দিবাকর মজুমদার, ইটাহার: যিনি দত্তক নেওয়া গ্রামের উন্নয়ন করতে পারেননি, গোটা লোকসভা এলাকার উন্নয়ন করবেন কীভাবে! বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে প্রচারে এসে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে এভাবেই আক্রমণ শানালেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। দুয়ারে মন্ত্রীকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রীধরপুর গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের মহিলারা মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে সেলফিতে মজে ওঠেন। মন্ত্রীও তাঁদের নিরাশ করেননি। প্রচারে এসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশে গেলেন বীরবাহা। মঙ্গলবার ইটাহার বিধানসভার পতিরাজপুর অঞ্চলের শ্রীধরপুর গ্রামে নির্বাচনী কর্মী বৈঠক করে দলের ব্লক সংগঠন। এই অঞ্চলটি বিজেপির দখলে। তাই এখানে বিশেষ জোর দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার বাড়ি বাড়ি ঢুঁ দিচ্ছেন মন্ত্রী। সাধারণ মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যেতে শ্রীধরপুর গ্রামের তৃণমূল কর্মীর সুভাষ সোরেনের বাড়ির উঠোনে বসে বৈঠক করেন তিনি। বিধায়ক মোশারফ হুসেন ছিলেন মন্ত্রীর সফরসঙ্গী। এদিন আমগাছের নীচে ত্রিপল পেতে বসে এলাকার মহিলা ও পুরুষ ভোটারদের সমস্যা শোনেন বীরবাহা। পরে তিনি বলেন, আদিবাসীদের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি ভুল বোঝাচ্ছে। কিন্তু আদিবাসীরা বিজেপির ভাঁওতা বুঝে গিয়েছেন। তাই এবার তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে আছেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রকে বলে আটকে রেখেছেন সুকান্ত মজুমদার। যারা গরিব মানুষের কথা ভাবে না, সাধারণ মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবেন। তৃণমূলের এই প্রচারকে অবশ্য কটাক্ষ করে বিজেপির জেলা সম্পাদক গোকুলচন্দ্র মণ্ডল বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাকে প্রথম রাষ্ট্রপতি করেছে বিজেপি। আদিবাসী সম্প্রদায় বিজেপির সঙ্গেই আছে।