পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
দেখুন অ্যান্টিবায়োটিক হল ব্যাকটেরিয়া নিধনকারী নানা ধরনের রাসায়নিক। অর্থাৎ শরীরে ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে কোনও সংক্রমণ হলে, তখন আমাদের অ্যান্টিবায়োটিক না দিয়ে কোনও উপায় থাকে না। অ্যান্টিবায়োটিক সবসময় যে ক্যাপসুলের মোড়কে থাকবে তা নয়। এমনি ট্যাবলেট, ডাস্ট, কোনও সময় আবার মলম ইত্যাদি নানা ফর্মেও থাকতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিক একদিকে যেমন জীবনদায়ী ওষুধ, তেমনি তার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। একবার মাত্র ব্যবহার করে যেমন তাৎক্ষণিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তেমনি হতে পারে দীর্ঘদিন একটানা ব্যবহার করলে। যেজন্য অভিজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়। যে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক নির্দিষ্ট মাত্রায়, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে, নির্দিষ্ট দিন ধরে খেতে হয়– ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। অমুকে বলল, এটা কড়া ওষুধ, আর আপনিও মাঝপথে বন্ধ করে দিলেন– এমনটা করবেন না। এতে ক্ষতি হয় মারাত্মক। বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া নিশ্চয়ই খারাপ, তার চেয়েও বেশি খারাপ ৫ দিনের জায়গায় ২ দিন খেয়ে ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া। কিংবা রোজ ডাক্তারবাবু চারটি করে খেতে বললে, খেলেন দু’টি করে! অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে পেট ব্যথা, পায়খানা, বমি, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট সহ যে কোনও অসুবিধা দেখা দিলে, ওষুধটি বন্ধ করে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। সব অ্যান্টিবায়োটিক সবার সহ্য হয় না, তা সে যত নামীদামিই হোক না কেন। পরিবর্তে অন্য কোনও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের জন্য চিকিৎসক পরামর্শ দেন। শেষ কথা হল, অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনও অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।
লিখেছেন ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য