পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, তবে এই অধ্যায় থেকে সরকার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতিও সামলে নেওয়া গিয়েছে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই ১০ হাজার নিয়োগপত্র দিয়েছে সরকার। আগামী দিনে এভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। জোর গলায় দাবি করেন শিক্ষামন্ত্রী। ভোটের আগে বিরোধীরা এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে সেটাকেই হাতিয়ার করেছে তারা। মন্ত্রীর নিদান, তৃণমূলপন্থী শিক্ষকদের মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছ নিয়োগ নীতির খবর জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এভাবেই ভোঁতা করতে হবে বিরোধীদের অপপ্রচার।
আগত শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষকদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এবার সেই ঋণ মেটানোর সময় এসেছে তাঁদের। রাজ্যে তৃণমূলের ৪২ জন প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যেক শিক্ষক নিজ নিজ জেলায় গিয়ে প্রচার করবেন এবং মানুষকে বোঝাবার দায়িত্ব নেবেন।
এদিকে, এদিনের সম্মেলনকে ঘিরে যথেষ্ট বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল করে সরিষা হাইস্কুল মাঠে আসার কথা ছিল শিক্ষকদের। কিন্তু তীব্র গরম এবং ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে তীব্র যানজটের কারণে শেষমুহূর্তে বাতিল করা হয় মিছিলটি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, শিক্ষামন্ত্রী এদিন মঞ্চ থেকে ঘোষণা করেন, এই সম্মেলনে ৩৫ হাজার শিক্ষক তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের তরফে দাবি করা হয় যে, অন্তত ১৫-১৬ হাজার শিক্ষক এই সমাবেশে আসবেন। কিন্তু এদিন দেখা গেল, মন্ত্রী আসার পরও মাঠের একাংশের চেয়ার খালিই! উপস্থিত অনেকের অভিযোগ, সমাবেশে ভিড় করেছিলেন মূলত প্রাথমিক, চুক্তিভিক্তিক ও পার্শ্ব শিক্ষকরা। মাধ্যমিক শিক্ষকদের উপস্থিতি ছিল মূলত প্রতিনিধিত্ব স্তরেই। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা নিয়েও ভীষণ বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পাওয়া যায়। যদিও এসব অভিযোগ মানেননি উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে উপস্থিতি কম হওয়ার পক্ষে তাঁদের সাফাই, যানজটের কারণে অনেক বাস আমতলাতেই আটকে পড়েছিল। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বহু শিক্ষক যথাসময়ে সভাস্থলে পৌঁছতে পারেনি। - নিজস্ব চিত্র