হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ
ডেজা ভু
তোমাদের সবারই জানা, আমাদের মস্তিষ্ক আসলে একটা স্টোরহাউজ। এখানে মানে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে সাজানো বা সঞ্চিত থাকে হরেকরকম স্মৃতি। মেমরি যা ডেজা ভু দ্বারা পরিচালিত হয়, তাই-ই হল কাহিনিমূলক স্মৃতি। এটি অনেকটা উদ্বেগের মতো যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরো তোমরা প্রথমবার কোনও একটি রেস্তরাঁতে গিয়েছ। সেখানে গিয়ে দেখলে তুমি আগে যে রেস্তরাঁতে গিয়েছিলে সেখানকার আসবাবের সঙ্গে এখানকার আসবাবের মিল আছে। এক্ষেত্রে তোমার মস্তিষ্ক রেজিস্ট্রেশন করে বলে দিচ্ছে যে তোমরা আসবাবটি আগে দেখেছ। অর্থাৎ, তুমি তোমার পুরানো স্মৃতিটির একটি অংশের চেয়েও বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছ। এটিকেই আমরা ডেজা ভু বলে থাকি।
টোর্নেডো কীভাবে তৈরি হয়?
অনেক সময় উত্তপ্ত ও আর্দ্র বায়ু ঠান্ডা ও শুকনো হাওয়ার সঙ্গে মেশার সময় প্রচণ্ড সংঘর্ষ হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘর্ষের সময়ই ভয়ঙ্কর টর্নেডো তৈরি হয়। এমনকী, স্নিগ্ধ শীতল বায়ু উষ্ণ বায়ুর ওপর চাপ দেওয়ার ফলে প্রবল বজ্রপাতও হয়। প্রকৃতপক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে টর্নেডো বিভিন্ন দিকে স্পন করে থাকে। যেমন দক্ষিণ গোলার্ধে ক্লকওয়াইজ আবার উত্তর গোলার্ধে অ্যান্টি ক্লকওয়াইজ হয়।
কাচের গ্লাস ভাঙার রহস্য
এটা কি আশ্চর্যের বিষয় নয়, যে একজন অপেরা গায়ক তাঁর সামনে রাখা কাচের গ্লাসকে কণ্ঠস্বরের কম্পনের মাধ্যমে গ্লাসের কম্পনের হারকে আরও বাড়িয়ে সেটিকে নড়াতে থাকলেন বা ভেঙে ফেললেন! অবাক লাগলেও ঘটনাটি কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য। এবার এর রহস্যটা খোলসা করা যাক। গ্লাস ভাঙার পিছনে রয়েছে এক ধরনের প্রাকৃতিক কম্পন। আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না যে, সব কিছুর মধ্যে এক ধরনের প্রাকৃতিক কম্পন হতে থাকে, যা হয় তো খালি চোখে দেখা যায় না। এই কম্পনের হার প্রতি সেকেন্ডে অনেকবার হতে থাকে। যদি তোমরা এই প্রাকৃতিক কম্পন সম্পর্কে জানতে পারো, তাহলে তোমরা সেই কম্পনের হারকে আরও বাড়াতে পারবে। তাই কাচের গ্লাস ভাঙার রহস্য ভেদ করতে আমাদের জানতে হবে ওই গ্লাসে প্রাকৃতিক কম্পনের খুঁটিনাটি। এই প্রাকৃতিক কম্পনের হারকে চাইলে আরও বেশি উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাওয়া যায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, একটি কাচের গ্লাস নাও। এর প্রাকৃতিক কম্পন জানতে এতে কোনও কিছু দিয়ে আঘাত কর এবং সেই সুরে গান গাও। দেখবে ম্যাজিক।
জল ও তেলের
মজার গল্প
সর্বকালের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি নিখুঁত উদাহরণ হল তেল ও জল। বিভিন্ন সময় আমরা দেখেছি, জল ও তেল একসঙ্গে কোনও মতেই মেশে না। তোমরা যদি জল ও তেলকে মেশানোর করার চেষ্টা কর তাহলে দেখতে পাবে তেল সব সময় জলের ওপর ভাসছে। কোনওভাবেই এর উল্টোটা হবে না। কারণ, তেলের ঘনত্ব জলের চেয়ে কম। এছাড়াও জলের অণু অন্য জলের অণুকে সব সময় আকৃষ্ট করে। একে হাইড্রোফিলিক বলা হয়। অন্যদিকে তেলের হাইড্রোফোবিক অণু অাবার জলকে আকর্ষণ করে না। সে কারণেই জল ও তেল কখনও এক সঙ্গে মেশে না।
রোজই আমাদের চোখের সামনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যার ব্যাখ্যা আমাদের সব সময় জানা থাকে না। বেশিরগ সময়ই কেন এমনটা হয়, তা জানার চেষ্টাও করি না। অথচ একটু তলিয়ে ভাবলে আসল কারণটি জানা যায়। তখন আমাদের অবাক লাগে, বিস্মিত হই। এসব বিষয় নিয়ে সোনি বিবিসি আর্থ এরকম একটি আকর্ষণীয় ও মজাদার শো করেছে। ‘ফ্যাক্টোমেনিয়া’ নামে এই শোয়ে অনেক অজানা তথ্য তোমরা জানতে পারবে।