পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
শাঁসহীন ডাবের জল খাওয়া আমাদের দেশে নতুন কোনও প্রবণতা নয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বিভিন্ন জটিল রোগের পথ্য হিসেবেই একে গণ্য করা হয়েছে। দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে যেসমস্ত বই লিখেছেন পণ্ডিতরা, তাতে ডাবের জলের গুণাবলীর উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে ‘দ্রব্যগুণ সংগ্রহ’ নামে একটি বইয়ের কথা বলা যেতে পারে। তার ষষ্ট অধ্যায় ‘পানীয়বর্গ’-এর ২০ নম্বর শ্লোকে হার্টের রোগের জন্য ডাবের জলের কার্যকারিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। শ্লোকটি হল —
নারিকেলোদকং বৃষ্যং স্বাদু স্নিগ্ধং হিমং গুরু।
হৃদ্যং পিত্তপিপাসাঘ্নং দীপনং বস্তিশোধনম্ ।
অর্থাৎ ডাবের জল মিষ্টি স্বাদের হয়। খুবই সুস্বাদু, খাওয়ার পরে শরীরে শীতলতা-স্নিগ্ধতা আনে। হার্টের জন্য খুব উপকারি, পিত্ত কমাতে সাহায্য করে, পিপাসা নাশ করে। আমাদের অগ্নিবল (অর্থাত্ যে শক্তি শরীরে ক্ষুধা তৈরি করে) বাড়াতেও বিশেষ কার্যকরী। এছাড়া, আধুনিক বিজ্ঞান শাস্ত্রের দিক থেকে দেখলে, ডাবের জল ডিহাইড্রেশন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পথ্য। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হাড়কে শক্তপোক্ত করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্যও ডাবের জল অত্যন্ত ভালো। ত্বকের রোগ , অয়েলি স্কিন, ট্যান ঠেকাতেও উপকারী।
ডাবের জলের মধ্যে আছে কী?
ডাবের জলে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেড, সুক্রোজ, গ্লুকোজ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ফসফরাস, ম্যাঞ্গানিজ, ফেলেনিয়াম রয়েছে। এই এতগুলো উপাদান এতে রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এর পুষ্টিগুণ খুবই ভালো।
হার্টের রোগী কতটা ডাবের জল খাবেন?
হার্টের রোগী কতটা জল খাবেন, তা বেঁধে দেওয়া হয়। যাতে হার্টের উপর বেশি চাপ না পড়ে। একটি ডাবে ১০০-২০০ মিলিলিটার জল হয়। সেক্ষেত্রে একজন পূর্ণবয়স্ক হার্টের রোগী ৫০-৮০ মিলিলিটারের বেশি এই জল খাবেন না। সপ্তাহে তিনদিনের বেশি খাওয়া চলবে না।
কখন ডাবের জল খাবেন?
ডাবের জল কখনই বিকেল গড়িয়ে যাওয়ার পর বা রাত্রে খাওয়া উচিত নয়। সবচেয়ে ভালো সময় হল, দুপুরে লাঞ্চের পর। খালি পেটেও ডাবের জল খাবেন না। কারণ এরমধ্যে এত পরিমাণ উপাদান থাকে যে অনেকের অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে। তাই কিছু খাওয়া পরেই ডাবের জল খাওয়া উচিত।