পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
গ্রামে নেই স্কুল। সিঙিমারি নদী পেরিয়ে পঞ্চাধ্বজি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে শিশুরা। বর্ষার সময় বন্ধ থাকে লেখাপড়া। যাতায়াতের সমস্যায় মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় কিশোর কিশোরীদের পড়াশোনা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সুবিধা নেই। তবে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন গ্রামের মহিলারা। গ্রামের বাসিন্দা মধু বিবি বলেন, বছর দশেক আগেও ধামাইলগাছ গ্রাম নামে লোকে জানত। তবে ভাঙনে গ্রামের বেশিরভাগ অংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। অন্য প্রান্তে ভেসে ওঠা নদীর চরে অনেকে বসবাস শুরু করেন। চরের এই গ্রাম তাই লোকমুখে শ্রীলঙ্কা নামে পরিচিত।
ওই গ্রামের অন্য আরএক বাসিন্দা আবেয়া বিবি বলেন, প্রতিবছর ভারী বর্ষণে বাড়িঘরে জল উঠলে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা আসেন। জনপ্রতিনিধিরাও আসেন। তাঁরা শুকনো খাবার দিয়ে যান। কিন্তু ওই পর্যন্তই। বাঁধের আশ্বাস দিলেও এখনও হয়নি। নদী যেভাবে ভাঙছে, এ বছর আর হয়তো গ্রাম থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা। তিনি যদি গ্রামের জন্য বাঁধের ব্যবস্থা করেন, তবে আমাদের ভিটে ছাড়া হতে হবে না। ওই গ্রামের বাসিন্দা রফিক হক বলেন, বাংলাদেশ লাগোয়া এই গ্রামে কোনও স্কুল নেই। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও। নৌকায় করে নদী পেরিয়ে ভোট দিতে যাই বুথে। কেন্দ্রের কেউ আমাদের বিষয়ে খোঁজ নেন না। গ্রামে স্কুল না থাকায় নদী পেরিয়ে দূরবর্তী স্কুলে যেতে হয় শিশুদের। কেউবা আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। বর্ষার সময় স্কুল যাওয়া বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে অনেকে আর স্কুলে যায় না। আরএক বাসিন্দা আবেদ আলি বলেন, গ্রামে এবার দিদির দিকে হাওয়া বেশি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়ে মহিলারা খুব খুশি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যত বাড়ুক, হাজার টাকা প্রতি মাসে পেয়ে খুশি তাঁরা।
নিজস্ব চিত্র