য। কিন্তু বাংলা ছবিতে ওই ধরনের প্রযুক্তি আসতে যে এখনও অনেক দেরি আছে সে কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন প্রসেনজিৎ। তাহলে কলকাতা শহরকে কেন বেছে নিল সংস্থাটি? উত্তরে অমিতাভ বলেন, ‘কলকাতা সিনেমার সবচেয়ে বড় হাব। তাই।’ থ্রি ডি ছবিতে চশমা কেনার জন্য টিকিটের মূল্য সামান্য বাড়লেও স্ক্রিন এক্স মুভির ক্ষেত্রে কোনও অতিরিক্ত মূল্য দিতে হবে না বলে জানালেন তিনি। স্ক্রিন এক্স-এর ঝলক দেখে প্রসেনজিতের প্রতিক্রিয়া, ‘সবচেয়ে আগে আমাদের জানতে হবে এই ধরনের ছবির দৃশ্যগ্রহণ কীভাবে হয়। কলকাতার সমস্ত সিনেমাটোগ্রাফারের উচিত এই ধরনের ছবি দেখা ও সেই সম্বন্ধে পড়াশোনা করা। কারণ তিনটে স্ক্রিনে আমরা একই ছবি দেখতে পাচ্ছি। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ যেমন করে দুনিয়াটাকে দেখেন, সিনেমাটাও তিনি একইরকমভাবে দেখছেন। যদি বাংলা ছবিতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়, নিঃসন্দেহে টালিগঞ্জের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে বড় বিপ্লব ঘটে যাবে।’