পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
শ্রীরামচন্দ্রকে নিয়ে বিজেপির রাজনীতি বহু দশকের। বারবার নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য রামচন্দ্রকে বিজেপি ব্যবহার করছে বলে কংগ্রেস, তৃণমূল অভিযোগ করেছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিজেপির স্লোগানও জয় শ্রীরাম। রামমন্দির তৈরির পর এই ইস্যুতেই যে বিজেপি কিস্তিমাত করতে চাইছে তা আরও একবার প্রমাণ হল মন্দিরে রামলালার সঙ্গে মোদির ছবি দেওয়ার উদ্যোগ ঘিরে। রামলালার ছবি নিয়ে বহু মন্দির কমিটিরই আপত্তি নেই। তাদের প্রশ্ন, মোদিজির ছবি দেওয়া মানেই তা ভোটের প্রচার।
কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের প্রধান সেবাইত দিলীপ দেওঘরিয়া বলেন, আমাদের মন্দির সকলের জন্য খোলা। যে কোনও দলের মানুষ এসে পুজো দিতে পারেন। কোনওভাবেই মন্দিরের ভিতর কোনও রাজনৈতিক নেতার প্রচার বরদাস্ত করা হবে না। স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া রয়েছে মায়ের মন্দিরের ছবি বা ফ্লেক্স ছাড়া মন্দির চত্বরে কোনওকিছু লাগানো যাবে না। ধর্মীয় স্থান সকলের, কোনও নির্দিষ্ট দলের নয়। ভিড়িঙ্গি কালীবাড়ির প্রধান সেবাইত সাধন রায় বলেন, বংশ পরম্পরায় আমরা মায়ের সেবা করে আসছি। মন্দিরের দরজা সবার জন্য খোলা। কোনও রাজনৈতিক দলই মন্দির চত্বরে ফ্লেক্স লাগানোর আর্জি জানায়নি। বিষয়টি ভালো দেখায় না। ধর্মীয় স্থান রাজনীতির ঊর্ধ্বে।
বিপাকে পড়ে বিষয়টি নিয়ে সাপে ছুঁচো গেলার দশা বিজেপির। দলের আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস রায় বলেন, ফ্লেক্স টাঙানোর বিষয়টি বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন করছে। আমরা তাদের পূর্ণ সমর্থন করছি। আর এক সাধারণ সম্পাদক শ্রীদীপ চক্রবর্তী বলেন, রামমন্দিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ফ্লেক্স আমরা বিভিন্ন জায়গায় লাগাব। মন্দিরের ভিতরে লাগাব না।
তৃণমূল নেতা প্রদীপ মজুমদার বলেন, শ্রীরাম-সীতা আমাদের আরাধ্য দেবতা। বিজেপি রামকে রাজনৈতিক ময়দানে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে। মোদিজির ছবি মন্দিরে টাঙানো হলে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।