আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
কয়েক মাস ধরেই চলছে পড়ার ম্যাজিক। ম্যাজিশিয়ান সোমনাথ দে পড়াশোনাকে থিম করে ম্যাজিক শেখাচ্ছেন তোমাদের। লেখাপড়ার বিষয়ের মধ্যে থেকেই এবারের জন্য রসায়ন বিষয়টিকে বেছে নিয়েছেন ম্যাজিশিয়ান। একটা নয়, রসায়নের বিভিন্ন পদ্ধতি মিলিয়ে মিশিয়ে দু-দু’খানা ম্যাজিক তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। তা দেখলে তোমাদের বিষয়টির প্রতি আগ্রহ আরওই বেড়ে যাবে। শিখবে নাকি ম্যাজিক দুটো?
ম্যাজিক ১
তোমাদের সামনে দুটো কাচের গ্লাস সাজিয়ে রেখেছেন ম্যাজিশিয়ান। তার একটাতে নীল রঙের জল ভরা, অন্যটা খালি। এবার এই নীল জল ভরা গ্লাসটি ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে তিনি তা জমিয়ে নিলেন। একেবারে নীল রঙের বরফ তৈরি হল। ভারী সুন্দর সেই বরফ। এরপর ঘরোয়া তাপমাত্রায় বরফ রেখে তা আবারও নীল জলে পরিণত করলেন ম্যাজিশিয়ান। তারপর সেই নীল জল পাশে রাখা খালি গ্লাসে ঢেলে দিলেন। আর ওমনি ম্যাজিকের মতো জলের রং বদলে নীল থেকে বেগুনি হয়ে গেল! ম্যাজিশিয়ান হেসে বললেন, জলের রং বদল— ম্যাজিক, ম্যাজিক।
পদ্ধতি: এই ম্যাজিকটা কিন্তু আসলে খুবই সহজ। কয়েকটা জিনিস শুধু হাতের কাছে রাখতে হবে। দুটো কাচের গ্লাস, জল, অপরাজিতা ফুল আর লেবুর রস।
প্রথমে জল ফুটিয়ে নিয়ে সেই ফুটন্ত জলে অপরাজিতা ফুল ফেলে দাও, ক্রমশ জল নীল হয়ে যাবে। এবার এই নীল রঙের জল আঁচ থেকে নামিয়ে তা ঘরোয়া তাপমাত্রায় রেখে ঠান্ডা করো। জল ফোটানো আর তার রং বদল দেখতে যখন সবাই ব্যস্ত তখনই সবার অলক্ষে অন্য কাচের গ্লাসে ভালো করে লেবুর রস মাখিয়ে রাখতে হবে। তারপর আবারও ফিরে যাও নীল জলের গ্লাসে। তা ফ্রিজে ঢুকিয়ে জমিয়ে নাও। তারপর ফ্রিজ থেকে বার করে আবারও বরফ গলিয়ে নীল জলে পরিণত করো। এরপর নীল জল যেই না লেবুর রস মাখানো গ্লাসে ঢালবে ওমনি রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ায় নীল রং বদলে বেগুনি হয়ে যাবে। আর সবাই ভাববে দারুণ ম্যাজিক।
ম্যাজিক ২
একটা বড় সাদা কাগজ ব্যানারের মতো ডিজাইনে কাটা। তাতে কিছু লেখা নেই। নেই কোনও ছবিও। অথচ ম্যাজিশিয়ান বারবার সেই সাদা ব্যানারটাই তোমাদের চোখের সামনে ঘোরাচ্ছেন। সবাই দেখে নিলে তাতে কিছু লেখা নেই। এরপর ম্যাজিশিয়ান বললেন এই যে সাদা কাগজ এর ওপর ইস্ত্রি চালিয়ে লেখা ফুটিয়ে তুলবেন। তোমরা ভাবছ তাও আবার হয় নাকি। কিন্তু তেমনটাই হল। একটা গরম ইস্ত্রি তিনি সাদা কাগজের ওপর হাল্কা করে বুলিয়ে দিলেন আর ওমনি তোমাদের প্রিয় সংবাদপত্র ‘বর্তমান’- এর নাম ফুটে উঠল কাগজের ওপর। দারুণ ম্যাজিক তাই না?
পদ্ধতি: এই ম্যাজিকটাও তেমন কঠিন নয়। শুধু রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার অবলম্বন। এর জন্য কী কী লাগবে শোনো। একটা ব্যানারের আকারে কাটা সাদা কাগজ, লেবুর রস, একটা তুলি, হেয়ার ড্রায়ার অথবা ইস্ত্রি।
প্রথমেই ব্যানার কাগজে তুলির সাহায্যে লেবুর রস দিয়ে ‘বর্তমান’ কথাটা বড় বড় হরফে লিখে নাও। তারপর সেই কাগজ সবাইকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখালে দেখবে কোনও কিছুই দেখা যাবে না। এরপর ইস্তিরি গরম করে নাও। আর খুব সাবধানে তা ওই লেখার ওপর দিয়ে চালিয়ে দাও। খেয়াল রাখবে ইস্ত্রি যেন খুব বেশি গরম না হয়। আর তা কাগজের ওপর খুব একটা চেপে চালানো না হয়। তাহলে কিন্তু কাগজ পুড়ে যাবে। অল্প চাপ দিয়ে যে না ইস্ত্রি চালাবে। ওমনি লেবুর রসের সঙ্গে গরম ইস্ত্রি রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হবে এবং ‘বর্তমান’ লেখাটা কাগজের ওপর ফুটে উঠবে। সবাই ভাববে সাদা কাগজে ইস্ত্রি চালিয়ে লিখে ফেললে বুঝি তোমরা। যদি ইস্ত্রি চালাতে ভয় করে তাহলে হেয়ার ড্রায়ার ওই লেখার ওপর বুলিয়ে দিলেও একই কাজ হবে।