পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
অসমের বাসিন্দাদের প্রধান উৎসব বিহুর জন্য সেখানকার বিজেপি সরকার দরাজহস্ত। গত তিন বছর ধরে রাজ্যের ২৩০৬টি বিহু সমিতিকে দেড় লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। এবার সব মিলিয়ে ৩৫ কোটিরও বেশি টাকা অনুদান বাবদ দিয়েছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। আরও জানা গেল, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে যাঁরা বিহু উৎসব আয়োজন করছেন, তাঁদের এই সরকারি অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে গুয়াহাটি তো বটেই, গোটা অসমই এখন বিহুতে মাতোয়ারা। তার মধ্যে ভোট নিয়ে একেবারে কোনও জল্পনা নেই বললে ভুল হবে। কিন্তু তা যে দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের থেকে অনেকটাই কম, তা গুয়াহাটিতে পা দিয়েই বুঝতে পারবেন যে কেউ। প্রসঙ্গত, আগামী দিন পাঁচেকের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফা। ভোট ১৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ। অসমেও এই দিনে ভোট রয়েছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভোট হবে তিন দফায়। ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল এবং ৭ই মে।
গুয়াহাটির বাঙালি এলাকা বলে পরিচিত পল্টনবাজারে গিয়ে দেখা গেল, বাঙালি ভাতের হোটেল থেকে সাধারণ খাবারের দোকান—কী নেই সেখানে! যাঁরাই দুপুর কিংবা রাতে হোটেলে খাবার খেতে বসুন, তাঁদের পাতে নিশ্চিতভাবে পড়বে শুঁটকি মাছের চাটনি। আবার নিরামিষ খাবারের দোকান ‘শুদ্ধ ভোজনালয়’ও রয়েছে। দোকান, হাটবাজার ভিড়ে ঠাসাঠাসি। রাস্তার উপরেও সারি সারি দোকানপাট। কেনাকাটা চলছে দেদার। পর্যটকরা রীতিমতো দরদাম করে জামাকাপড় থেকে শুরু করে কাঠের জিনিসপত্র কিনছেন। দেখে মনে হতে পারে, এ তো ধর্মতলার নিউ মার্কেট চত্বর! কলকাতার বাগুইআটির এক বাসিন্দার এখানে জামা কাপড়ের দোকান রয়েছে। বললেন, ‘বিক্রিবাটা ভালোই।’ পশ্চিমবঙ্গের দিনহাটার বাসিন্দা নিতাই বিশ্বাস এখানে বেশ কয়েক বছর ধরে রিকশ চালাচ্ছেন। থাকেন গুয়াহাটি ভাঙাঘর এলাকায়। তবে তাঁর পরিবারের লোকজন এখনও দিনহাটাতেই থাকেন। দুর্গানগরের বাসিন্দা গোবিন্দ সাহা গুয়াহাটিতে একটি অ্যাপভিত্তিক বাইক সংস্থায় কাজ করেন। এরকমই হাজারো বাঙালির ভিড় সেখানে।
দক্ষিণ-মধ্য গুয়াহাটি বাঙালি বিহু সম্মেলনীর তরফে বিহু উদযাপন চলছে। বিরুবাড়ি বাঙালি বিহু উৎসব উদযাপন সমিতিও একই রকম জমকালো আয়োজন করেছে। এখানে সরকারিভাবে এক সপ্তাহ বিহু উৎসব চলবে। বেসরকারিভাবে চলবে এক মাস। তারপর হবে সমাপ্তি অনুষ্ঠান। বাঙালি সমাজের প্রায় প্রত্যেকেরই বক্তব্য, এখন আমরা উৎসব, পার্বণ নিয়ে ব্যস্ত আছি। ভোট নিয়ে মাথাব্যথা নেই। নেপালি মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে জনৈক সুশান্ত বিশ্বাস বললেন, ‘এ রাজ্যে কার দাপট সবাই জানে। তাই ভোট নিয়ে বিরোধীরাও যেন একটু ছন্নছাড়া।’