পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
সম্প্রতি ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত এক শিশুকে শহরের এক নামজাদা শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিত্সার পরও তার সর্দি, কাশি, জ্বর কিছুতেই কমছে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেল বাচ্চাটি স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছে। ফুসফুসে জমেছে পুঁজ। শেষে অস্ত্রোপচার করে তাঁর জীবন বাঁচাতে হল। আবার আর একটি বাচ্চার ক্ষেত্রে দেখা গেল তার ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গে হয়েছে অ্যাডিনো।
এমনকী বয়স্কদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে এই প্রবণতা। কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর ফের তাঁরা অন্য জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত হচ্ছেন। চিকিত্সা বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম ‘সুপার ইনফেকশন’।
কী এই সুপার ইনফেকশন?
সহজ ভাষায়, সংক্রামিত কোনও মানুষ যদি সুস্থ হয়ে ওঠার আগে ফের সংক্রমণের শিকার হয়, তাকে সুপার ইনফেকশন বলে। ধরা যাক, কোনও ব্যক্তি নির্দিষ্ট ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে ওই ভাইরাসের অন্য কোনও স্টেইন তাঁর শরীরে হানা দিতে পারে। প্যারাসাইটের ক্ষেত্রে একই গ্রুপ দ্বারা পরপর সংক্রমণেই বিপত্তি তৈরি হয়। যেমন ফেসিওলা হেপাটিকার পর আবার ফিলিওলা জিগনাটিকার সংক্রমণে শরীরে বিপত্তি তৈরি হতে পারে। কিছুক্ষেত্রে ভাইরাসের পর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াও শরীরে হানা দিতে পারে। অনেকক্ষেত্রে এই সংক্রমণে তত্ক্ষণাৎ কোনও ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায় না। তাই যথাসময়ে ব্যবস্থা না নিলে এই সুপার ইনফেকশন জটিল আকার ধারণ করে। প্রাণঘাতীও হতে পারে।
কেন শরীরে বাসা বাঁধে সুপার ইনফেকশন?
মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও অপব্যবহার। বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তার সুযোগ নেয় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া। অসুস্থ অবস্থায় কোনও জমায়েতে হাজির হলে সেখান থেকেও হতে পারে সুপার ইনফেকশন।
সাবধানতা?
দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে রোগীর জ্বর সর্দি, কাশি না কমলে দ্রুত চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ান ও প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করান।