পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহল বলছে, শ্রীরামপুর লোকসভার অন্তর্গত প্রতিটি বিধানসভা ক্ষেত্রের নিজস্ব চরিত্র আছে। সেই নিরিখে উত্তরপাড়াও ব্যতিক্রম নয়। একদা রাজার তালুকে বাস করতেন বনেদি বাসিন্দারা। তাই ভোট রাজনীতির ক্ষেত্রে নিজস্বতা খুবই প্রবল। পরিসংখ্যানেও লুকিয়ে আছে তার নানা সূত্র। যদিও বাম, বিজেপি এবং তৃণমূল— সকলেরই দাবি লোকসভায় উত্তরপাড়ায় উড়বে তাদেরই পতাকা। এই অঞ্চলের তৃণমূল নেতা তথা দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, উত্তরপাড়া বিধানসভায় আমাদের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দলমত নির্বিশেষে সকলের পছন্দের প্রার্থী। বাম প্রার্থী তরুণী দীপ্সিতা ধর বলেন, উত্তরপাড়ার সাধারণ পছন্দ এবার লাল। ফলাফলে তার প্রমাণ মিলবে। বিজেপি’র শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মোহন আদক বলেন, এবার শ্রীরামপুরে তো বটেই, উত্তরপাড়াতেও পদ্ম ফুটবে।
রাজনৈতিক দলগুলি যাই বলুক না কেন, উত্তরপাড়ার রাজনীতির গতিপ্রকৃতির হদিশ কিছুটা পাওয়া যায় পরিসংখ্যানে। ২০১১ সালে পালাবদলের সময় পরিবর্তনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল উত্তরপাড়াতেও। পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে যাওয়ার পর ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জিতলেও ভোট কমেছিল প্রায় ১৪ শতাংশ। সেবার বামেদের সাড়ে তিন আর বিজেপির ৯ শতাংশ ভোট বেড়েছিল। সংখ্যার হিসেবে তৃণমূল ৮৪ হাজার ৯১৮, বামেরা ৭২ হাজার ৯১৮ এবং বিজেপি ২৩ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়েছিল।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপাড়ায় তৃণমূল ৭৫ হাজার ৪৩৮টি ভোট পেয়েছিল। সেবার বামেরা পেয়েছিল ৩৪ হাজার ২২৩টি ভোট আর বিজেপি পেয়েছিল ৭১ হাজার ৯৪৭টি ভোট। ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে তিন দলের প্রাপ্ত ভোটের যোগফল প্রায় কাছাকাছি। আবার ২০১৬ সালে বাম এবং ২০১৯ সালে বিজেপির ভোট ঠিক উল্টো হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, ঠিক এই কারণেই উত্তরপাড়ায় ভোটের চরিত্র পৃথক। গত বিধানসভা ভোটের পরিসংখ্যানও তাৎপর্যপূর্ণ। দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল অনেকটা ভোট বাড়িয়ে প্রায় ৯৪ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে। ভোট কমেছে বিজেপির। অন্যদিকে বিজেপির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বামেরা। অর্থাৎ বামেদের ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলে, বাম ফ্যাক্টরকে মাথায় রাখতেই হচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্রের দুই শাসকদলকে।