পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
হলুদ আসলে কী?
এটি আসলে এক প্রকার কন্দ। যাকে ইংরেজিতে বলে রাইজোম। রান্না তো বটেই, আয়ুর্বেদে ওষুধ হিসেবে হলুদের ব্যবহার চরক, সুশ্রুতের আমল থেকেই চলে আসছে।
হলুদের গুণের কিছু নমুনা
কাঁচা হলুদ বেটে খাওয়া কিংবা আঘাতের জায়গায় লাগানো অথবা হলুদের রস খাওয়া— নানাভাবে হলুদের ব্যবহার হয়। আয়ুর্বেদে বলা হয়, মানুষের শরীরে বায়ু, পিত্ত ও কফ— এই তিন ‘দোষ’ যদি সাম্যাবস্থায় থাকে, তাহলে শরীর সুস্থ থাকে। আর হলুদ এই তিনটি দোষকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা সাম্যাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যা হোক বা বাইরের কোনও সমস্যা। হলুদ দুই ক্ষেত্রেই সমান কার্যকরী। শরীরের কোথাও ফুলে গেলে বা চোট লাগলে হলুদ বাটা ব্যবহার করার কথা আগেই বলেছি। হলুদ একইসঙ্গে বেদনানাশক ও প্রদাহনাশক।
গায়ে হলুদের সুগভীর তাৎপর্য
বিয়ের সময় গায়ে হলুদ আমাদের পরিচিত রীতি। কিন্তু এর অন্য উপকারিতাও রয়েছে। হলুদ বেটে যদি গায়ে মাখা যায়, তাহলে তা আমাদের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাঙ্গাস থেকে বাঁচায়। তাই আয়ুর্বেদে হলুদকে বলা হয় কৃমিঘ্ন। একইসঙ্গে হলুদ মাখলে ত্বকের ঔজ্বল্যও বৃদ্ধি পায়। এছাড়া বিভিন্ন চর্মরোগ, একজিমা, ডার্মাটাইটিস, শ্বেতি বা চামড়ায় ছোপ ছোপ দাগ, মেচেতা মোকাবিলায় হলুদ ভালো কাজ করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হলুদ
এবার শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় আসি। প্রথমেই বলতে হয় হলুদ হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আমাদের শরীরে বিপাক ক্রিয়ার ফলে যে সব ‘টক্সিন’ তৈরি হয়, তার ক্ষতিকারক প্রভাবকে প্রশমিত করে হলুদ। হজমশক্তিও বাড়ায়। বাইরের মতো শরীরের ভিতরেও ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। রক্ত পরিষ্কার করে। যকৃত্ বা লিভার পরিষ্কার রাখতেও জুড়ি নেই হলুদের। গ্যাসের সমস্যা মেটাতে, হজমশক্তি বাড়াতে, ঠান্ডা লাগা সারাতে ও মূত্রজনিত বিভিন্ন রোগের সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে এটি।
সুগার ও নিশা আমলকী
এছাড়া সুগারের নিয়ন্ত্রণে বিরাট ভূমিকা রয়েছে কাঁচা হলুদের। আয়ুর্বেদে একটি ওষুধ রয়েছে নিশা-আমলকী। নিশা অর্থে হলুদ। হলুদকে শুকনো করে গুঁড়িয়ে নিয়ে আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু’বার তিন গ্রাম করে খাওয়া যেতে পারে। সুগারের মাত্রা বেশি হলে এই গুঁড়ো দিনে দু’বার ৬ গ্রাম করেও খাওয়া যেতে পারে।
আর্থ্রাইটিসে হলুদ
আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদের রস খেলে এবং কনজাংটিভাইটিসে চোখে হলুদের রস লাগালে উপকার মিলতে পারে।
কীভাবে হলুদ খাওয়া যেতে পারে?
একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি রোজ সকালে যদি নিজের কনিষ্ঠা আঙুলের এক গাঁট দীর্ঘ কাঁচা হলুদের রস খেতে পারে, তাহলে তিনি উপকার পাবেন। শিশুদেরও কাঁচা হলুদের রস খাওয়ানো যেতে পারে। একদম ছোটদের পাঁচ ফোঁটা ও একটু বড়দের ক্ষেত্রে হাফ চামচ রস খাওয়ালে উপকার মিলবে।