পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন প্রতি বছরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জাঁকজমকের সঙ্গে রামনবমী উদযাপন করে। হাওড়া তার ব্যতিক্রম নয়। তবে গত দু’বছর যমজ নগরীতে এই দিনের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর ছিল না। শিবপুরের কাজিপাড়া মোড় থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত রামনবমীর পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল। পরে ওই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছিল এনআইএ’র হাতে। এ বছর আদালতের অনুমতি নিয়ে এই একই রুটে রামনবমীর পদযাত্রার আয়োজন করেছে অঞ্জনি পুত্র সেনা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ভোটের মুখে এই মিছিল থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইবে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে তাদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাতেই শহরের পশ্চিম প্রান্তে রামনবমী পালনের কর্মসূচি রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি হিন্দুত্বের তাস খেলে রাজনীতিতে ধর্মীয় রং লাগাতে তৎপর। তৃণমূল হিন্দুত্বের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তবে এই উৎসব যাতে পুরোপুরি গেরুয়াকরণ হয়ে না যায়, তাই তারাও বিকল্প উপায়ে রাম বন্দনায় শামিল হতে চলেছে। একইসঙ্গে তৃণমূল এটাই প্রমাণ করতে চায় যে, শুধু সংখ্যালঘু মানুষ নয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশেও তারা রয়েছে। এর থেকেই ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দিতে চাইছে তারা। সলপে শোভাযাত্রার যে পোস্টার পড়েছে, তাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের ছবি রয়েছে।
রামনবমী উদযাপনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল হিন্দু ভোটে থাবা বসাতে চাইছে, এই অভিযোগ মানতে চায় না শাসকদল। দলের হাওড়া জেলা সদরের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ বলেন, রাম নিয়ে বরাবর বাঙালির আবেগ রয়েছে। রামরাজাতলায় বিজেপির জন্মের বহু যুগ আগে রামমন্দির তৈরি হয়েছছে। এটি হাওড়ার অন্যতম তীর্থস্থানও বটে। রাম বিজয়ার দিন তো রীতিমতো উৎসবমুখর হয়ে ওঠে হাওড়া। বিরাট শোভাযাত্রা হয়।
কল্যাণ ঘোষ বলেন, বিজেপি যে হিন্দুত্বের কথা বলে, বাঙালি সেই পথে হাঁটে না। আমাদের হিন্দুত্ব রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের থেকে শেখা। এটা বিজেপি শেখায় না। তারা বিভেদ তৈরি করে মানুষকে ভুল পথে চালিত করছে। আমরা বাঙালির আবেগকে সম্মান জানিয়ে রামনবমী উদযাপন করব। এতে ধর্মীয় কোনও উস্কানি থাকবে না।