মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
ক্যাসোয়ারি পাখি
ক্যাসোয়ারি হল এক ধরনের বিশালকায় শক্তিশালী পাখি। মাটি থেকে এদের উচ্চতা ২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এই প্রজাতির পুরুষ ও মহিলা দু’ধরনের পাখির মাথাতেই কেরাটিন দিয়ে তৈরি শিরস্ত্রাণ বা হেলমেট জাতীয় এক ধরনের জিনিস থাকে। এইগুলি রেডিয়েটর হিসেবে কাজ করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও পাখির নিচু স্বরের ডাককে প্রয়োজন মতো বাড়ায় বা কমায়। এরা অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির হয়। মানুষ দেখতে পেলেই এরা ৩০ মাইল প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দৌড়ে গভীর জঙ্গলে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। ফলে এদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা মানুষের পক্ষে বেশ কঠিন।
রিফ শার্ক
সমুদ্রের তীরে এক ধরনের প্রবাল প্রাচীর দেখতে পাওয়া যায়। এই প্রবাল প্রাচীর সমুদ্রতট ও নিকটবর্তী স্থলভূমির মধ্যে একটা বাধা রচনা করে। অস্ট্রেলিয়ায় এরকমই একটি প্রবাল প্রাচীর আছে যার নাম ‘নিঙ্গালু রিফ’। এই প্রবাল প্রাচীরের আড়ালে অনেক জীবই বসবাস করে। তার মধ্যে ভয়ঙ্কর হল প্রায় ২ মিটার লম্বা ধূসর রঙের ‘রিফ শার্ক’ বা এক ধরনের হাঙর। এরা প্রবাল প্রাচীরের গা বরাবর ঘুরে বেড়ায়। প্রতিনিয়ত অক্সিজেনের জোগান ঠিক রাখতে এরা এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকতে পারে না, সামনের দিকে চলতেই থাকে।
ক্যাঙারু
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব প্রান্তে নিউ সাউথ ওয়েলসে তুষার ঢাকা পর্বতমালায় তুষার ঝড়ের মধ্যে ক্যাঙারুর দলকে চলতে দেখা এক স্বর্গীয় দৃশ্য। তুষার ঢাকা প্রান্তরেই ক্যাঙারু ও ওয়ালাবিজদের দেখা মেলে। যেখানে এরা থাকে সেটা হল পর্বতমালার উচ্চতম শিখর, সেখানে তাপমাত্রা সবথেকে কম। সেই নির্জন ও কনকনে এলাকায় এদের একমাত্র সঙ্গী উমব্যাটস। এরা নিজেরাই পর্বতের ঢালে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে বসবাস করে, যাতে জল না জমে এবং পর্যাপ্ত খাবার মেলে।
ডেভিল
তাসমানিয়ান ডেভিল হল এক ধরনের মাংসাশী প্রাণী। অস্ট্রেলিয়ার সর্বত্রই দেখা যেত। কিন্তু বলা হয় যে, এদের অধিকাংশই পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে মানুষের হত্যালীলায়। বাকি যে কটি বেঁচে রয়েছে তাদেরকে প্রধানত দেখা যায় তাসমানিয়ায় এবং মূল ভূখণ্ডের বাইরে কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপে। এই ডেভিলগুলো জন্মের সময় বেড়ালছানার মতো ছোট ছোট হয়। কিন্তু বড় হয়ে এদের মাথা ও ঘাড় বিরাট আকৃতির হয়। ফলে তারা শিকারের ওপরে বড়সড় কামড় দিতে পারে, সে শিকার যত বড়ই হোক না কেন। এই নিশাচর প্রাণী সেই সব খেয়ে বাঁচে, যা প্রকৃতিতে অফুরন্ত পাওয়া যায়। বর্তমানে এই প্রজাতিটি বিপন্নপ্রায়। তবে যে কটিকে রক্ষা করা হয়েছে তারা ভালোই আছে।
মাছরাঙা
এই রংচঙা ছোটখাট পাখিটি অত্যন্ত দ্রুত শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। সাধারণত ছোট ছোট মাছ ও ব্যাঙ খেয়ে এরা জীবনধারণ করে। তবে যে সমস্ত জায়গায় কুমির থাকে সেখানে এদের অত্যন্ত সাবধানে শিকার ধরতে হয়। এই পাখির কয়েকটি প্রজাতি দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করলেও সাধারণত এই পাখিগুলি একাকী অথবা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে এই ধরনের পাখির দেখা মেলে।