পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
মুক্তির পর
‘খোসলা কা ঘোসলা’, ‘ওয়ে লাকি লাকি ওয়ে’, ‘এলএসডি’ সহ আরও নানা ব্যতিক্রমী ছবির কারিগর দিবাকর। ‘এলএসডি টু’কে ঘিরে কতটা আশাবাদী? হাল্কা হেসে দিবাকর জবাব দেন, ‘মুক্তির আগে আমার কোনও ছবি নিয়ে চর্চা হয় না। কিন্তু মুক্তির পর হইচই শুরু হয়ে যায়। আমার ছবিতে সাধারণত কোনও বড় তারকা থাকেন না, বড় বাজেটের হয় না, আর কোনও সামাজিক ইস্যুও থাকে না। তাই এক্ষেত্রেও সময় কথা বলবে।’ দিবাকরের দাবি, ‘এলএসডি টু’ বর্তমান প্রজন্মের ছবি। তাঁর কথায়, ‘দশ-বারো বছর ধরে সমাজে যে পরিবর্তন এসেছে, তা এই ছবিতে রয়েছে। এটা আজকের ছবি।’
ভণ্ডামি
‘এলএসডি টু’ ছবিতে এক ঝাঁক নতুন মুখের পাশে কিছু চেনা মুখও দেখা যাবে। এই ছবির অন্যতম চরিত্রে রয়েছেন রূপান্তরিত অভিনেত্রী বনিতা রাজপুরোহিত। এই প্রথম কোনও রূপান্তরিত শিল্পী ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করলেন। একটু আক্ষেপের সুরে দিবাকর বলেন, ‘আসলে এই ছবিতে দু’জন ট্রান্সজেন্ডার শিল্পীকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দু’জন ট্রান্স শিল্পী হলে আপনারা এই ছবিটাকে তখন ‘তথ্যচিত্র’ বলতেন। আসলে আমরা সকলেই ভণ্ডামির নাটক করছি। ‘এলএসডি টু’ সেই ভণ্ডামির খেলাকে জনসমক্ষে আনার চেষ্টা করবে।’ এই ছবির চরিত্রায়নের ক্ষেত্রেও ভণ্ডামির আশ্রয় নিতে হয়েছে বলে জানান দিবাকর। হতাশার সুরে পরিচালক বলেন, ‘আমাদের সমাজ বর্ণবাদী। তাই ছবির চরিত্রের জন্য ফর্সা, টিকালো নাক, এমন অভিনেতা আমাকে নিতে হয়েছে। এই ছবির এক মূল অভিনেতার রং কালো বলে আমাকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে।’
ফলোয়ারের বিচারে কাস্টিং
‘এলএসডি টু’ ছবির মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সার উরফি জাভেদের বড় পর্দায় অভিষেক হতে চলেছে। উরফিকে কাস্ট করা প্রসঙ্গে দিবাকর বলেন, ‘উরফিকে নিয়েছি কারণ উনি অনেক বড় ইনফ্লুয়েন্সার। ওঁর প্রচুর ফলোয়ার্স। উরফির জন্য লোকে ছবি দেখতে আসবেন। এখন অনেক ছবিতে কাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অভিনেতার ফলোয়ার্স সংখ্যা বিচার্য।’
শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন
হিন্দি ছবি শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে বলে অনেকেই হাহুতাশ করেছেন। এই প্রসঙ্গ উঠতেই দিবাকর বললেন, ‘আসলে ছবির নির্মাতারা অধিকাংশই মুম্বইয়ের অভিজাত শ্রেণীর মানুষ। ওঁদের কাজের নির্দিষ্ট ধারা রয়েছে। এর বাইরে ওঁরা বের হতে চান না। ফলে হিন্দি ছবিতে বৈচিত্রের অভাব দেখা দিচ্ছে। আর গল্প একদমই জঘন্য।’
বাংলা ছবি
দিবাকরের বাংলা ছবি পরিচালনার কোনও পরিকল্পনা নেই। স্পষ্ট বললেন, ‘বাংলা ছবিতে পয়সা নেই। মুম্বইতে কাজ করে এখন আমার পয়সার অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে আমি ভণ্ডামি করতে চাই না। বেঁচে থাকার জন্য যতটা সম্ভব অর্থ উপার্জন করতে চাই। তবে বাংলা সাহিত্য আমাদের দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ।’