পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
পজিটিভ থাকার সূত্র
• নেতিবাচক চিন্তার আবার তিনটি ভাগ—১) নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা। ২) পরিবেশ নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা। ৩) ভবিষ্যত্ নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা।
নিজের সম্পর্কে যখন কোনও ব্যক্তি হীনমন্যতায় ভোগেন তখন তিনি জীবনে নানা দিক দিয়ে সফল হওয়ার পরেও কোনও একটি ব্যর্থতাকেই তিনি বড় করে দেখতে থাকেন। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ার মিথ্যে প্রচারের যুগে এই অবসাদের অন্ধকূপে আছড়ে পড়ার ভুল আমরা বার বার করি। তা কেমন? তিনজনের মধ্যে অঙ্কন প্রতিযোগিতা হল! সন্তান তৃতীয় স্থান দখল করেছে! তাতে কী? সামাজিক মাধ্যমে বাবা-মা খুব করে প্রচার করলেন— ‘ মাই চাইল্ড সিকিওরড দি পজিশন অফ সেকেন্ড রানার আপ ইন দ্য সিট অ্যান্ড ড্র কমপিটিশন!’ সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে গেলেন একশোটি লাইক, দুশোটি কমেন্ট, তিনশোটি শেয়ার। তাই দেখে আর এক বাবা তাঁর সন্তানকে অযথা বকা দিলেন। অতএব বোঝাই যাচ্ছে এই মেকি ও কৃত্রিম সামাজিক মাধ্যম পরিবৃত অবস্থায় আমরা যখন থাকি, তখন অন্যের সাফল্য দর্শনে আমরা পরশ্রীকাতর হই ও ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে নিজের অন্তরে অন্তরে জ্বলে পুড়ে যাই। ক্রমশ তৈরি হতে থাকে অবসাদ। সুতরাং প্রথমেই দূর করুন অন্তরের হীনমন্যতা।
পারিপার্শ্বিক পরিবেশ নিয়েও হতে হবে ইতিবাচক। কেউ সাহায্য করল না মানেই সবাই ভালো আছে, শুধু আমিই অন্ধকারে রয়েছি!— এই ভাবনা বাদ দিয়ে নিজের দিকে তাকান। অতীতে কী কী কাজ সফলভাবে করেছেন, আগামীতেও কী কী করতে পারেন তা বোঝার চেষ্টা করুন। দেখবেন ইতিবাচক কিছু না কিছু খুঁজে পাচ্ছেন।
নেতিবাচক ভাবনা আসে ভবিষ্যত্ নিয়েও। মুহূর্তের ব্যর্থতা মেনে নিতে কষ্ট হয়। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন অনেকে। অফিস কর্মী ভাবেন চাকরি গেল! ছাত্রছাত্রীরা ভাবে পরীক্ষার ফলাফলে ব্যর্থতা কিংবা প্রেমজ সম্পর্কে ইতি মানে জীবনটাই বৃথা! এই নেতিবাচকতার সঙ্গে লড়তে দরকার ব্যালেন্সের। তা গড়ে তোলা যায় প্রতিদিন বাবা-মা, সন্তান, প্রিয়জনের সঙ্গে মনের কথা বলে, তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে। এছাড়া করতে হবে অন্তত আধঘণ্টা এক্সারসাইজ! তাতে ধৈর্য বাড়বে।
কোথাও বেড়াতে গিয়ে আমরা তাড়াহুড়ো করতে ভুলে যাই, সময় দিই প্রকৃতিকে, অকিঞ্চিত্ ঘাসফুলও তখন যেমন মায়াময় মনে হয়— ঠিক তেমনভাবে উপভোগ করতে হবে বর্তমান জীবনকে। ক্ষুদ্র সুন্দর বিষয়গুলির প্রতি তাই দৃকপাত করুন। তখন আর কোনও ফোন নয়, টেলিভিশন নয়, শরীর ও মনের কাছাকাছি থাকবে কেবল দু’টি মন বা পরিবার। মন পূর্ণ হয়ে থাকবে ইতিবাচক ভাবনায়।