শুভ বিজয়ার সেকাল একাল
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাচ্ছে বাঙালির বিজয়া দশমী। রুপোলি পর্দার তারকাদের অনুভবেও সেই বদলের আক্ষেপ। কেমন ছিল তাঁদের সাবেক বিজয়া বিলাস। আজই বা কেমন করে তাঁরা উদযাপন করেন উমার বিদায়বেলা, সেটাই উঠে এল স্মৃতিচারণায়।
চিরঞ্জিত : বিসর্জন অবশ্যই এক প্রকার বিষাদ। এটা অনুভব করা যায় তখন, দেখবেন যখন আওয়াজটা হঠাৎ কমে যায়। একটা নীরবতা যেন চতুর্দিকে ছেয়ে যায়। দশমী পর্যন্ত একটা পরিবেশ থাকে। সিঁদুর খেলা দেখে সবাই হাসে, মজা করে। কিন্তু সিঁদুর খেলা দেখলে আমার মনে ওই বিষাদটা জাগে। আমার যখন বারো বছর বয়স তখন মা মারা যান। সেই শূন্যতার বিষাদটাও মনের মধ্যে মিলে মিশে আছে। ঠাকুরের সঙ্গে, দুর্গা মায়ের সঙ্গে। সিঁদুরের ওই ছড়াছড়ি খেলাটা আমাকে কেমন বিষাদময় করে তোলে। এমন নয় যে লাল রংটা আমার কাছে বিষাদের। সিঁদুর পরলে ভালোই লাগে মেয়েদের। সিঁদুরের টিপও ভালো লাগে। তার সঙ্গে পরণের লাল পাড় ঢাকাই শাড়ি অন্যমাত্রা যোগ করে হয়তো। কিন্তু যখন সিঁদুরটা নিয়ে খেলা হয়, তখনই একটা বিষাদ, কোথায় যেন রক্তের হোলির রূপ নিয়ে ফেলে।
হরনাথ চক্রবর্তী : ছোটবেলায় আমাদের গ্রামের পুজোর বিজয়া ছিল একরকম। আমার জন্মভিটে মেদিনীপুরের কোলাঘাটে মান্দারগাছিয়া। দূর দূর গ্রামের মধ্যে একটা পুজো। ফলে ঠাকুর বরণ করতে করতে বেশ রাত হয়ে যেত। বিসর্জনের পর বাবা সিদ্ধি তৈরি করে আমপাতা দিয়ে সবার মুখে ছিটিয়ে দিতেন। তারপর আমরা নতুন জামা পরে বাড়ির গুরুজনদের প্রণাম করতাম। বদলে পেতাম নারকেল নাড়ু, বাতাসা কখনও বা লুচি। দশমীর পর কয়েকদিন ধরে চলত এই বিজয়াপর্ব। বড় হওয়ার পর কলকাতায় এসে অন্যরকম পুজোর স্বাদ পেলাম। আমার দিদি থাকতেন হাটখোলার দত্ত বাড়িতে। জামাইবাবু ওই বাড়ির কুল পুরোহিত ছিলেন। আমি জামাইবাবুকে পুজোয় সাহায্য করতাম। দশমীর দিন সবাই নতুন জামাকাপড় পরে ঠাকুর ভাসান দিতে যেতাম সবার সঙ্গে। সকালে বাড়ির দালান থেকে একটা নীলকণ্ঠ পাখি ছাড়া হতো। প্রতিমাকে জলে ফেলার আগে আর একখানা নীলকণ্ঠ পাখি ছাড়া হতো। ভাসান দিয়ে বাড়ি ফেরা হতো একটি স্তোত্র সুর করে গাইতে গাইতে। শান্তির জল নিয়ে গুরুজনদের প্রণাম, কোলাকুলি। ছোটরা বড়দের প্রণাম করলে, তাদের হাতে পয়সা দেওয়া হতো। সেই পয়সা জমিয়ে চপ, কাটলেট খেতাম। সে একটা মজার দিন ছিল। এখন কোথাও যাই না। আসলে দশমীর সেই আবেগটাই হারিয়ে গিয়েছে। আগে প্রতিবেশীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। গোটা পাড়াকে একটা বাড়ি বলে মনে হতো। এখন সেটা আর দেখতে পাই না।
তনিমা সেন : আমি ইন্ডাস্ট্রির শুরু থেকে প্রত্যেক বছর যে ইউনিটে কাজ করি না কেন, সেই ইউনিটের সকলকে আমি জামাকাপড় দিয়েছি। সেই ‘এই তো জীবন’ থেকে। এবার ‘দেবীচৌধুরানি’ নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হওয়াতে সবাইকে দিতে পারলাম না। বিজয়া তো আমার কাছে মিলন উৎসব। সমস্ত জাতি ধর্ম, গরিব-বড়লোক নির্বিশেষে মানুষকে আলাদা করে দেখতে শিখিনি। আমি ছিলাম বাড়ির ছোট মেয়ে। সেই সুবাদে একটা সময় বিজয়ার পর সবাইকে প্রণাম করতাম। আর এখন সবাই আমাকে প্রণাম করছে আর আমি আশীর্বাদ করছি। আমি উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের মেয়ে। মায়ের বাড়ির যে ঐতিহ্য সেটা এখনও বজায় রাখার চেষ্টা করছি। তখন পাড়ার পুজোটা বাড়ির পুজো বলেই মনে করতাম। একটাই দুঃখ ছিল। বাড়ি থেকে বিসর্জনে যাওয়ার অনুমতি মিলত না। লরিতে ঠাকুর ওঠার পর ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে মায়ের চলে যাওয়া দেখতে দেখতে চোখে জল এসে যেত। মন পাল্টাতো বাড়ি বাড়ি ঘুরে আত্মীয়, অনাত্মীয় সবাইকে প্রণাম করতে গিয়ে। সেই শিষ্টাচারটা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে বিজয়া সেরে নিচ্ছে। মানুষ কেমন যেন মানুষের কাছে আসতে ভুলে যাচ্ছে।
বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়: এখন কোনও দুগ্গা মায়ের আটটা হাত, কোনও মায়ের আবার দুটো। মাকে অসম্মান করে এ কেমন উৎসব? পুজোটারই যেখানে ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে, সেখানে বিজয়ার আবেগটা আর থাকে কি? আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রণাম, কোলাকুলি, শুভেচ্ছা বিনিময়ের রেওয়াজ ছিল। এখনকার প্রজন্ম তো ডিস্কো থেক-এ ব্যস্ত। আগে পুজোর সময় আমরা একটা ঘোরে থাকতাম। সপ্তমী থেকে দুটো করে শো। মানুষের উপচে পড়া ভিড়। মনে করতাম আমরাও উৎসবের একটা অঙ্গ। দশমীর দিন স্টেজেতেই আমরা বিজয়ার কোলাকুলি, শুভেচ্ছা বিনিময় করতাম। সিনিয়র শিল্পীদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতাম। এখন তো ঠাকুর পুজো হয় না, হয় থিমের পুজো। কার কত টাকা সেটা দেখানোর খেলা। এই টাকাগুলো তো গরিব-দুঃখীদের মধ্যে বিতরণ করা যেতে পারে। সেখানেই তো লুকিয়ে আছে বিজয়ার যথার্থ রূপ। ঐতিহ্য, পরম্পরাকে বিসর্জন দিয়ে মা উমাও মনে করেন না, এই ফুর্তির কোনও প্রয়োজন আছে বলে। তাই এখন বিজয়ার দিন বাড়িতেই থাকি। আসলে আগে বিজয়াটা বিজয়া ছিল, এখন একদশী হয়ে গিয়েছে।
পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়: তখন সবে কৈশোর উত্তীর্ণ করে যৌবনে পা রাখছি। অষ্টমীতে সারা রাত ঠাকুর দেখে নবমীর সকালে বাড়ি ফিরেছি। তখন অনুভূতিগুলো অন্যরকম শিহরণ জাগাত। তবে অসভ্যতা ছিল না। দশমীতে উৎসব থেমে গেলে যে নিস্তব্ধতা, ক্লান্তি, বিষাদ ঘনিয়ে আসত সেটাও উপভোগ করতাম। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে ঘুরে ঘুরে প্রণাম করা, খাওয়া। বেশ লাগত। আমাদের ছড়ানো ছিটানো পরিবার ছিল। কিন্তু বিজয়াকে উপলক্ষ করে সবাই কাছাকাছি আসত। বন্ধু্দের রাগ, অভিমানও সব কোন মন্ত্রবলে উবে যেত। বিজয়ার বিষাদে একে অপরকে জড়িয়ে ধরতাম। এই অনুভূতির এঁটোকাটাগুলো পরবর্তী জীবনে শিকড়ে গেঁথে গিয়েছে। সেই মানবিকতা, মূল্যবোধ, দর্শননীতি আজও আমাকে পথ চলতে সাহায্য করে। আমরা প্রতি মুহূর্তে চাই একসঙ্গে থাকব। উৎসবগুলো হচ্ছে সেই উপলক্ষ। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত বাড়িতে থাকি। রাস্তা দিয়ে প্রজাপতিগুলো যখন নতুন জামাকাপড় পরে হাঁটাহাঁটি করে, দেখে বেশ লাগে। ওটাই আমার ঠাকুর দেখা। এখন ফোনে বিজয়ার আদানপ্রদান হয়েছে। বিজয়ার মধ্যে তাই আমি আলাদা কিছু খুঁজে পাই না। কারণ যে হুল্লোড়টা হয়, তাণ্ডবটা হয়, তার মধ্যে একটা উল্লাস থাকে। একদিন আমিও তো বাঁধভাঙা আনন্দে মেতেছি। আমার মধ্যে সেই কিশোরটা আজও বেঁচে আছে।
দোলন রায় : বিজয়ারও আগে শুরু হতো দশমী। আলতা পরে, মায়ের পায়ে বই ছুঁইয়ে। পরের দিন পাড়ার প্রতিটি বাড়ি গিয়ে প্রণাম করা, মিষ্টি খাওয়া, নিমকি আর ঘুঘনির সুগন্ধে ভরা দশমী আর বিজয়াগুলো আজ হারিয়ে গিয়েছে। এখন হোয়াটসঅ্যাপ হয়েছে। ছবি পাঠিয়ে কাজ সেরে নিচ্ছি। সত্যিই যাঁদের পায়ের কাছে গিয়ে বসতে ইচ্ছে করে, প্রণাম করতে মন চায়, তাঁরাও হয়তো সময় দিতে পারেন না, কিংবা নিজেরাও হয়তো সময় বের করে উঠতে পারি না। আন্তরিকতাহীন নিরুত্তাপ একটা দিনযাপন। আসলে আমরা খুব টেকস্যাভি হয়ে গিয়েছি তো। মানসিক বন্ধনটা হারিয়ে যাচ্ছে। এটা জানি না এরপর কী হবে? এই বদলে যাওয়া বিষয়টায় আমি একেবারেই খুশি নই।
শুভাশিস মুখোপাধ্যায় : বিজয়াতে আলিঙ্গনের একটা মাধুর্য ছিল, সবাই সবাইকে কোলাকুলি করত। বুকে জড়িয়ে ধরার সেই উষ্ণতাটা আমাদের মধ্যে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ আমরাও তো এই একটা দিনই পরস্পর পরস্পরকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারি। এই একাত্মতা, একে অপরের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ — এইগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এগুলো কাম্য নয়। কষ্ট দেয়। এখন বিজয়ার দিন সামনাসামনি দেখা হলেও কেউ কোলাকুলি করে না। হ্যান্ডশেক করে। এই সম্পর্কে উষ্ণতাটা কেন আমরা মিস করব? আর একটা কথা, বিজয়াতে ঘরে তৈরি নিমকি, মিষ্টি, ঘুঘনির স্বাদও ধীরে ধীরে উবে গেল।
লিলি চক্রবর্তী : আমার ছোটবেলা কেটেছে মধ্যপ্রদেশে। আমরা যেখানে থাকতাম সেখানেই প্রতিবছর ধুমধাম করে পুজো হতো। গোটা শহরে ওই একটিই পুজো হতো। ফলে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসতেন পুজোয় অংশ নিতে। তাঁদের মধ্যেই কেউ ঠাকুর গড়তেন, কেউ প্যান্ডেল বাঁধতেন, বড়রা পুজোর ক’টা দিন কী কী অনুষ্ঠান হবে, কে কে অংশগ্রহণ করবে, কী নাটক হবে — এই নিয়ে মেতে উঠতেন। মায়েরা সব ঠাকুরের ভোগ, পুজোর আয়োজন, দু’বেলা রকমারি পদের খাবারের পরিকল্পনা নিয়ে মহা ব্যস্ত হয়ে উঠতেন। পুজোর দিনগুলো আমরা কেউ প্রায় বাড়িই ফিরতাম না। পুজোর পর প্যান্ডেলেই অনুষ্ঠান, সেখানেই চারবেলা খাওয়া দাওয়া। আমার জীবনের প্রথম অভিনয় তো ওই দুগ্গা ঠাকুরের প্যান্ডেলেই। বিজয়ার দিন কী হইহুল্লোড়। মায়েদের সিঁদুর খেলা। ছেলেদের ধুনুচি নাচ। ঢাকের তালের সঙ্গে নাচের প্রতিযোগিতা... একসময় সবাইকে কাঁদিয়ে মা উঠত সবার কাঁধে। বিজয়ার এই অপূর্ব দৃশ্য আমার মনে আজও গেঁথে আছে। ঠাকুর ভাসান দিয়ে এসে প্যান্ডেলেই শুরু হতো বিজয়ার উৎসব। এবার সবার ফিরে যাওয়ার পালা। মনটা হু হু করে উঠত। সত্যিই সকলের জন্য মন কেমন করত তখন। পরবর্তী জীবনে আমি আর কখনও ওই রকমভাবে পুজোয় শামিল হইনি। বিজয়াতে এখনও অবশ্য আমার হাতে রান্না করা ঘুগনি খেতে আত্মীয়স্বজনরা বাড়ি আসে ঠিকই। তখন একটু হইহই হয়। বিজয়াটা যে কতটা মন খালি করা বেদনার ওই ছোট্ট বয়সেই উপলব্ধি করেছিলাম।
চৈতি ঘোষাল : বাবা (শ্যামল ঘোষাল) ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কো গপ্প’-তে অভিনয় করতে গিয়ে, শ্যুটিং পর্ব শেষ হওয়ার পর ছবিতে ব্যবহৃত দুর্গা মূর্তিটি শান্তিনিকেতন থেকে বাড়ি নিয়ে আসেন। কাঠ খোদাই করে দুর্গা মূর্তিটা তৈরি করেছিলেন শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজের এক ছাত্র। সেই দুর্গা মূর্তিটা প্রথমে আমাদের লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে পুজো হতো, এখন রিজেন্ট এস্টেটের বাড়িতে হয়। ওই মূর্তি ভাসানের কোনও প্রশ্নই নেই। পুজোর পর মূর্তিটার ঠাঁই হয় আমাদের ঠাকুরঘরের দেওয়ালে। সেই পুজোকে ঘিরে আমাদের বাড়িতে কত গুণীজনের যে সমাবেশ ঘটত, কী বলব। দশমীর পর লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত বাড়িতে বিজয়া উদযাপন হতো। বাবার বিভিন্ন মহলে পরিচিতি ছিল। তাই মানুষ আসারও বিরাম ছিল না। মা নিরলসভাবে সকলকে নিমকি, ঘুগনি, মিষ্টি, চা সরবরবাহ করে যেতেন। তারও আগে আমাদের আদি পৈতৃকবাড়ি হাওড়ায় সকলে মিলে দাদু-ঠাকুমাকে বিজয়ার প্রণাম করতে যেতাম। অসংখ্য পরিজন। বিজয়া উপলক্ষে সবাই জড়ো হতেন হাওড়ার বাড়িতে। অথচ ওই বাড়িতে কোনওদিন দুর্গা প্রতিমা এনে পুজো হয়নি। কিন্তু আমাদের পরিবারিক বিজয়া সম্মেলন দেখে কে বলবে সে কথা? নিমকি, চন্দ্রপুলি, ঘুগনি, মিষ্টি... খেয়ে শেষ করা যেত না। সবই বাড়িতে তৈরি। বিরাট দালানে কোলাকুলির উৎসব লেগে যেত। প্রতিবেশীরাও যোগ দিতেন সেই উৎসবে। পরে বাবা নিজের উদ্যোগে কলকাতায় পুজো শুরু করলেও সেই উৎসবে শামিল হতাম আমরা। দেখাদেখি বাবাও কলকাতায় লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে বিজয়া সম্মিলনী শুরু করলেন, যা আমি বাঁচিয়ে রেখেছি আজও। জানি না আমার পরবর্তী প্রজন্ম মানে আমার ছেলে অমর্ত্যরা এই ট্র্যাডিশন কতটা বজায় রাখবে। তাছাড়া তৃপ্তি মাসি (মিত্র), যাঁকে আমি মায়ের মর্যাদাই দিই, তিনিও বিজয়া উপলক্ষে নিমকি, নারকেল নাড়ু করতেন। আমরা সবাই মিলে যেতাম তৃপ্তি মাসিকে প্রণাম করতে, আর খেতে। এখন কেউ আর বিজয়ার প্রণাম জানিয়ে কাউকে চিঠি লেখে না। মনে আছে, কত সুন্দর সুন্দর রঙিন কাগজ, খাম আর কার্ড আমরা ঘুরে ঘুরে কিনে আনতাম। সেসব এখন কোথায়? এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপে দূরের মানুষদের বিজয়ার শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দিই। যার বেশির ভাগ আর্ট ওয়ার্ক আবার ফরওয়ার্ড করা। এখন যান্ত্রিকতা বড্ড বেড়ে গিয়েছে। আধুনিকতা অবশ্যই অপরিহার্য। কিন্তু তাই বলে ঐতিহ্য ভুলে গিয়ে নয় নিশ্চয়ই।
11th October, 2019