পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
একটু শুরু থেকে বলি। স্টেন্ট শব্দটি এসেছে দন্ত চিকিৎসক চার্লস স্টেন্টের নাম থেকে। চার্লস ডটার নামের একজন চিকিৎসক ছিলেন। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বাদ না দিয়ে ধমনীর ব্লকেজ খোলার কৌশল দেখিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই পদ্ধতিকে বলা হতো ডটারিং। পরবর্তীতে আন্দ্রেয়াস গ্রুয়েন্টজিগ নামক আরও একজন চিকিৎসক বুঝেছিলেন, ডটারিং অসাধারণ পদ্ধতি হলেও এর পরিবর্তন প্রয়োজন। তিনি পরিবর্তন আনলেন। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির সূচনালগ্ন বলা চলে এটিকে। ধীরে ধীরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল এই চিকিৎসাপদ্ধতি। কার্ডিওলজিস্টরা একসময় অনুভব করলেন, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার কিছু সময় পর থেকে ধমনী ফের সংকুচিত হতে শুরু করেছে। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হল। এমন সময় জ্যাক পুয়েল এবং উলরিচ সিগওয়ার্ট একটি ক্ষুদ্র বস্তু বসিয়ে দিলেন। এর ফলে আর্টারি স্বাভাবিক রইল। তার মধ্য দিয়ে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল করল। ১৯৮৬ সালে ফ্রান্সে এক রোগীর শরীরে প্রথম এমন স্টেন্ট বসল। গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলল এই প্রক্রিয়া। এর একবছর পর ১৯৮৭ সালে জুলিও পালমাজ ও রিচার্ড শ্যাটজ জার্মানিতে এর চেয়ে উন্নত প্রসারণযোগ্য স্টেন্ট বসালেন রোগীর শরীরে। ধমনীর সংকোচনের ঘটনা আরও কমাতে ড্রাগ-ইলিউটিং স্টেন্ট চালু হয়। এখনও স্টেন্ট নিয়ে নানান পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে।’ প্রতিমাদেবী বললেন, ‘এই স্টেন্টের তো অনেক খরচ না?’ সোমনাথবাবু জবাব দেন, ‘এই জন্যই তো এপিজে আব্দুল কালাম ও তাঁর বন্ধু ড. সোমা রাজু কম খরচের স্টেন্ট বাজারে এনেছিলেন। কালাম-রাজু স্টেন্ট নামে পরিচিত এটি।’