Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। দুটো নতুন প্যান্ট কিনেছে। আকবর মিয়াঁকে দিয়ে পুরনো তিনটের কোমরের সেলাই খুলিয়েছে। এসবের জন্য কম কষ্ট করতে হয়নি জয়তীকে! রান্নার মাসিকে ছাড়িয়ে দিতে হয়েছে। রান্নার হাত খুবই খারাপ ছিল মাসির। একগাদা তেল দিয়ে রান্না করত। তেলটা আবার গরম না করে ওই কাঁচা তেলেই মশলা ঢেলে সব্জি, মাছ বা মাংস রান্না করত। খাবার সময় প্রতিটি পদ থেকে কাঁচা তেলের গন্ধ বেরত। প্রদীপ্তর তাতে কিছু অসুবিধে না হলেও জয়তী খেতে পারত না। 
রুকুর ভাত তরকারি এবং যেকোনও ঘরোয়া খাবারদাবারের প্রতি চরম অনীহা। ক’দিন পরপরই জয়তী বা প্রদীপ্তর ফোন থেকে পিৎজা, বার্গার, রোল ইত্যাদি অর্ডার করে। বারণ করলে শোনে না। ক্লাস এইটের ছাত্র রুকু। ভীষণ জেদি, অবাধ্য আর রাগী। ঠিক ওর বাবার মতোই! রান্নার মাসিকে ছাড়িয়ে দেওয়ার পর প্রথমদিকে জয়তী খুব অসুবিধার মধ্যে পড়েছিল। তিনবেলা রান্না করার অভ্যেস ওর কখনও ছিল না। নিজে চাকরি না করলেও বাড়ির নীচের তলায় একটা বুটিক খুলেছে সে। প্রিয়দর্শিনী বুটিক। তাও অনেকদিন হল। চারশো থেকে চার হাজার পর্যন্ত দামের শাড়ি রাখে সে। ভালোই চলে। মধ্যবিত্ত পাড়া। বেশিরভাগ মহিলা শাড়ি পরে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমারদের পছন্দ পাল্টে যাওয়ায় জয়তী এখন শাড়ির সঙ্গে সালোয়ার কামিজের পিস, কাফতান রাখে। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পরে বুটিক খুলে বসে। বন্ধ করে সন্ধের পরে। ততক্ষণে প্রদীপ্ত অফিস থেকে চলে আসে। রুকুও প্রাইভেট মাস্টারের কাছ থেকে পড়ে বাড়ি ফিরে আসে। দুলালদার মেয়ে মাম্পি বুটিকে জয়তীর সঙ্গে বসে। কাস্টমার এলে জয়তীকে সাহায্য করে। জয়তী মাস গেলে ওর হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দেয়। 
জয়তীর কাছে ইনস্টলমেন্টে শাড়ি কেনার সুযোগ আছে বলে পাড়ার বউরা ঘনঘন আসে। পছন্দের শাড়ি নিয়ে যায়। আস্তে আস্তে টাকা শোধ করে। কেউ কেউ শাড়ি কেনার আগে বা পরে খানিক গল্পটল্প করে। বেশিরভাগটাই পরনিন্দা পরচর্চা। আগে রান্নার মাসির কাছে পাড়ার অনেকের হাঁড়ির খবর পেয়ে যেত জয়তী। এখন কাস্টমাররাই ভরসা। 
জয়তীকে প্রায় সকলেই পছন্দ করে তার ব্যবহারের জন্য। খুব মিষ্টি ব্যবহার। বয়সে যারা ছোট, তাদের সোনা বা বাবু সম্বোধন করে জয়তী। সে লক্ষ করে দেখেছে কোনও একটা বাক্যের আগে বাবু বা সোনা বসিয়ে দিলে খুব কাজ হয়। বয়স্ক মহিলাদের কক্ষণও মাসিমা বলে না। ঢোলা ম্যাক্সি এবং বুকের ওপরে গামছা ফেলে রাখা বউদিকেও ম্যাম বলে জয়তী। তার ভালো ব্যবহারের জন্যই প্রিয়দর্শিনী বুটিকে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মেয়েদের ভিড় লেগে থাকে।
তবে যতই মুখমিষ্টি করে কথা বলুক, জয়তী জানে আড়ালে অনেকেই তাকে মুটকি বলে। সেদিন বাসস্ট্যান্ড থেকে রতনের রিকশয় উঠেছে। হাতে সময় থাকলে বাসস্ট্যান্ড থেকে হেঁটেই বাড়ি আসা যায়। সেদিন সময় ছিল না। তার ওপর শাড়িভর্তি বড় ব্যাগ ছিল হাতে।
রতন রিকশ চালাতে চালাতে বলল, ‘বউদি আপনি থাইরয়েডটা একবার চেক করিয়ে নিন। আমার বউয়েরও থাইরয়েড আছে। ওরটা রোগা হয়ে যাওয়ার থাইরয়েড। আপনারটা মোটা। গেলবার যখন আপনাকে নিয়ে গেলুম, তখনকার থেকে আরও মোটা লাগছে আপনাকে।’
লক্ষ্মী ভাণ্ডারে আলু কিনতে গিয়েছিল একদিন। দোকানের বর্ষীয়ান মালিক মন্টুকাকু আচমকা বললেন, ‘আলু খাওয়া ছেড়ে দাও মা। ভাত এবং আলু একসঙ্গে খেলে শরীর কিন্তু ফুটবলের মতো গোল হয়ে যাবে!’
সেদিন খড়্গপুর থেকে দাদা এসেছিল। গাছের আম নিয়ে প্রতিবারই আসে। বাবা, মা চলে যাওয়ার পরেও দাদার সঙ্গে সম্পর্ক একটুও নষ্ট হয়নি। সেও রুকুকে নিয়ে বছরে একবার খড়্গপুর যায়। খড়্গপুর আগের মতো ছিমছাম আর নেই। বাবার রেলের চাকরিসূত্রে তারা গোলবাজার রেল কোয়ার্টারে থাকত। কাছেই রেলের গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করেছে জয়তী। দাদা ছোট থেকেই বড় বড় স্বপ্ন দেখত। চাকরি করার ইচ্ছে দাদার কোনওকালেই ছিল না। বাবার কথাতেও দাদা রেলের চাকরির পরীক্ষায় একবারও বসেনি। অল্প বয়স থেকে ব্যবসার দিকে নজর ছিল। বাবা যতদিন বেঁচে ছিলেন দাদা-বউদি রেলের কোয়ার্টারেই থাকত। পরে প্রেমবাজার এলাকায় অনেকটা জায়গা কিনে বিশাল একখানা বাড়ি করে দাদা। সেই বাড়ির বাগানের মিষ্টি আম দিতে আসে প্রতিবার।
এবার এসে জয়তীকে বলল, ‘জয়ী ,একটু আধটু ব্যায়াম করতে তো পারিস! শরীরটা ফিট থাকবে।’
ছোট থেকেই দোহারা গড়ন জয়তীর। চল্লিশ পেরনোর পরে চেহারাটা অনেকটা ঢিলে হয়ে গিয়েছে। উঠতে বসতে কষ্ট হয়। ভাত, রুটি সে কম পরিমাণেই খায়! কিন্তু ওজন কমার নামটি নেই। কিছুদিন আগেই চেনা ডাক্তারবাবুর প্রেসক্রিপশন ফলো করে কয়েকটা ব্লাডটেস্ট করাল, কিছুই ধরা পড়েনি। কোনও রোগ ধরা পড়লে ভালো হতো। ওষুধ খেলে হয়তো বা কিছুটা সুরাহা হতো!
মাম্পি বলছিল পাড়ায় একটি নতুন ফ্যামিলি সাহাদের বাড়িতে ভাড়াটে হয়ে এসেছে। স্বামী, স্ত্রী আর একটা মেয়ে। বউটা মাম্পিকে বলেছে জয়তীকে নাকি প্রদীপ্তর ওয়াইফ মনেই হয় না! দিদি মনে হয়!
প্রদীপ্তও কায়দা করে দিনে অনেকবার মনে করিয়ে দেয় জয়তী ঠিক কতটা মোটা!
‘সোফার যেখানটাতে বস, দেখেছ জায়গাটা কতটা দেবে গিয়েছে! কতবার বলেছি কাঠের টুলটায় বসবে! কথা তো শোনো না!’
ওপাশের বাড়ির মেজো বউটা ছাদে উঠলে প্রদীপ্ত জানলার কাছে চলে যাবেই! মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবে নির্লজ্জের মতো। জয়তীর দিকে তাকিয়ে বলবে ‘ফিগারখানা দেখ! বাঙালি মেয়েদের এমন ফিগার দেখা যায় না। বয়স বোঝা যায় না একদম!’
ঝগড়াঝাঁটির সময়েও স্ত্রী চেহারা নিয়ে খোঁটা দেয় প্রদীপ্ত। কান্না পায় ওর। তাহলে চেহারাই সব! মনের কোনও দাম নেই! মানুষটার কোনও মূল্য নেই! রান্নার মাসি আসার আগে ছেলের টিফিন, প্রদীপ্তর ভাত, ডাল, মাছভাজা করে দিতে হয় জয়তীকে। সকালের দিকে এত তাড়া থাকে যে ঠিকমতো ব্রেকফাস্ট করা হয় না জয়তীর। চা আর দুটো বিস্কুট। কোনওদিন রাতের বেঁচে যাওয়া রুটি গরম করে নিয়ে খায়। আরও দু’বাড়ির কাজ সেরে বেলার দিকে রান্নার মাসি আসে। তাকে সব বুঝিয়ে দিয়ে বাকি কাজ সেরে চান, পুজো ইত্যাদি সব করেটরে যখন দুপুরের খাওয়া খেতে বসে তখন বেলা দুটো-আড়াইটে বেজে যায়। খিদেও পায় খুব। অনেকটা ভাত খাওয়া হয়ে যায়। খড়্গপুরে ছোট্টবেলার এক বন্ধুর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে জয়তীর। স্বাতী মল্লিক। ডায়েটিশিয়ান। একটা নামকরা নার্সিংহোমে যুক্ত। সে ফোনে জয়তীকে নানারকম পরামর্শ দেয়। বলে সকালের ব্রেকফাস্ট ঠিকমতো না খেলে দুপুরে খাওয়াটা এমনিতেই খুব বেশি হয়ে যাবে এবং শরীরে তার প্রভাব পড়বে। স্বাতী আরও বলে চল্লিশে পা দিলেই মেয়েদের নিজেদের প্রতি বেশি করে যত্ন নেওয়া উচিত। কাজের চাপে জল খেতে ভুলে যায় মেয়েরা। ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়।
স্বাতীর পরামর্শে নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করেছে জয়তী। কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিয়মিত জল খায় এখন। মুখে বেসন, গোলাপজল লাগায়। ক’দিন আগে ডেন্টাল ক্লিনিকে গিয়ে দাঁতে স্কেলিং করিয়ে এসেছে। সকালে চা বিস্কুট খাওয়ার পরে রুকু স্কুলে আর প্রদীপ্ত অফিসে বেরিয়ে গেলে হেলদি ব্রেকফাস্ট করে। সকালে পেট ভরে জলখাবার খায় বলে দুপুরে রাক্ষসের মতো খিদে পায় না। গাদাগাদা ভাত তরকারি খায় না আর।
বুটিকে বসার আগে চোখে কাজল দেয়। সুন্দর করে চুল বেঁধে খোঁপায় অথবা বিনুনিতে মরশুমি ফুল গোঁজে। যতক্ষণ বুটিকে থাকে হালকা মিউজিক চালিয়ে রাখে। এখন কাস্টমাররা একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। মাম্পি বলে ‘মুখে কী মাখছেন বউদি? খুব গ্ল্যামার বেড়েছে। চোখ ফেরানো যায় না।’
হাসে জয়তী। সে জানে তার গ্ল্যামার নয়,আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। মনে মনে একশোবার ধন্যবাদ দেয় স্বাতীকে। 
বিগত মাস ছয়েক থেকে প্রদীপ্তর খাওয়াদাওয়ার মেনুটা অন্যরকম করে সাজিয়েছে জয়তী। অফিস বেরনোর আগে খুব সুন্দর করে সাজিয়েগুছিয়ে প্রদীপ্তকে খেতে দেয়। গরম ভাতে দু’ চা-চামচ খাঁটি গাওয়া ঘি ঢেলে দেয়। গরম ভাতে ঘি পড়ার পর এমনই খোশবাই বেরয় যে, প্রদীপ্ত লোভে পড়ে এক্সট্রা আরও দু’হাতা ভাত নিয়ে ফেলে। শিয়ালদহ থেকে বোম্বাই মরিচ এনে মুগডালের মধ্যে আস্ত লঙ্কা দিয়ে ডালটা ফুটিয়ে নেয় একটু। স্নান করতে করতে বোম্বাই মরিচের ঘ্রাণে প্রদীপ্তর ঘোর লাগে। অনেকটা ভাত খাওয়ার পরেও এক্সট্রা একবাটি ডাল সুড়ুৎ সুড়ুৎ করে খায়।
আগে অফিস থেকে ফিরলে প্রদীপ্ত চিঁড়েভাজা বা মুড়ি বাদাম খেত। এখন দুপুরের আগেই প্রদীপ্তর জন্য টিফিন বানিয়ে রাখে জয়তী। কোনওদিন আলুর পরোটা, কোনওদিন ছোলার ডালের কচুরি, কোনওদিন চপ বা চাউমিন। একেক দিন মোমো তৈরি করে জয়তী। মোমোর পেটে কুচোচিংড়ি অথবা খাসির চর্বি ঠুসে দেয়। প্রদীপ্ত আসার পর খাবারগুলো গরম করে সার্ভ করে। জয়তী নিজে খায় একমুঠ মুড়ি অথবা ছোলাভাজা। কোনওদিন অল্প রোস্টেড মাখানা। প্রদীপ্ত খেতে খেতে আরামে চোখ বন্ধ করে। চোখ না খুলেই বলে ‘তুমি যে এত ভালো রান্না কর, জানতামই না! রান্নার মাসিকে ছাড়িয়ে দিয়ে ভালোই করেছ।’
জয়তী কিছু বলে না। নিঃশব্দে হাসে। 
রাতে গরম জলে ময়দা সেদ্ধ করে তুলতুলে নরম রুটি বানায় জয়তী। একেবারে ছ’টা-সাতটা রুটি খেয়ে নেয় প্রদীপ্ত। শেষে গাজরের হালুয়া বা সাবুর পায়েস খেয়ে ঘুমোতে যায়।
এসব রান্নার ঝামেলায় জয়তীর কষ্ট বাড়লেও মনের ভেতরকার জ্বলুনি অনেকটাই কমেছে। চোখের সামনে ফলাফল দেখে একটা আলাদা রকমের আনন্দ অনুভব করছে জয়তী। আয়নায় নিজেকে দেখতে ভালো লাগে এখন। আয়নার জয়তীর সঙ্গে চোখে চোখ রাখতে এখন ওর আর অস্বস্তি হয় না।
এতদিন ধরে ফিগার মেইনটেন করে আসা প্রদীপ্ত এখন থপথপ করে হাঁটে। খায়। কাজে যায়। বাড়ি আসে। খায়। ঘুমোয়। যখন পাশের বাড়ির মেজো বউটা শরীর বাঁকিয়েচুরিয়ে ছাদে একঘণ্টা ধরে কাপড় মেলে, তখন প্রদীপ্ত আগের দিনের বেঁচে যাওয়া পায়েস মুড়ি দিয়ে মেখে খায় অথবা আধশোয়া হয়ে ল্যাপটপে কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে।
সেদিন রবিবার। দুপুরে চরম খাওয়া খেয়ে প্রদীপ্ত গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। জয়তী বুটিকে বসে শাড়ির ওপরে দামের স্টিকার লাগাচ্ছিল। এসব কাজ মাম্পির সামনে করে না জয়তী। হঠাৎ সদর দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে জয়তী ভাবল এখন কি কারওর আসার কথা ছিল! নীচেরতলায় ছিল বলে জয়তী বুটিকের পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে সদর গেটের কাছে গিয়ে দেখল একজন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন।
জয়তী বলল, ‘কাউকে খুঁজছেন?’
‘প্রদীপদাকে একটু ডেকে দেবেন !’
এখানে প্রদীপ নামের তো কেউ থাকে না!
‘এই ঠিকানাই তো বলল...।’
জয়তীর হাতে একটুকরো কাগজ ধরিয়ে দিল লোকটি।
জয়তী পড়ে দেখল এই বাড়িরই ঠিকানা। কিন্তু নামটা তো মিলছে না! অবশ্য এই পাড়াতে প্রদীপ নামের তিন-চারজন মানুষ বাস করে। তাদের মধ্যেই একজন হবে হয়তো!
জয়তীকে চুপ করে থাকতে দেখে লোকটি বলল 
‘যাঁকে খুঁজছি তিনি বিশাল মোটা!’
জয়তী একটু হাসল। বলল, ‘নামটা ভুল বললেও আপনি ঠিক বাড়িতেই এসেছেন। আপনি দাঁড়ান, আমি প্রদীপ্তকে 
ডেকে দিচ্ছি।’
01st  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো।  বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।      বিশদ

06th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
একনজরে
তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...

রাজ্য সরকারের ডিরেক্টরেট ও আঞ্চলিক পর্যায়ের অফিসগুলির কর্মীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির প্রথম বৈঠকটি আগামী কাল, বৃহস্পতিবার নবান্নে হবে। ...

ছ’ মাস ফুটপাতে ঘুগনি বিক্রি, আর বাকি ছ’ মাস সেই টাকায় সাইকেলে চেপে ভারত ভ্রমণ। তবে নেহাত শখে নয়, বিশ্বশান্তির বার্তা দিতেই সেই ভ্রমণ। দুর্গাপুরের এ জোনে সেকেন্ডারি মোড়ে গেলে দেখা যাবে শ্যামাপদ শর্মার গরম ঘুগনির দোকান। ...

মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM