পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
কাটোয়া-২ ব্লকের আউরিয়া প্রাথমিক স্কুলে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ১৪৮জন পড়ুয়া ও পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। কয়েকদিন আগে ওড়িশার স্কুলে ওয়াটার বেল চালু হয়েছে। তা দেখে আউরিয়া স্কুলের শিক্ষকরা তাঁদের স্কুলেও এমনটা চালু করেছেন। ৩০মিনিট অন্তর মোট পাঁচবার ঘণ্টা বাজবে। সেসময় স্কুলের পড়ুয়ারা বোতল বের করে জল খাবে। যেসব ছোট পড়ুয়ারা বিষয়টি বুঝতে পারছে না তাদের শিক্ষকরাই জল খাওয়াচ্ছেন। সাধারণত স্কুলে প্রতি পিরিয়ড শেষ হলে আর টিফিন বা ছুটি হলে ঘণ্টা বাজে। শিশুদের শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে এবার ওয়াটার বেল বাজানো হচ্ছে। বেল বাজার সঙ্গেসঙ্গে শিশুদের জল খাওয়ানো হচ্ছে। প্রতিটি পড়ুয়াকে বাড়ি থেকে জলের বোতল আনতে বলা হয়েছে।
তাপপ্রবাহ চলায় পর্যাপ্ত জল খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের জলের ঘাটতি থাকছে। কারণ তারা দীর্ঘক্ষণ স্কুল-কলেজে থাকছে। সেকারণেই স্কুলেই শিশুদের নিয়মিত জল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ। স্কুলের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকে। প্রধান শিক্ষক তাপসকুমার গণ, সহকারী শিক্ষক প্রণবকুমার দত্ত বলেন, শিশুদের শরীরে যাতে জলের ঘাটতি না থাকে সেজন্যই আমরা ওয়াটার বেল চালু করেছি। প্রতিটি শিশুই বোতল ধরে জল খাচ্ছে। এটা দেখে আমাদেরও ভালো লাগছে। নিজেরাই বেল বাজার সঙ্গে সঙ্গেই বোতল বের করে জল খাচ্ছে। পড়ুয়ারা নিয়মিত জল খাচ্ছে কি না আমরা খোঁজ নিচ্ছি। আমরা স্কুলে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সবাই জল খাচ্ছে।
কাটোয়ার আউরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘ওয়াটার বেল’ চলাকালীন জল খাচ্ছে খুদে পড়ুয়ারা।-নিজস্ব চিত্র