Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

আর এক রঘুর গল্প
চন্দন চক্রবর্তী

রঘু নামটা শুনলেই ইয়া মোটা বিড়াল লেজের মতো গোঁফ আর তাগড়াই চেহারার রঘু ডাকাতের কথা মনে পড়ে। যে কিনা গ্রামের অবস্থাপন্নদের বাড়িতে আগাম চিঠি পাঠিয়ে ডাকাতি করতে যেত। জমিদার বাড়ির লেঠেলদেরও লাঠির আঘাতে ঘায়েল করত। নিজে কখনও হার মানত না।
হার না মানা আর এক রঘুর কথা বলি। তার নাম রঘু নন্দন গোপ। আসল বাড়ি বিহারে। কিন্তু বাস ছিল মেদিনীপুর শহরে। সে ছিল গোয়ালা। বাড়ি বাড়ি দুধ দিত।
একসময়ে তিনজন ব্রিটিশ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে গুলি করে হত্যা করেছিল, আমাদেরই দেশের দামাল বীর, অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা। হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পরে শহিদ হয়েছিলেন। রঘুর কথা বলার আগে ছোট্ট করে সেই ইতিহাস বলে নিই। 
সেই সময়ে বিপ্লবীরা জেহাদ ঘোষণা করলেন, ‘এই হিংস্র কুখ্যাত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যেই আসুন না কেন তাঁকে হত্যা করা হবে। কোনও ইউরোপিয়ানদের বরদাস্ত করা হবে না।’
প্রথম জন জেমস পেডি। তাঁকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন দুই বিপ্লবী বিমল দাসগুপ্ত ও যতিজীবন। দিনটা ছিল ৭ এপ্রিল, ১৯৩১। তখন বিকেল পাঁচটা। বিমল আর যতিজীবন ম্যাজিস্ট্রেট  পেডি সাহেবের বাংলোর সামনে, ডায়মন্ড গ্রাউন্ডে। উদ্দেশ্য তাঁর গতিবিধির ওপর নজর রাখা। দুজনে তখন যেন কত প্যারেড করতে ব্যস্ত। হঠাৎ  নজরে এল সশস্ত্র  সিপাই, ব্রিটিশ পুলিস তাঁর দেহরক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে বেরিয়ে গেলেন। বাবা, এত ভয়! মুহূর্তে ওরা প্যারেড ছেড়ে সোজা বাড়িতে।
যে যার অস্ত্র পেটের খাঁজে গুঁজে সোজা হাজির। পেডি সাহেব তখন স্কুলের বিশাল ঘরে প্রদর্শনী দেখতে ব্যস্ত। দ্রিম দ্রিম করে ঝলসে উঠল ওদের রিভলবার। উনি লুটিয়ে পড়লেন। ত্রাহি ত্রাহি করে মুহূর্তে ঘর ফাঁকা। ওরা অক্লেশে পালিয়ে যায়।
পরবর্তী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর কে ডগলাস। তিনি তখন বিকেল চারটে নাগাদ জেলাবোর্ডের সভায় ব্যস্ত। চাদ্দিকে কঠোর সশস্ত্র সিপাহি পুলিস প্রহরায়। যাতে মাছি না গলতে পারে। বিশ্বাস নেই মেদিনীপুরের দামাল ছোকরাগুলোকে। বলতে বলতে আর এক এপ্রিল এসে গেল। হঠাৎই দেখা গেল চশমা পরা ছদ্মবেশে দুই যুবক। তীব্র গতিতে দৌড়ে চলে গেল ডগলাস সাহেবের টেবিলের সামনে। আগুনের গোলার মতো বুলেট বর্ষিত হল। সবাই যে যার প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত। কেউ টেবিলের তলায়, কেউ দরজার আড়ালে। সেই সুযোগে ঝড়ের গতিতে ওরা পালিয়ে গেল। একজন ছিলেন ১৮ বছর বয়সি প্রদ্যোৎকুমার ভট্টাচার্য। অপরজন প্রভাংশু শেখর পাল। সে পালিয়ে  যেতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাস। রিভলবার অকেজো থাকার ফলে গুলি করতে সক্ষম হয়নি প্রদ্যোৎ। ধরা পড়ে যায়। পরে ফাঁসি।দিনটি ছিল আর এক এপ্রিল। ৩০ এপ্রিল, ১৯৩২।
পরের বছর মি বার্জ। ভীত সমস্ত সাহেবকে অনেক চেষ্টা করেও এপ্রিলে হত্যা করা গেল না। কিছুটা পিছিয়ে গেল। দিনটি ছিল ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বেচারা এসেছিলেন পুলিস গ্রাউন্ডে। ফুটবল ম্যাচ দেখতে।গুলি করে হত্যা করেছিলেন দুই বিপ্লবী, অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন দত্ত। তারা পালায়নি।বীরদর্পে বার্জের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেদের যত আক্রোশ মেটাচ্ছিল।ভ্রুক্ষেপহীন তাদের খেয়াল হল না পালাতে হবে।সেই সুযোগে
তাদের  ব্রিটিশ পুলিস গুলি করে হত্যা করে।
রঘুনন্দন এইসব অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের কার্যকলাপ দেখেছে। ভেতরে ভেতরে উদ্বুদ্ধ হয়েছে।
এবারে আসা যাক রঘুনন্দনের কথায়। সে গোয়ালা হতে পারে কিন্তু পরাধীন দেশের যন্ত্রণা তাকেও নাড়া দেয়। দেশের জন্য কিছু একটা করার কথা ভেবে হাত নিশপিশ করত। বলবান যুবক ভাবত, ‘যদি একটা সুযোগ পাই কোনও দিন....’
মানুষের প্রবল ইচ্ছে, মনের জোর, কাজে নিষ্ঠা এবং সততা থাকলে ঈশ্বর বোধ হয় সুযোগ করে দেয়।
সে একটা সু্যোগ পেয়ে গেল।
কীভাবে?  সেটা এবার বলি...
তখনও জেমস পেডির হত্যাকারী বিমল দাসগুপ্ত ফেরার। চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছে। ব্রিটিশ পুলিস এবং স্তাবকেরা হন্যে হয়ে খুঁজছে। কিন্তু এভাবে শহর মেদিনীপুরে পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে বেশিদিন থাকা যাবে না। কলকাতার বিপ্লবীদের ডেরায় পালিয়ে যেতে হবে।
কীভাবে তা সম্ভব! সত্যেন বসুর বাড়িতে গোপন সভা বসেছে। বাঘা বাঘা বিপ্লবীরা উপস্থিত। রাত হচ্ছে। বাইরে গাঢ় অন্ধকার। নিথর নিস্তব্ধ শহর। রাত ঝিঝি  ডেকে চলেছে আর মিটমিট জোনাক আলো বাইরে। থমথমে পরিবেশ। কোনও বুদ্ধি আর বেরয় না। অথচ সেখানে উপস্থিত বিনয় দাসগুপ্ত (মেজদা),ভূপেন বসু (কেতনবাবু) এবং বিমল দাসগুপ্ত নিজে। শুধু ফিসফাস কথা চলেছে। হঠাৎ  দরজার বাইরে খুট করে শব্দ! কোমরে গোঁজা রিভলবারের ট্রিগারে হাত রেখে ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে গেল বিমল দাসগুপ্ত! দেখা গেল অন্ধকারে দাঁড়িয়ে গোঁফওয়ালা পাগড়ি বাঁধা গলায় গামছা পরা একটি লোক! আলোতে এনে দেখা গেল, ‘আরে এ তো আমদের রঘু!’ তাহলে তুমিই পুলিসের চরের খাতায় নাম লিখিয়েছ? রঘু পাগড়ি খুলে পায়ের কাছে বসে পড়ে। হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠে।
‘বিশ্বাস করুন আপনাদের মতো বড় কাজ না হলেও, দেশের স্বাধীনতার জন্য কিছু করতে ইচ্ছে করে। মরণকে ভয় পাই না। কিছু করতে পারলে ধন্য হব। আমাকে সুযোগ দিলে বিমলবাবুর সমস্যার সমাধান করে দিতে পারি।’ সবাই চমকে উঠলেন। বলে কী?
চারদিকে বাজ পাখির মতো শ্যেনদৃষ্টি!  তাছাড়া ওকে কি আদৌ বিশ্বাস করা যায়?
বিপ্লবী বিমল দাসগুপ্ত সাচ্চা দেশপ্রেমিকের চোখ দেখে চিনতে পারে। ও মিথ্যে বলার লোক নয়। অতএব ওকে সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে।
তেজোদ্দীপ্ত রঘু নন্দন পাগড়ি খুলে গোঁফে তা মেরে বলল, ‘আমিই বিমলবাবুকে পার করে দিব।’ সবাই অবাক। চোখেমুখে অনেক প্রশ্ন। কীভাবে!
এবারে আসা যাক সেদিনের ঘটনাতে।
তখন রাত দশটা বাজে। বিমলবাবু পুরো বিহারি সেজে বসে। মোটা গোঁফ, ডান গালে একটা তিল। বাটি ছাঁট চুল।পায়ে ক্যাম্বিসের জুতো। ঠিক সেই সময়, এহেন এক মাতাল কাঁধে পুঁটলি নিয়ে টলতে টলতে বিপ্লবীর বাড়িতে হাজির। দরজায় কড়া নড়ে উঠল। বিমল দাসগুপ্ত যথেষ্ট সাবধানী এবং বুদ্ধিমান। প্রথমে বেরল না। কিছু পরে আবার কড়া নাড়ার শব্দ।
এবারে রিভলবারের ট্রিগারে হাত রেখে আগুন্তুকের সামনে দাঁড়াল।
রঘু জড়ানো গলায় বলল, ‘চলুন, আমি রেডি। বিমলবাবু চমকে উঠল। শেষে এই মাতাল বাপের সঙ্গে কলকাতা! ধমক লাগাল। ইসস! তুমি মদ খাও?
রঘু হেসে ফেলে। স্বাভাবিক গলার স্বরে বলল, ‘অ্যাকটিং তবে পাক্কা হয়েছে বলুন। তাড়াতাড়ি চলুন। রেলের সময় হয়ে এল।’
রাত অনেক। রাস্তায় লোকজন নেই বললে চলে। একটা আতঙ্ক ভয় ভয় ভাব। এই বোধ হয় কিছু ঘটে যাবে! মাঝে মাঝে পুলিসের টহল। সবার চোখ এড়িয়ে তৃতীয় শ্রেণীর টিকিট কেটে  একটা নোংরা ডিব্বাতে এক বিহারি গোয়ালা তার ল্যাড়কাকে নিয়ে উঠে পড়ল। বাজ পাখির মতো তার চোখ চাদ্দিকে ঘুরছে। জানলার দিকে পিছন করে বসে পড়ে। বলে, আপনি চোখ বুজে ঘুমাবার ভান করুন। বাকি আমি সামলে নেব। ভালো করে চাদর দিয়ে ঢেকে দিল। শুধু মুখ বার করা।
ইতিমধ্যে, কয়েকজন সিপাহি এসে বিমলের দিকে কটমট করে দেখতে থাকে। কিন্তু গালে তিল, চুলছাঁটা, পোশাক পুরো বিহারিদের মতো। রঘুর কাঁধে মাথা রেখে কোঁকাতে থাকে সেদিনের বিপ্লবী বিমল দাসগুপ্ত!  আরও দু’জন সিপাহি হাজির। চাদরের মধ্যে রাখা হাত সোজা রিভলবারে। সেরকম হলে গুলি চালাতে   চালাতে পালাবে। সিপাহিদের সন্দেহ হয়। তড়বড়িয়ে গোয়ালা রঘু বলে উঠল, ‘মেরা লেড়কা, উসকো বহুত তেজ বুখার। ইসি লিয়ে কলকাত্তা।  উঁহাসে মুলুক!’
নিখুঁত অভিনয়। সিপাহিরা বুটের আওয়াজ তুলে নেমে গেল।
একসময় ট্রেন ছাড়ল। রঘুর চিন্তা। ‘আবার কেউ আসবে না তো!’ নাহ, সেরকম কিছু হল না।
দু’জনের চোখে তখন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বয়ে নিয়ে আসা কু ঝিক ঝিক করা ট্রেন হাওড়ায় পৌঁছে গেল। অনেক ভিড়। দু’জনে ভিড়ে হারিয়ে গেলেন। উদ্দেশ্য বিপ্লবীদের ডেরা।
এই রকম অনেক রঘুনন্দন গোপ স্বাধীনতার যুদ্ধে এক বিশেষ সৈনিকের ভূমিকায় ছিল। কিন্তু আমরা ক’জন তাদের নাম জানি?
এসো আমরা তাদের একটু শ্রদ্ধা জানাই।
15th  August, 2021
রাখিবন্ধন

রাখিবন্ধন শব্দটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একরাশ ভালোবাসা। ভাই আর বোনের চিরকালীন এক সম্পর্কের বন্ধনকে মূর্ত করে এই দিনটি। বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে অপেক্ষায় থাকে মিষ্টি একটা উপহারের জন্য। সবাই মিলে একসঙ্গে হইচই আর খেলাধুলোয় মেতে ওঠে তারা। এটাই সেই ভালোবাসা। লিখে জানাল ছোট্ট বন্ধুরা।  
বিশদ

22nd  August, 2021
শোনো শোনো গল্প বলি

গৃহবন্দি সময়ে একরাশ খুশির খবর নিয়ে হাজির হলেন কাহানি নানি। ছোটদের জন্য মিষ্টি মধুর গল্প তাঁর ঝুলিতে সবসময় রেডি। গল্পের খোঁজ দিলেন কমলিনী চক্রবর্তী।    বিশদ

22nd  August, 2021
ঋষি অরবিন্দ -এর ছেলেবেলা

আমাদের এই দেশকে গড়ে তোলার জন্য অনেকে অনেকভাবে স্বার্থত্যাগ করে এগিয়ে এসেছিলেন। এই কলমে জানতে পারবে সেরকমই মহান মানুষের ছেলেবেলার কথা। এবার ঋষি অরবিন্দ। লিখেছেন চকিতা চট্টোপাধ্যায়।  বিশদ

15th  August, 2021
‘আছে দুঃখ আছে মৃত্যু’

বহুদিন যাবৎ স্কুল বন্ধ। মন একদম ভালো নেই আনন্দী, সুমেকা, অর্ক, ঋষিকা, অয়নদের। ওরা সবাই মিলে ছোটকাকুকে ধরল। বাড়িতে থেকে থেকে যে আমরা হাঁফিয়ে উঠেছি ছোটকাকু। আমাদের ধারেকাছে কোথাও নিয়ে চলো না! বিশদ

08th  August, 2021
ছোটদের বন্ধু অবনীন্দ্রনাথ

ভারী দুরন্ত। এটা ফেলছে, ওটা ভাঙছে। রকমারি দুষ্টুমি। ‘বুড়ো আংলা’-র  রিদয়ের মতো দুরন্ত, তেমনই দস্যি! অ্যাকোরিয়ামে লাল মাছ খেলছে, ছুটছে। কী খেয়াল হল, দুপুরের দিকে সবাই যখন ঘুমের দেশে, তখন শিশি ভরা লাল কালি এনে অ্যাকোরিয়ামে ঢেলে দিলেন। বিশদ

08th  August, 2021
শিক্ষা শিবিরের আয়োজনে লেখিকা

করোনা আবহে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সমাজে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। এদের পড়াশোনার জন্য পানিহাটিতে একটি শিক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়।  বিশদ

08th  August, 2021
কিছু বিস্ময়কর প্রাণীর অবাক করা দক্ষতা 

সারা জীবন আমরা এটাই জেনে এসেছি যে, পাখিই একমাত্র প্রাণী যারা আকাশে মনের সুখে ডানা মেলে উড়ে বেড়াতে পারে। যখন খুশি, যেখানে খুশি। কিন্তু তোমরা জানলে অবাক হবে, এই বিশ্বে পাখি ছাড়াও এমন অনেক প্রজাতির প্রাণী আছে তারাও নাকি আকাশে ওড়ায় ভীষণ দক্ষ। বিশদ

08th  August, 2021
অবাক করা কিছু
বৈজ্ঞানিক তথ্য

মনুষ্যজাতি একটি অদ্ভুত প্রজাতি। পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তের মানুষ একে অপরের সঙ্গে বিনা দ্বিধায় কথা বলতে পারে। ভাবতে মাঝে মাঝে অবাক লাগে, বিজ্ঞানের সাহায্যে কীভাবে সমস্ত ঘটনা অনায়াসে ঘটতে থাকে।
বিশদ

01st  August, 2021
ছোটদের রান্নাঘর

মারি বিস্কুট ২০ পিস, চকোলেট সস ৬\৭ টেবিল চামচ, দুধ ১ কাপ, চিনি ২ টেবিল চামচ, বাটার ২ টেবিল চামচ, আমন্ড পেস্তা চেরি (আন্দাজমতো), স্টিলের  ট্রে (যে কোনও শেপের),ছুরি ১টি , মিক্সিং বোল ১টি, সার্ভিং ডিশ ৪ টি।
বিশদ

01st  August, 2021
মহাকাশ ছোঁয়ার প্রতিযোগিতা

মহাকাশে ভ্রমণ এখন জলভাত। আমেরিকার একাধিক ধনকুবের শিল্পপতি নিজস্ব সংস্থা তৈরি করে মহাকাশ ভ্রমণের ব্যবস্থা করছেন। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভ্রমণ করে ফেলেছেন সবাই। কিন্তু পর্যটক নিয়ে যাওয়া শুরু হয়নি এখনও। কেউ কেউ অবশ্য চড়া দামে টিকিট বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু কার সংস্থা হবে এ ব্যাপারে প্রথম? চলছে তারই প্রতিযোগিতা। লিখলেন বিভাস মজুমদার।
বিশদ

01st  August, 2021
সবকিছুর পিছনে রয়েছে বিজ্ঞান

‘ডেজা ভু’ হল একটি সাধারণ অভিজ্ঞতা। এখন প্রশ্ন হতে পারে, এরকম কেন হয়? এর বিশেষত্বই বা কী? তোমাদের শুনলে অবাক লাগবে, একজন অপেরা গায়ক চাইলে তাঁর কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে একটি গ্লাসের কম্পনের হার বাড়িয়ে তাকে নাড়িয়ে দিতে বা ভেঙে ফেলতে পারেন! কিন্তু কীভাবে এটা সম্ভব?
বিশদ

25th  July, 2021
প্রযুক্তি মানব

রোবট বা যন্ত্রমানবের কথা তো তোমরা সবাই শুনেছ। পৃথিবীর প্রথম নাগরিকত্ব প্রাপ্ত রোবট সোফিয়ার কথাও তোমাদের অজানা নয়। কিন্তু তোমরা কি কখনও সাইবর্গের কথা শুনেছ? সাইবর্গ প্রযুক্তি মানব।
বিশদ

25th  July, 2021
ম্যাজিকে লেখাপড়া

ম্যাজিক মানে শুধুই খেলা? পড়ার লেশমাত্র নেই? মোটেও না, ম্যাজিকে এবার লেখাপড়ার বিষয়গুলোও ভরে দেওয়া হল। পড়াশোনার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দারুণ ম্যা঩জিক দেখাবেন থিম ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে। এখন থেকে প্রতি মাসের একটা করে রবিবার তোমাদের জন্য থাকবে ম্যাজিকে লেখাপড়া। এবার ইতিহাস। ম্যাজিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

25th  July, 2021
ছকড়িবাবুর ছাতা

তখন সকালবেলা। প্রচণ্ড বৃষ্টি আর ঝড়। হাওয়া বইছে শোঁ শোঁ করে। ছকড়িবাবুর ঘরের কোণে একটা নতুন ছাতা। বেচারা। দেয়ালে ঠায় ঝুলছে। সদর দরজার বাইরে শব্দের আবহ— টপ, টপ, টপ।
বিশদ

25th  July, 2021
একনজরে
দীর্ঘ ১১ মাসের আইনি কচকচানির অবসান। ডেফিনেটিভ এগ্রিমেন্টে সই না হলেও আসন্ন আইএসএলে খেলবে এসসি ইস্ট বেঙ্গল। টার্মশিটের ভিত্তিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নেবে লাল-হলুদ। বুধবার ...

দেশজুড়ে সরকারি সংস্থা বিক্রির কড়া সমালোচনা চলছে। তবু মোদি সরকার অনড়। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উপস্থিতি যে কমিয়ে আনা হবে, সরাসরি একথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার তিনি বলেছেন, দুটি ভাগে সরকারি সংস্থাকে বিভাজিত করা হচ্ছে। ...

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য মালদহে তিন লক্ষেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির আওতায় প্রথম ন’দিনের শিবিরে ওই আবেদন জমা পড়েছে বলে ...

‘তালিবানের সেবায় পাকিস্তান নিজেকে নিয়োজিত করেছে। তালিবদের কখনই চাপের মুখে পড়তে হয়নি। পাকিস্তানকে ওরা বেস হিসেবে ব্যবহার করেছে। নির্দিষ্ট কোনও এলাকা নয়, গোটা পাকিস্তানই তাদের সাহায্য করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।’ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM