Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বনাম ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ভাঁওতা
সন্দীপন বিশ্বাস

নমস্কার, আমি আপনার ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বলছি। আপনার অ্যাকাউন্টে একটু আগে একটা বিদেশি লটারির পুরস্কার বাবদ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঢুকেছে। কিন্তু অ্যাকাউন্টে একটা সমস্যা থাকায় টাকাটা ঢুকছে না। আপনার কাছে একটা ওটিপি নম্বর যাচ্ছে, সেটা আমাকে বলে দিলেই আপনার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢুকে যাবে। 
এই ধরনের ফোন অনেকেই পেয়েছেন। 
যাঁরা লোভে পা দিয়ে ওটিপি নম্বর  জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। এগুলো আসলে প্রতারণার কল। বর্তমানে এই ধরনের প্রতারণা বেড়েই চলেছে। রাজনীতিও তার ব্যতিক্রম নয়। জীবনের সবক্ষেত্রেই প্রতারককে ঠিকমতো চিনতে না পারলে, সবকিছু কিন্তু নিমেষে শেষ হয়ে যাবে। 
১৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রাপ্তি সংক্রান্ত প্রতারণার গল্প শোনার পরই অনেকেরই মনে পড়তে পারে দশ বছর আগের কথা। সেদিনও ছিল আজকের মতো এমনই ভোটের হাওয়া। সারা দেশের বিভিন্ন মঞ্চে গিয়ে এক নেতা বারবার বলে গিয়েছেন, ‘আপনারা আমাকে ভোট দিন, আমি বিদেশ থেকে সমস্ত কালো টাকা উদ্ধার করে নিয়ে এসে আপনাদের ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করে দেব।’ গোয়েবলসের থিয়োরির মতো তিনি একই কথা বারবার বলে মানুষের মনে অনায়াসে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর ৫৬ ইঞ্চি ছাতির সাহসিকতার উপর মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন। মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু মানুষের অ্যাকাউন্টে আর ১৫ লক্ষ টাকা ঢোকেনি। কালো টাকা বিদেশ থেকে আসেনি। নীরব মোদিরা তাঁদের আমলেই ব্যাঙ্ক লুটেপুটে পালিয়েছেন। তাঁর আমলেই দেশের গুটিকয় ধনী ফুলে ফেঁপে উঠেছেন। সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন। এখন কালো টাকা আনার কথা তিনি মুখেও আনেন না। নীরব মোদিদের গ্রেপ্তার করার কথাও বলেন না।  
এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বছরে দেশের দু’কোটি যুবককে চাকরি দেব।’ মানুষ আবার তাঁকে বিশ্বাস করলেন। উল্টে দেখা গেল, বহু মানুষ তাঁদের চাকরি হারালেন। দেশের চাকরির জগৎকে শ্মশান বানিয়ে তুললেন। সেই শ্মশানে বসেই যেন শুরু হয়েছে তাঁর ক্ষমতা দখলের সাধনা। 
‘ভাঁওতাদ প্রতিশ্রুতির একটা একটা করে প্রমাণ রয়ে গিয়েছে বিজেপির ইস্তাহারে। এখনও গুগল খুললে পাওয়া যাবে বিজেপির প্রথম ও দ্বিতীয় লোকসভা ভোটের ইস্তাহার। সেই ইস্তাহার ছিল প্রতিশ্রুতির গঙ্গাসাগর। একটি প্রবাদ আছে, ‘স্বপ্নে পোলাও রান্না করলে বেশি করে ঘি ঢালো।’ সুতরাং যে প্রতিশ্রুতি পালনের দায়বদ্ধতা নেই, তাতে যত ইচ্ছে জল মেশাও।  কংগ্রেস শাসনকালের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিষোদ্গার করে ইস্তাহারে বিজেপি বলেছিল, ‘ক্ষমতায় এলে তাদের অগ্রাধিকার হবে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ।’ কিন্ত কী দেখা গেল? নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ে ব্যাপক ফাটকাবাজি হল। সর্ষের তেল সহ অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে রাতারাতি বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের পকেটে হাজার হাজার কোটি টাকা ভরে দেওয়া হল। তবে তা একতরফা ছিল না। বেওসায়িদের একাংশও বিজেপির তহবিলে গোপনে টাকা দিয়ে ঋণ শোধ করলেন। শাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিজেপি কীভাবে একের পর এক চাঁদা নেওয়া বা ‘তোলাবাজি’ করেছে, আজ আর তা দেশের মানুষের কাছে লুকোছাপার ব্যাপার নয়। 
মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করার বহু দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন বহু শাসক। কিন্তু গত দশ বছরে মানুষকে ধনেপ্রাণে মারার এমন নিষ্ঠুর হৃদয়হীনতা এর আগে কোনও শাসকই দেখাতে পারেননি। এমন নজির যিনি সৃষ্টি করেছেন, তাঁর নাম হল নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। কিন্তু মানুষের কাছে বারবার অসত্য প্রতিশ্রুতির টোপ ফেললেই কি মানুষ তা গিলে নেন? না, তা নেন না। বিগত দু’টো নির্বাচন মোদির মুখোশ খুলে দিয়েছে। দেশ থেকে কালো টাকা মুছে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যিনি, তাঁরই দলের তহবিলে জমছিল গোপন অনুদান। কে দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে, তার ইতিহাস গোপন করার কী মরিয়া চেষ্টা! কিন্তু গোটা গেমটারই চালিয়াতি ফাঁস হয়ে গেল। ধর্ম নিয়ে যাঁদের ব্যবসা, তাঁদের সামনেই ধর্মের কল বাতাসে নড়ে গেল। কীভাবে বড় বড় কোম্পানিকে ভয় দেখিয়ে তাদের বাড়িতে ইডি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল করে পার্টি টাকা আদায় করত, তা আজ জলের মতো পরিষ্কার। যে কোম্পানি লোকসানে চলছে, সেও শত শত কোটি টাকা গেরুয়া বাবাজিদের তহবিলে তোলা দিয়েছে। সেই তোলাবাজির গোপন কথা ফাঁস হতেই দেশজুড়ে ধিক্কার। কিন্তু মুখে কুলুপ ৫৬ ইঞ্চি অ্যান্ড কোম্পানির। এসব কথা কিন্তু ইস্তাহারে পাওয়া যাবে না।
বিগত দশ বছরের ইতিহাস মানুষের কাছে সেই বিশ্বাসভঙ্গের ইতিহাস। একবার চোখ বুজে বড় বড় প্রতিশ্রুতিগুলো বসে পাঁচ মিনিটের জন্য ভাবুন। বুঝতে পারবেন, দেশের নাগরিক হিসাবে আপনি কতখানি প্রতারিত হয়েছেন। ১৫ লক্ষ টাকা , দু’কোটি চাকরির পরেও রয়েছে অজস্র প্রতিশ্রুতি। আচ্ছে দিন। পেয়েছেন? পাননি। না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা! বিরোধীদের খাওয়া বন্ধ করার ফাঁকে দেখা গেল নিজেরাই গলা পর্যন্ত খেয়ে বসে আছেন। ঢেকুর তোলার জায়গা পর্যন্ত নেই। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে অর্থাৎ ২০২২ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের মাথায় পাকা ছাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেখানেও ব্যর্থ। করোনার সময় বারবার দেখা গিয়েছে মোদি সরকারের অমানবিক মুখ। দেশের কালো টাকা ধরার নামে নোটবন্দি করলেন। বললেন, ‘আমাকে পঞ্চাশ দিন সময় দিন, আমি দেশের অর্থনীতি বদলে দেব।’ এক্ষেত্রে তিনি কথা রেখেছেন। অর্থনীতিকে বদলে দিয়েছেন, কিন্তু সেটা অক্ষমের হাতে পড়ে তলিয়ে যাওয়ার লজ্জা! দেশের বৈদেশিক ঋণ ক্রমেই বাড়ছে। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো আমরাও ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছি ঋণের জালে, আর সরকার অসত্য তথ্য দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে, ‘সব ঠিক হ্যায়’। 
২০১৪ সালে দেশের বৈদেশিক ঋণ ছিল প্রায় ৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। দশ বছরে সেই ঋণ তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। সোনার দাম, টাকার দাম, পেট্রল-গ্যাসের দাম নিয়ে তুলনা করুন, ব্যর্থতার প্রমাণ পেয়ে যাবেন। অর্থনীতি যে এভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে, তা অনেকদিন আগেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন স্পষ্টভাষায় বলে দিয়েছিলেন। তারপর মোদি সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার বহর দেখে একে একে সরে পড়েছেন অরবিন্দ পানাগরিয়া, অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম, উর্জিত প্যাটেলের মতো বড় বড় অর্থনীতিবিদরা।   
এবারের নির্বাচনে তাঁর স্লোগান, ‘মোদির গ্যারান্টি’। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁর একটা গ্যারান্টিও কাজে লাগেনি। দেউলিয়া শাসকের আবার গ্যারান্টি! বিজেপি যাঁকে ‘বিশ্বগুরু’ সাজিয়ে ভোটপ্রচারে নেমেছে, আন্তর্জাতিক স্তরে তিনি ভারতকে কোথায় পৌঁছে দিয়েছেন, তা অনেকেরই জানা নেই। গণতন্ত্র,  খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, বাক স্বাধীনতা, শান্তি, সুখী দেশের নিরিখে আমরা তালিকার শেষের দেশগুলোর সঙ্গে লড়াই করছি। মোদির শাসনে আমরা প্রায় সবক্ষেত্রে লাস্ট বয়।
একটা খামখেয়ালি শাসন ব্যবস্থার মূল্য দিতে হচ্ছে দেশের প্রতিটি মানুষকে। বিরাট স্ট্যাচু অব ইউনিটি গড়ে যিনি একসময় হাততালি কুড়িয়েছেন, তিনিই ভারতের আত্মিক ঐক্যকে, ধর্মনিরপেক্ষতাকে শেষ করতে চলেছেন। যিনি নিজেকে দেশের ‘চৌকিদার’ বলে বুক বাজান, তাঁর দলকে ঘিরে আজ ইলেক্টোরাল বন্ডের কলঙ্ক জমেছে। আমরা এখনও জানি না, পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে এমন কোনও হতবাক হওয়ার মতো কিছু ভবিষ্যতে ঘটবে কি না! একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই আমাদের সেই রাস্তা দেখাতে পারে।  সুতরাং এই মুহূর্তে মোদি গ্যারান্টির শেয়ার দর যে ভোটারদের কাছে হু হু করে পড়ে যাচ্ছে, এনিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। 
পাশাপাশি ভোটারদের এই বাংলার দিকে তাকাতে বলি। কীভাবে রাজ্য সরকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অসময়ে তাঁদের বল ভরসা জোগাচ্ছে, সেটা দেখে শেখার মতো। শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের শক্তিকে রোখার মতো কোনও শক্তিই আজ বিজেপির অস্ত্র ভাণ্ডারে নেই। তাই এবার বিজেপিকে লড়তে হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সবুজ সাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কৃষকবন্ধু, খাদ্যসাথী, কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, রূপশ্রী, জয় জোহার নামক নানা মৃত্যুঞ্জয় অস্ত্রের সঙ্গে। মোদির বায়বীয় গল্প, নাকি মমতার বাস্তবতা? বাংলার মানুষকে ভাতে মারার কৌশল, নাকি তাঁদের মুখে ভাত পৌঁছে দিতে এক নারীর অসম লড়াই। এটাই এবার নিরূপণ করবে ভোটের ভাগ্য! অবশ্য বিজেপিরও আছে নিজস্ব এক বড় মাপের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! সেখানে হাজার টাকা নয়, জমা হয় বেওসায়িদের হাজার হাজার কোটি টাকা। তার জোরেই বিজেপি নিজেকে সর্বশক্তিমান মনে করছে। সেই টাকার জোরেই যেন দেশের বিরোধী নেতাদের কিনে নেওয়ার ‘মান্ডি’ খুলে বসেছে। কিছুতেই গুরুত্ব দিচ্ছে না গণতন্ত্রে মানুষের শক্তিকে। ভোট কি তবে নতুন দিশা দেখাতে পারবে? বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি তাঁদের কথার মূল সুরই হল, ‘দশ বছরের দশমীতে বেজে উঠুক মোদি বিসর্জনের ঢাক!’  
লক্ষ্য উত্তরবঙ্গ: মমতার প্রকল্প আছে, মোদির?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

রাস্তাঘাটে আম জনতার সঙ্গে কথা বলছেন সঞ্চালক। প্রত্যেকের জন্য প্রশ্ন একটিই, গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারের এমন তিনটি কাজ বলুন, যার মাধ্যমে আপনি সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
বিশদ

16th  April, 2024
এক জাতি, এক নির্বাচন: সন্দেহজনক তত্ত্ব
পি চিদম্বরম

ইস্তাহার হল একটি লিখিত ঘোষণা। তাতে থাকে মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে কিছু ইচ্ছা এবং মতামত। এই প্রসঙ্গেই মনে আসে ১৭৭৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ১৯৪৭-এর ১৪-১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহরুর সেই বিখ্যাত ‘ভাগ্যদেবতার সঙ্গে অভিসারের সংকল্প’ ভাষণের মতো দৃষ্টান্তগুলি।
বিশদ

15th  April, 2024
৪০০ নামুমকিন, তবু মরিয়া ‘গোয়েবলস’
হিমাংশু সিংহ

নির্বাচন কত বড় ‘মাইন্ড গেম’ তার অকাট্য প্রমাণ এবারের লড়াই। নরেন্দ্র মোদি জানেন, কোনও অঙ্কেই ৪০০ আসন জেতা সম্ভব নয়। দক্ষিণ ভারত না সাথ দিলে ৩০০ অতিক্রম করাও কঠিন। উত্তর ভারতে দু’-চারটে রাজ্যে হিসেব না মিললে ২০০-র আগেই কিংবা সামান্য ওপরে থমকে যেতে পারে বিজেপির রথ। বিশদ

14th  April, 2024
আমে-দুধে মেশায় আইএসএফ এখন ‘আঁটি’
তন্ময় মল্লিক

ডুবন্ত মানুষ বাঁচার আশায় খড়কুটোকেও আঁকড়ে ধরে। একুশের নির্বাচনে সেই আশায় ডুবন্ত সিপিএম আইএসএফকে আঁকড়ে ধরেছিল। বাংলার রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য ব্রিগেডের জনসভায় অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকীর হাতে মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। বিশদ

13th  April, 2024
অশ্বমেধের ঘোড়া বনাম এক নারীর লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবন ৫০ বছরে পা দিল। ৫০ বছর ধরে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্থান এক চমকপ্রদ ঐতিহাসিক রেফারেন্স। বিশেষত পুরুষতান্ত্রিক ভারতীয় রাজনীতিতে এক নারী হিসেবে ক্রমে শীর্ষে পৌঁছনো প্রায় বিরল। বিশদ

12th  April, 2024
ইতিহাসমেধ যজ্ঞের শেষ পরিণতি কী?
মৃণালকান্তি দাস

সদ্য ক্ষমতায় বসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তখন স্মৃতি ইরানি। ২০১৪-র অক্টোবর মাস। দিল্লির মধ্যপ্রদেশ ভবনে মন্ত্রীকে ডেকে এনে প্রায় সাত ঘণ্টা বৈঠক করেছিলেন আরএসএস নেতারা। বৈঠকে সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে ছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিশদ

11th  April, 2024
অর্থ পরে, আগে আস্থা ফেরান মোদি
হারাধন চৌধুরী

পূর্ববর্তী দুটি লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন। এবার তাঁর প্রচারের ক্যাচলাইন ‘গ্যারান্টি’। কখনও কখনও তিনি শুধু ‘গ্যারান্টি’তেই থেমে নেই, ‘গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি’ দিচ্ছেন! পুরো শরীরী ভাষা উজাড় করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলে চলেছেন, ‘আজ পুরা হিন্দুস্থান জানতা হ্যায়, দুনিয়া ভি মানতা হ্যায়, মোদি কি গ্যারান্টি মতলব গ্যারান্টি পুরা হোনে কি গ্যারান্টি!’
বিশদ

10th  April, 2024
ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? বিশদ

09th  April, 2024
বিপন্ন সাংবিধানিক নৈতিকতা
পি চিদম্বরম

দুর্নীতির অভিযোগে একজন কর্তব্যরত মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার একইসঙ্গে আইনি, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক সমস্যা। এটা আরও এমন একটা বিষয় যা সংবিধানের লিখিত বয়ানবহির্ভূত এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সাংবিধানিক নৈতিকতার দিক। 
বিশদ

08th  April, 2024
ডায়মন্ডহারবারে বিজেপি’র প্রার্থী নেই কেন?
হিমাংশু সিংহ

মুখে বড় বড় কথা, লড়াই করার নেতা নেই, দমও নেই। শনিবার দুপুরে এই লেখা যখন লিখছি তখনও ডায়মন্ডহারবারে প্রার্থীই ঘোষণা করতে পারেনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রণেভঙ্গ দিয়েছেন সিপিএমের মদতপুষ্ট নৌশাদ সিদ্দিকিও। বিশদ

07th  April, 2024
বেলাগাম হও, নম্বর বাড়াও
তন্ময় মল্লিক

‘বিধায়কের সম্পত্তির সঙ্গে উপার্জনের কোনও সঙ্গতি নেই। তার হিসেব আমার কাছে এসে গিয়েছে। কীভাবে এত সম্পত্তি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হবে। তিনি হয়তো তিহারে যেতে পারেন। এই হুঁশিয়ারির পর বিধায়ক যদি চুপ করে যান তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বিশদ

06th  April, 2024
ইতিহাসের তর্ক বিতর্ক: সর্বনাশ কিন্তু বাঙালিরই
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা সবথেকে কী পেতে ভালোবাসি? ধনসম্পত্তি, প্রশংসা এবং সমর্থন। ধনসম্পত্তি, অর্থাৎ টাকাপয়সা সম্পদ পেলে আনন্দ হয়। প্রশংসা শুনলে মন খুশিতে ভরে ওঠে। আর আমাদের কথার সমর্থন পেতে পছন্দ করি আমরা। সাধারণ মানুষ অথবা ক্ষমতার শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিত্ব সকলেরই এই একইরকম মনের সুর। বিশদ

05th  April, 2024
একনজরে
 ফুটবলের মক্কা কলকাতা। তিন প্রধানকে ঘিরে সমর্থকদের অফুরান আবেগ ময়দানের ইউএসপি। ফুটবলের মতো মেট্রো রেলও বঙ্গ সংস্কৃতির ...

বিধাননগর হাসপাতাল মোড়ের কাছে  দুই ব্যক্তি গল্প করছেন। ধীরেন রায় নামে একজন বলছেন, দেখলেন তো তৃণমূলের মিছিলে ভিড়। কিসের লোভে লোকগুলো ঘুরছে বলুন তো? ...

যিনি দত্তক নেওয়া গ্রামের উন্নয়ন করতে পারেননি, গোটা লোকসভা এলাকার উন্নয়ন করবেন কীভাবে! বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর সমর্থনে প্রচারে এসে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে এভাবেই আক্রমণ শানালেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ...

বাগদার বিজেপি নেতাদের ফোন করে ভোট চাইছেন বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। অভিযোগ, তিনি বলছেন, ‘আমাকে জিতিয়ে দিন। জিতে আবার বিজেপিতে ফিরে আসব।’ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৬২৯ - প্রথম বাণিজ্যিক মাছের খামার চালু
১৭৮১ - ওয়ারেন হেস্টিংস কলকাতায় প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন
১৭৯০- মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের মৃত্যু
১৮৫৩ - নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা রসরাজ অমৃতলাল বসুর জন্ম
১৮৯৯ - কলকাতায় প্রথম বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
১৯২৭- প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের জন্ম
১৯৭১- স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাংলাদেশ, গঠিত হল অস্থায়ী মুজিবনগর সরকার
১৯৭২- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মুথাইয়া মুরলীধরনের জন্ম
১৯৭৪ - ইংরেজ গায়িকা, অভিনেত্রী ও ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের জন্ম
১৯৭৫- ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের মৃত্যু
১৯৮৩- এস এল ভি-৩ রকেটের সাহায্যে ভারত মহাকাশে পাঠাল দ্বিতীয় উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আর এস ডি-২



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৫৫ টাকা ১০৫.১৬ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৮ টাকা ৮৯.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৮৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী ২৪/৫০ দিবা ৩/১৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১৮/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৫৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৯ গতে ১১/১১ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪২ গতে ৩/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৬ গতে ১০/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৮ গতে ১০/২ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৭ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে।  
৪ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৫/৩৫। পুষ্যা নক্ষত্র দিবা ৭/৫৫। সূর্যোদয় ৫/১৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/৭ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/০ গতে ১০/২৭ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৮ গতে ১০/৩ মধ্যে ও ১১/৩৭ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৮ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
৭ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: গুজরাতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দিল্লি

10:27:17 PM

আইপিএল: ১৯ রানে আউট সাই হোপ, দিল্লি ৬৭/৪ (৫.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

10:14:08 PM

আইপিএল: ১৫ রানে আউট অভিষেক পোরেল, দিল্লি ৬৫/৩ (৫ ওভার) টার্গেট ৯০

10:08:47 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এক পরিযায়ী শ্রমিক

10:01:42 PM

আইপিএল: ৭ রানে আউট পৃথ্বী শ, দিল্লি ৩১/২ (২.৪ ওভার) টার্গেট ৯০

09:53:34 PM

আইপিএল: ২০ রানে আউট জ্যাক, দিল্লি ২৫/১ (২ ওভার) টার্গেট ৯০

09:50:47 PM