পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বীরভূম(দক্ষিণ) জেলার সম্পাদক সরোজ সাঁই বলেন, আমরা রামকে নিয়ে টানাটানি করতে দিতে পারব না। কয়েকজন তৃণমূলের দুষ্কৃতী বিজেপিতে যুক্ত হয়েছে। তারাই আলাদা করে কেন্দ্রগড়িয়ায় রামের নামে কিছু আয়োজন করবে বলে আগেভাগে শুনছি। ধর্মীয় বিভাজন আমাদের শিক্ষায় নেই। সেই কারণে বুধবার রামনবমীর র্যালি করব না। তবে যে যার মতো রামপুজো করবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্রগড়িয়া এলাকায় রামনবমীর মিছিল বের হয়। ওই থানা এলাকায় খয়রাশোলে আরেকটি মিছিল বের হয়। কিন্তু হঠাৎ করে আয়োজকদের এই সিদ্ধান্ত অনেকে চমকে গিয়েছেন। অন্যদিকে, শোনা যাচ্ছে বিজেপি নেতা সুকুমার গড়াইয়ের নেতৃত্বে রামনবমী উপলক্ষ্যে আলাদা করে ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ফলে বিভাজন যে স্পষ্ট তা বোঝা যাচ্ছে। এতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বা বিতর্কের ঘটনা ঘটতে পারত। তাই এতদিন ধরে যাঁরা মিছিল করে আসছিলেন, তাঁরা সরে দাঁড়ালেন। পুলিসকেও লিখিত আকারে সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত গণেশ ঘোষ বলেন, সকাল ৯টার সময় আমাদের এত বছর ধরে মিছিল হয়ে আসছে। কিন্তু এবার শুনতে পাচ্ছি, ওই সময়ই কয়েকজন অন্য কিছু কর্মসূচি নিয়েছেন। আমরা তো ধর্মীয় বিভাজন চাই না। সেই কারণে মিছিল করব না বলে জানিয়ে দিলাম। পুলিসের অনুমতি কেবলমাত্র আমাদেরই রয়েছে। ভগবান রাম নিয়ে টানাটানি ঠিক নয় বলে মনে করি।
যদিও এপ্রসঙ্গে দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তাই কিছু মন্তব্য করব না। অন্যদিকে, শাসকদলের দাবি বিজেপির আদি বনাম নব্য এই দ্বন্দ্ব রামনবমী আয়োজনেও প্রভাব ফেলছে।
গোটা বীরভূম জেলাতেই রামনবমী উপলক্ষ্যে উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগের দিন থেকেই রামের ছবি ও হোর্ডিং লাগানো শুরু হয়েছে। শিল্পীরাও রামের ছবি এঁকে জনসমক্ষে তুলে ধরছেন। আজ সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন মিছিলে থাকবেন তৃণমূল, বিজেপি সব শিবিরের নেতারাই। রামনবমীকে কেন্দ্র করে জনসংযোগ সারতে চাইছেন সব দলের প্রার্থীই।