Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মেঘ ও বৃষ্টি
সোমজা দাস

সকালে ঘুম ভেঙেই মোবাইল ফোনটা হাতে টেনে নেওয়া অরণ্যর দীর্ঘদিনের অভ্যেস। সেভাবেই বিছানায় বসে থাকে কিছুক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ার টাইমলাইন ঘাটে। মেসেজবক্স চেক করে। রূপসা রাগ করে। বলে, এটা নাকি একটা মানসিক সমস্যা।     
‘বোকা বোকা কথা বোলো না তো! মানসিক সমস্যার কী দেখলে তুমি এতে?’
রূপসাও গম্ভীর হয়। বলে, ‘না জেনে আমি বলছি না। একে বলে ফোমো। এর পুরো কথা ফিয়ার অব মিসিং আউট। মানে এই যেটুকু সময় সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট চেক করনি, তোমার মনে চাপা টেনশন হচ্ছে, এর মধ্যে কী কী মিস করে ফেললে।’
অরণ্য চোখটা আধবোজা করে বসে থাকে মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়েই।  
‘কী হল?’ জিজ্ঞাসা করল রূপসা।    
‘ভাবছি, তোমার এই নবলব্ধ জ্ঞানের সূত্রটা কী! যদি খুব বেশি ভুল না হয় আমার, তাহলে সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়া। দেখেছ তো! সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টুকে তারই বিরুদ্ধে জ্ঞান ফলাচ্ছ।’
রূপসা বরাবরই কম কথার মানুষ। বিরক্ত হলে ঝগড়া করার পরিবর্তে চুপ করে যায়। এখনও তাই করল। বিছানা ছেড়ে উঠে বাথরুমে ঢুকল সে। সেদিকে একবার তাকিয়ে আবারও মোবাইলে মন দিল অরণ্য। মেসেজবক্স খুলতে প্রথমেই জ্বলজ্বল করছে মেসেজটা। ভুরুটা একটু কুঁচকে গেল অরণ্যর। মেসেজটা খুলে পড়ল সে। একবার, দু’বার, বেশ কয়েকবার। সেলুলয়েডের রিলের মতো একের পর এক আছড়ে পড়ল স্মৃতির ঢেউ।    
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির কাউন্সেলিংয়েই আলাপ হয়েছিল পলাশের সঙ্গে। চন্দননগরের কাছেই একটা গ্রামে বাড়ি। রোগা, ছিপছিপে, ফর্সা চেহারা। একমাথা কোঁকড়া চুল। চোখদুটো বড় বড়, উজ্জ্বল। দু’জনে একই কলেজ বেছেছিল। অরণ্য সিভিল, পলাশ কম্পিউটার। তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চার-চারটে বছর কেটেছিল হস্টেলের ঘরে রুমমেট হয়ে। প্রথম পাওয়া স্বাধীনতা। কত গল্প, আড্ডা। অরণ্য যখন পুজোর ছুটিতে মামাবাড়ি গিয়ে মামাদের পাশের বাড়ির মেয়ে রূপসার প্রেমে পড়ল, সেই কথাও তো পলাশকেই বলেছিল প্রথমবার।   
‘প্রথম দেখাতেই প্রেম? গাছে না উঠতেই এক কাঁদি?’ হেসে বলেছিল পলাশ।  
‘প্রেম হলে ওরকম করেই হয়। দেখেই মনে হয়, দিস ইজ দ্য চোজেন ওয়ান, বুঝলি?’  
‘তা বলেছিস সে কথা?’
‘কাকে বলব?’ চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞাসা করল অরণ্য।
‘ওই মেয়েটাকে রে হাঁদা, রূপসা না কী নাম বললি!’  
‘কেমন করে বলব? সুযোগটা পেলাম কোথায়? পুজোর ক’টাদিন তো একগাদা বান্ধবী বগলদাবা করে ঘুরে বেড়াল দেখলাম। তবে মোবাইল নম্বর নিয়ে এসেছি বোনকে পটিয়ে।’
খেতে বসেছিল দু’জনে। নীচে খাওয়ার ঘর থেকে থালা দুটো বয়ে এনে নিজেদের ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে বসে খাওয়া আর আড্ডা, এভাবেই রাতের খাওয়া সারত দু’জনে। গল্পে গল্পে সময় বয়ে যেত। এঁটো থালা ও হাত শুকিয়ে খরখরে।   
‘ফোন কর।’ বলল পলাশ। 
‘এখন?’ খালিমুখে বিষম খেল অরণ্য।
‘কর কর। অত ভয়ের কী আছে?’      
তা করেছিল অরণ্য। এঁটো পাতে বসেই বাঁ হাতে মোবাইল ফোনের বোতাম টিপেছিল দুরুদুরু বুকে। অবাক হয়নি রূপসা। মেয়েরা পুরুষের দৃষ্টি পড়তে পারে। বিয়ের পরে বলেছিল, ‘পুজো প্যান্ডেলে অঞ্জলি দিতে গিয়ে যেভাবে ক্যাবলার মতো তাকিয়েছিলে আমার দিকে, তার পরেও বুঝতে বাকি থাকে কিছু?’ 
বিয়েতে পলাশ আসতে পারেনি। সেই সময়ে ও মার্কিন মুলুকে অনসাইটে। তবে উপহার পাঠিয়েছিল সেখান থেকেই। দু’জনের জন্য দামি ফরাসি সুগন্ধির সেট। রূপসার ভারী পছন্দ হয়েছিল সেই উপহার। বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখেও যেন সাধ মিটছিল না। জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘অনেক দাম না এগুলোর?’  
‘হুম।’   
‘যারা বিদেশে চাকরি করে, অনেক টাকা রোজগার করে তাই না গো?’   
চোয়াল শক্ত হয়েছিল অরণ্যর। বলেছিল, ‘হ্যাঁ, ডলারে কামাচ্ছে। ওই ক’টা টাকা ওর হাতের নস্যি।’
‘তোমাদের চাকরিতে বাইরে যাওয়া যায় না?’
‘যাবে না কেন? ইচ্ছে হলেই যায়। তা বলে আমি সরকারি চাকরি ছেড়ে, আমার নিজের শহর ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে যাবই বা কেন?’ একটু কঠিন কণ্ঠেই কথাগুলো বলেছিল অরণ্য। রূপসা বোকা মেয়ে নয়। বুঝেছিল, কথাগুলো পছন্দ করছে না তার স্বামী। চুপ করে গিয়েছিল তাই। 
।। দুই ।।
‘কী গো, এখনও বিছানা ছাড়নি?’ বাথরুম থেকে বেরিয়ে অরণ্যকে একই ভাবে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করল রূপসা। সকাল সকাল ভীষণ তাড়া থাকে দু’জনেরই। অরণ্যর অফিস, রূপসার বুটিক। বিট্টু সারাদিন থাকে আয়ার কাছে। রাতের আগে ছেলের সঙ্গ পাওয়ার উপায় নেই। আর সেই সময় যখন আসে, দু’জনেই হা-ক্লান্ত। সম্পর্কের আকাশে ধূসর মেঘ জমে।
‘কী হল?’ 
অরণ্য মুখ তুলে তাকাল। 
‘পলাশ...’
‘কী হয়েছে পলাশদার?’
নীরবে মাথা নিচু করে বসে রইল অরণ্য। রূপসা তার হাত থেকে মোবাইল ফোনটা নিল। মেসেজবক্সটা এখনও খোলা। সেদিকে চোখ বুলিয়ে মাথা তুলে তাকাল সে অরণ্যর দিকে। বলল, ‘এসব কী? তুমি যাবে?’  
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়াল অরণ্য। বলল, ‘যেতে তো হবেই। চার চারটে বছর এক ছাদের তলায় কাটিয়েছি।’  
‘আজই যাবে?’
উপর-নীচে মাথা নাড়ল অরণ্য।  
রূপসা বলল, ‘বেশ। আমি ব্রেকফাস্ট তৈরি করছি। আমিও যাব তোমার সঙ্গে। আর শোনো। তুমি ড্রাইভ কোরো না। গণেশদাকে ডেকে নিচ্ছি।’ 
  ।। তিন ।।
গাড়িতে উঠে অরণ্য পিছনের সিটে শরীরটা ছেড়ে দিল। অফিসটাইমের রাজপথ। সকলেই ছুটে চলেছে। একটু থামার, পেছন ফিরে তাকানোর সময় নেই। কে কত দ্রুত অন্যকে পেছনে ফেলে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে, তারই প্রতিযোগিতা চলছে। অন্যদিন অরণ্য-রূপসাও পথে নামে। ছুটতে থাকে দিনভর। ক্লান্ত বোধ করলে হাতে টেনে নেয় মোবাইল ফোন। সেখানে আরও অনেকের চলার প্রতিটি পদক্ষেপের খতিয়ান লেখা থাকে। ক্লান্তিটুকু মোবাইল ফোনের সঙ্গে পকেটে পুরে ফেলে সে। কে যেন কানের কাছে ফিসফিস করে অবিরত বলে চলে, ছুটতে থাক।      
দু’জনেই ছুটে চলে তাই। অরণ্য ছোটে অফিসের কাজ নিয়ে। অফিস পলিটিক্স, প্রোমোশন, প্রতিযোগিতা, ছুট ছুট ছুট। ছোটে রূপসাও। তার বুটিকের মালপত্র, বড়বাজার, কারিগর-দর্জি, কাস্টমার। মুখে মিষ্টি হাসি টেনে বলে চলা অনন্ত কথা। কথার পিঠে কথা সাজিয়ে সে বড়লোকের আদুরে মেয়ে-বউদের একটার জায়গায় তিনটে শাড়ি গছিয়ে দিতে পারে অনায়াসে। বলতে পারে, ‘উফ, এই ময়ূরকণ্ঠীটা দেখেছেন? এটা এক পিসই বানিয়েছিলাম। একদম এক্সক্লুসিভ। আপনার যা গায়ের রং, তাতে এটা আপনি ছাড়া আর কারও উপর মানাবে না।’   
‘এই কাঁথাস্টিচটা শান্তিনিকেতন থেকে আমাদের নিজস্ব কারিগর বানিয়ে পাঠিয়েছে। নিতে হবে না। এমনি দেখুন না। একটা শাড়ি বানাতে কত সময় লেগেছে গেজ করুন। ছয় মাস। জাস্ট হাতের কাজটা দেখুন।’    
বলতে বলতে গলা শুকোয় রূপসার। কথা জড়িয়ে আসে। মিথ্যের পর মিথ্যে গেঁথে পাহাড় গড়ে তোলে সে। তারপর তার তলায় বসে থাকে একা। একা, বৃষ্টির অপেক্ষায়। 
আজকের দিনটা অন্যরকম। অরণ্যর গাড়ি শহর ছেড়ে এখন হাইওয়ে ধরে চলছে। স্পিডের কাঁটা ক্রমশ উপরদিকে চড়ছে।
‘আমি ভাবতেই পারছি না জানো? পলাশের মতো একটা ব্রাইট ছেলে এভাবে...’, বলতে গিয়ে গলা বুজে আসে অরণ্যর। 
‘সত্যি তো! তোমার কাছে এত গল্প শুনেছি পলাশদার। ইন্ডিয়ায় ফিরে এসেছে জানতে তুমি?’  
‘বছর দুয়েক আগে দেখেছিলাম ফেসবুকে। তবে বেঙ্গালুরুতে ছিল বলে জানতাম। চন্দননগরের কথা জানা ছিল না। ওর সঙ্গে যোগাযোগটা কমে এসেছিল।’ চুপ করে থাকে রূপসা। ভেবে চলে। যোগাযোগ, কী অদ্ভুত একটা শব্দ। জীবন এগয় সুতোর পরে সুতো গিঁট বেয়ে। পথ পেরতে থাকে। পেছনের সুতোগুলো জীর্ণ হয়ে চলে। কিছু টেকে, কিছু যায় ছিঁড়ে। তারপর একদিন যখন সময় হয় পেছন ফেরার, দেখা যায় পড়ে আছে কিছু জড়ানোমড়ানো সুতোর কুণ্ডলী। আলাদা করে তাদের চেনার উপায় নেই।      
।। চার ।।
চন্দননগর শহরের বাইরে পলাশদের বাড়িটা অনেকটা জায়গা নিয়ে ছড়ানো। জায়গাটা পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়ে। পাশেই পুকুর। উঠোনে খেলছে দুটো শিশু। ধবধবে ফর্সা তাদের গায়ের রং, কটা চোখের মণি। এখানে এই পরিবেশে এমন দেবশিশুর মতো বাচ্চাদুটোকে দেখলে সকলেই অবাক হবে। কিন্তু অরণ্য হল না। পলাশ আমেরিকাতে থাকতেই বিয়ে করেছিল ওখানকার সহকর্মী এডিথকে। বিয়ের খবর সোশ্যাল মিডিয়াতেই পেয়েছিল। প্রথামাফিক অভিনন্দন জানাতেও ভোলেনি অরণ্য।      
রূপসা জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘কী গো? কিছু গিফ্ট পাঠাবে না ওদের? আমাদের বিয়েতে তো পলাশদা কত দামি পারফিউম দিয়েছিল।’    
‘এখান থেকে কী পাঠাব। পরে ওরা দেশে এলে দেখা যাবে।’ উত্তর দিয়েছিল অরণ্য।    
সময় আর আসেনি। যত দিন গেছে, সুতোটাও রোদে-জলে ক্ষয়েছে। আজ এ বাড়িতে পা রেখে মনে পড়ে গেল, কলেজজীবনে এখানে একবার এসেছিল অরণ্য। আদ্যন্ত শহুরে মানুষ সে। পল্লিজীবন তার চোখে মোহাঞ্জন বোলাতে পারেনি সেই সময়ে। পলাশ সম্ভবত বুঝেছিল সেটা। তাই আর কোনওদিন নিজের বাড়িতে আসতে জোর করেনি সে অরণ্যকে।   
আজ এসেছে, কুড়ি বছর পরে। পলাশ বাড়িতেই ছিল। বেরিয়ে এসে জড়িয়ে ধরল পুরনো বন্ধুকে।   
‘আমি জানতাম তুই আসবি। তবে আজই আসবি ভাবিনি।’  
এ কথা সে কথার পর অরণ্য জিজ্ঞাসা করল, ‘তুই সব জেনেও কেন ফিরে এলি পলাশ। ও দেশে কত ভালো চিকিৎসা, ভালো ভালো ডাক্তার আছেন। নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে রিসার্চ চলছে। এখানে কী আছে?’    
আবারও হাসল পলাশ। সেই আগের মতো উজ্জ্বল হাসি। কে বলবে, ওর চোখের দৃষ্টি মুছে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। এত কাছে দাঁড়িয়েও পুরনো বন্ধুর আবছা অবয়ব ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন। রোগটার নাম এর আগে শোনেনি অরণ্য। এখানে আসার আগে সার্চ ইঞ্জিনে বেশ কিছু লিংক খুলে পড়েছে। পলাশের ক্ষেত্রে ডাক্তার জানিয়েছেন, সার্জারির অবস্থায় আর থেমে নেই রোগটা। সাপোর্টিভ চিকিৎসার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তির ক্ষয় কিছুটা সময় ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করা যায়, তবে ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এডিথ বেরিয়ে এসেছে। গোলগাল, গিন্নিবান্নি চেহারার মেয়ে। রূপসার হাত ধরে ইংরেজিতে বলল, ‘চল আমরা ভেতরে বসি। ওরা বন্ধুরা কথা বলুক।’
মাথা নাড়ল রূপসা। কালো সিমেন্টের ঠান্ডা মেঝে। করোগেটেড টিনের ঢেউ খেলানো ছাদ। সুন্দর করে সাজানো ঘর। বৈভবের আধিক্য নেই, নেই যত্নের অভাবও।   
‘এখানে কষ্ট হচ্ছে না তোমার?’ জিজ্ঞাসা করল রূপসা।  
এডিথ একটু আনমনা হয়ে গেল প্রশ্নটা শুনে। বলল, ‘মিথ্যে বলব না। তা একটু হচ্ছে। আসলে অভ্যেস নেই তো। বিশেষ করে এখানকার আবহাওয়ায় শরীর মানিয়ে নিতে সময় নিচ্ছে।’
‘ও দেশে কত সুখ-সুবিধে। যাই বল, সব ছেড়ে এখানে এভাবে...’
এডিথ সুন্দর করে হাসল। বলল, ‘কী করতাম বল? আর কেউ না জানুক, আমি তো জানতাম ও নিজের গ্রামকে কতটা ভালোবাসে। রোগ ধরা পড়ার পরেই মনে হল, আর যদি নিজের দেশ, নিজের মাটি, চেনা আকাশটা দেখতে না পারে, তবে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম।’
‘অনুশোচনা হয় না তোমার?’  
‘অনুশোচনা?’ অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে এডিথ। বলে, ‘যখন রোগ ধরা পড়ল, ও বলেছিল, এডিথ, আমি তো অন্ধ হয়ে যাচ্ছি। তুমি নিজের জীবনটা আমার সঙ্গে জড়িও না। এখন মনে হয়, সেদিন যদি ওর কথা শুনতাম, তাহলে হতো। অনুশোচনা।’
‘আর এখন?’     
এডিথের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। বলল, ‘আমি তো কিছু হারাইনি। কিছু হারানোর ভয়ও নেই আর। যেদিন ওর দৃষ্টি পুরোপুরি চলে যাবে, সেদিনও শেষ মুহূর্তে ও আমাকেই সামনে দেখবে। এরপরেও আমার অনুশোচনা কেন হবে, বলতে পার?’   
একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে রূপসার 
বুক থেকে। 
।। পাঁচ ।।
আজ আকাশের মুখ ভার ছিল সারাটা দিন। এখন ঝোড়ো হাওয়া বইছে। উড়ে যাচ্ছে গুমোট অস্বস্তি। একটা আস্ত দিন পলাশদের বাড়িতে কাটিয়ে সন্ধের পর কলকাতার রাস্তা ধরল দু’জনে। পলাশ ও এডিথ ওদের বিদায় জানাতে এগিয়ে এল গেট অবধি। পলাশ বলল, ‘সময় করে আসিস মাঝেমাঝে।’
গাড়ির পেছনের সিটে বসে রূপসা একবার মাথা ঘুরিয়ে দেখতে পেল, অন্ধকারে ডুবে দাঁড়িয়ে আছে দু’জন নারী-পুরুষ। হাতে হাত তাদের।     
অনেকটা রাস্তা নীরব রইল দু’জনেই। তারপর অরণ্য বলে, ‘ওরা বাড়ির কাছেই একটা ফার্ম করছে। দুপুরে তুমি আর এডিথ যখন খাওয়াদাওয়ার পরে গল্প করছিলেন, তখন পলাশ ঘুরিয়ে দেখাল।’
‘শুনেছি এডিথের মুখে।’
‘সিজনাল, অরগ্যানিক শাক-সব্জি চাষ করছে। গোরু কিনেছে কয়েকটা। এডিথের ক’দিন এখানে ভালো লাগবে কে জানে!’
রূপসা জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকাল। বলল, ‘লাগবে।’  
‘কী?’
‘ভালো লাগবে এডিথের। কারণ ওকে আর জীবনের মুহূর্তগুলোকে হারানোর ভয় নিয়ে বাঁচতে হবে না।’
‘মানে?’
রূপসা মৃদু হাসল শুধু। উত্তর দিল না। জানলার বাইরে জোর বৃষ্টি নেমেছে। 
06th  October, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
গুপ্ত রাজধানী: সেন্ট জেমস চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

 

এই সময়টা খুব গরম পড়ে। আকাশে একফোঁটা মেঘ নেই। প্রিন্টার্সের এই ঘরটা সারাক্ষণ উত্তপ্ত থাকে। এই কাজটাও করতে ভালো লাগে না জেমসের।  দরদর করে সে ঘামছে। কলকাতা নামক শহরটায় এত গরম কেন? এখান থেকে পালাতে পারলে ভালো হতো।  বিশদ

03rd  November, 2024
আজও রহস্য: বাজিরাওয়ের কেল্লা
সমুদ্র বসু

 

পুনের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্থান হল শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গ। যার সঙ্গে জড়িয়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য আর মারাঠাদের নাম। সর্বোপরি এই কেল্লার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন বাজিরাও পেশোয়া। একসময় মারাঠাদের ঐতিহ্য ও অহংকার এখন একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বিশদ

03rd  November, 2024
সমব্যথী
উৎপল মান

লতা চেপে বসল ক্যারিয়ারে। জায়গাটার নাম ধ্রুবডাঙা। সামনে একটা খোলা মাঠ। স্টেজ করে তিনরঙা কাপড় দিয়ে মোড়া। বিশাল ডিজে মিউজিক সিস্টেমে গান বাজছে উচ্চ নিনাদে। আজ স্বাধীনতা দিবস। খগেনের মনে কেমন একটা চিনচিনে ব্যথা জেগে উঠল। বিশদ

27th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: ইয়াদগার এ জওক
সমৃদ্ধ দত্ত

একজন লিখলেন, ‘আপ তো ঘাবড়াকে ইয়ে ক্যাহেতে হ্যায় কে মর যায়েঙ্গে/মরকে ভি চ্যায়েন না পায়া তো কিধর যায়েঙ্গে?’ অর্থাৎ আপনি তো ভয় পেয়ে ভাবলেন এর থেকে মৃত্যুই ভালো। কিন্তু মৃত্যুর পরও যদি শান্তি না আসে, তখন কোথায় যাবেন?  বিশদ

27th  October, 2024
অতীতের আয়না: কলকাতার ফানুস উৎসব
অমিতাভ পুরকায়স্থ

দূরে আকাশ শামিয়ানা। তবে তারাদের প্রদীপ জ্বালার বদলে উড়ে যায় ঘড়ি, পুতুল, হাতি কিংবা উড়োজাহাজের আদলে গড়া ফানুস। খুব স্যুরিয়াল লাগছে? আজ এই ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে লাগতেই পারে। কিন্তু একটা সময় ছিল, যখন কালীপুজোর বিকেলে কলকাতার আকাশের সিগনেচার ছিল এমন দৃশ্য। বিশদ

27th  October, 2024
দুই প্রজাপতি
সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়

ছাদের আলসের ধারে দাঁড়িয়েছিল মেয়েটি। আমি সিঁড়িতে উঠতে উঠতেই মনে হল দেখলাম। তারপরে আর দেখতে পেলাম না। আসলে আমার হাতে মোবাইল ছিল। মোবাইলে আসা পাক খাওয়া ছোট খরগোশের মতো ইমোজিটার নাম দিয়েছি বিচ্চু। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: পাহাড়গঞ্জ
সমৃদ্ধ দত্ত

হরিদ্বার ভ্রমণ? তাহলে দিল্লি হয়ে যাওয়াই ভালো। সরাসরি তো যাওয়াই যায়। কিন্তু দিল্লি হয়ে গেলে একটা দিন দিল্লিও দেখা হয়ে যাবে আর তারপর ভোরের শতাব্দী অথবা বাস কিংবা গাড়িতে হরিদ্বার-হৃষীকেশ গেলেই হল! আগ্রা, বৃন্দাবন, মথুরা, ভরতপুর যাব ভাবছি। বিশদ

20th  October, 2024
ভূতুড়ে স্টেশন বেগুনকোদর
সমুদ্র বসু

পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের গা ঘেঁষে ছোট্ট একটা স্টেশন। এই স্টেশনের চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। কিন্তু এক অজানা আতঙ্কে এই স্টেশন খালি পড়ে রয়েছে প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে। স্থানীয়দের কাছে এটি ‘ভূতুড়ে স্টেশন’। বিশদ

20th  October, 2024
গুপ্ত রাজধানী: কালকা মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

চারদিকে এত লালের বন্যা কেন? লাল শালু। লাল উড়নি। জরি দেওয়া লাল কাপড়। লাল পাগড়ি। লাল দোপাট্টা। লাল ফুল। লাল সিঁদুর। এই নিরন্তর লাল বন্দনার পিছনে কি তাহলে রক্তের প্রতীকী ভূমিকা আছে? একটি তথ্যসূত্র সেরকমই বলছে। বিশদ

06th  October, 2024
একনজরে
চোটে জেরবার ইস্ট বেঙ্গল। সাউল ক্রেসপো, দিয়ামানতাকোসের পর চিন্তা বাড়ছে হেক্টর ইউস্তেকে নিয়ে। মঙ্গলবার দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। ফিজিওর কাছে রিহ্যাব করেন তিনি। ...

তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু রোগের প্রাদুর্ভাব। ফলে অনেকেই ছুটছেন চিকিৎসকদের কাছে। আবার কেউ কেউ চিকিৎসকের চেম্বার এড়িয়ে দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে খেয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ...

মঙ্গলবার দুপুরে আগরপাড়ার বিটি রোডে পথ দুর্ঘটনায় জখম হলেন ১৮ জন। তারমধ্যে ১৫ জন কলকাতা পুলিসের কর্মী। তাঁদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ...

মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরি হলে তা আসামির উপর অমানবিক প্রভাব ফেলে। সোমবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অস্বাভাবিক দেরির ফলে যদি কোনও আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তাতে কোনও ভুল নেই বলেও জানিয়েছে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সন্তানের কর্ম সাফল্যে মানসিক প্রফুল্লতা ও সাংসারিক সুখ বৃদ্ধি। আয়ের ক্ষেত্রটি শুভ। সামাজিক কর্মে সাফল্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পাহাড় দিবস
১৬৮৭: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বপ্রথম তৎকালিন মাদ্রাজে পৌরসভা প্রতিষ্ঠার সনদ তৈরির অনুমোদন দেয়
১৮১০: ঊনবিংশ শতাব্দির বিখ্যাত কবি ও লেখক আলফ্রেড দুমুসের জন্ম
১৮২৩: ইংরেজি শিক্ষা প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজ ব্যয়ে অ্যাংলো হিন্দু স্কুল স্থাপন করেন
১৮৫১: স্ত্রী শিক্ষার প্রসার ও সমাজকল্যাণমূলক কাজের জন্য বেথুন সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত
১৮৬২: আর্থার লুকাস নামক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়ার মাধ্যমে কানাডায় সর্বশেষ ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয়
১৮৬৮: বাঙালি অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) জন্ম
১৮৮৩: শ্রীঅরবিন্দের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্টারমশাই নামে পরিচিত জ্যোতিষ ঘোষের জন্ম
১৯০১: মার্কনি প্রথম বেতার সংকেত প্রেরণ করেন
১৯০৭: নিউজিল্যান্ডের সংসদ ভবন আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২২: মুহাম্মদ ইউসুফ খান ওরফে অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম
১৯২৪: কথা সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) জন্ম
১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক তথা ফিউশন মিউজিকের গুরু আনন্দ শংকরের জন্ম
১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম
২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু
২০১২: কিংবদন্তী সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৯৬ টাকা ৮৫.৭০ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২০ টাকা ১০৯.৯৫ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৩ টাকা ৯১.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী ৪৭/২৮ রাত্রি ১/১০। রেবতী নক্ষত্র ১৪/৩ দিবা ১১/৪৮। সূর্যোদয় ৬/১০/৩৭, সূর্যাস্ত ৪/৪৯/১০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ৮/১৮ মধ্যে পুনঃ ১০/২৫ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪২ গতে ৬/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ৩/৩০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৬/৫২ মধ্যে ৭/৩৫ ম঩ধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ৩/২৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১০/১০ মধ্যে। পুনঃ ১১/৩০ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। 
২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪। একাদশী রাত্রি ১০/৩৭। রেবতী নক্ষত্র দিবা ৯/৫৮। সূর্যোদয় ৬/১২, সূর্যাস্ত ৪/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৪৭ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১০/৩৭ গতে ১২/৪৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৩ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৮/৩৪ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৫ গতে ৭/৪৭ মধ্যে ও ১/২৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। কালবেলা ৮/৫১ গতে ১০/১১ মধ্যে ও ১১/৩১ গতে ১২/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৫১ গতে ৪/৩২ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৩৪ ও ২০৩০-এ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে ফুটবল বিশ্বকাপ? ঘোষণা করল ফিফা
২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ কোথায় হবে ঘোষণা করে দিল ফিফা। ...বিশদ

11:55:13 PM

বিশ্বজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা ব্যাহত

11:53:00 PM

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা

11:06:00 PM

উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে পুলিস ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা

10:32:00 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদকে ১-০ গোলে হারাল চেন্নাই

09:33:00 PM

ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপর মৃতদেহ উদ্ধার
ঠাকুরপুকুরে ময়লার ঢিপির উপরে প্লাস্টিক চাপা অবস্থায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ...বিশদ

09:21:00 PM